Dhaka শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সেলফি এবং মোদি গদি টেকাতে পারবে না : নুর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ১২:০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৮৫ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ) সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, সেলফি এবং মোদি গদি টেকাতে পারবে না। বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহের আজকে যুগপৎ কর্মসূচি ছিল। রামপুরা থেকে আসার পথে লক্ষ্য করলাম মিছিলে লুঙ্গি পরা, মাথায় গামছা বাঁধা লোকজন। যা প্রমাণ করে এই আন্দোলন এখন গণমানুষের আন্দোলন।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পল্টনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং গণনেতা মশিউর, ছাত্রনেতা বিন ইয়ামিনসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের একদফা দাবিতে সমাবেশ ও গণমিছিলে তিনি এসব কথা বলেন।

নুরুল হক নুর বলেন, কথা পরিষ্কার শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে। এটা বাংলাদেশ রক্ষার অস্তিত্বের লড়াই। এখান থেকে পিছু হটা যাবে না।

হুমকি-ধামকি দিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে গণঅধিকার পরিষদকে এক দফার আন্দোলন থেকে সরানো যাবে না উল্লেখ করে নুর বলেন, জনগণ ঐসব দুর্বৃত্তদের রুখে দেবে। গণঅধিকার পরিষদের নেতা মশিউর, ছাত্রনেতা বিন ইয়ামিন মোল্লা,গোপালগঞ্জের ঈসমাইল,খুলনার সা ইফুল, বগুড়া যুব অধিকার পরিষদের ৮ জন নেতাকর্মীসহ অনতিবিলম্বে সকল বিরোধী নেতাকর্মীদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দী করে রেখেছে। এখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিরোধীদল সমূহের সিনিয়র নেতাদের সাজা দিয়ে জেলে ঢোকানোর চেষ্টা করছে। ভিন্ন মতের মানুষকে রাজপথ ও ঘরছাড়া করতে মামলা-গ্রেফতারকে হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সরকার এখন খাদের কিনারায় আছে। জনগণ নিয়ে বড়সড় ধাক্কা দিলেই পড়ে যাবে। সুতরাং রাজপথে আন্দোলনের বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। জো বাইডেনসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানের সাথে সেলফি তুলে প্রচার করছে যে, সব ম্যানেজ হয়ে গেছে। কিন্তু মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি আর একটি সেলফির মধ্যে বহুত পার্থক্য আছে। আওয়ামী লীগ সরকার যেভাবে গুম-খুন-অত্যাহার করেছে, বিদেশিদের করুণা-ভিক্ষায় আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের নেতারা বলা শুরু করেছে, সামনে নির্বাচন, সময় খারাপ, ভয় পাচ্ছি। এই ভয়ই তাদের পরাজয় নিশ্চিত করবে। আগামীতে আর ১৪ ও ১৮ মার্কা নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসা যাবে না।

গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল আহমেদের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতেমা তাসনিম, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক বিপ্লব কুমার পোদ্দার, মাহফুজুর রহমান খান, সাবেক যুগ্ম সদস্যসচিব আনিসুর রহমান মুন্না, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম, যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান প্রমুখ।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

ব্রিজ থাকলেও নেই রাস্তা, ভোগান্তি চরমে

সেলফি এবং মোদি গদি টেকাতে পারবে না : নুর

প্রকাশের সময় : ১২:০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ) সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, সেলফি এবং মোদি গদি টেকাতে পারবে না। বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহের আজকে যুগপৎ কর্মসূচি ছিল। রামপুরা থেকে আসার পথে লক্ষ্য করলাম মিছিলে লুঙ্গি পরা, মাথায় গামছা বাঁধা লোকজন। যা প্রমাণ করে এই আন্দোলন এখন গণমানুষের আন্দোলন।

শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পল্টনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং গণনেতা মশিউর, ছাত্রনেতা বিন ইয়ামিনসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের একদফা দাবিতে সমাবেশ ও গণমিছিলে তিনি এসব কথা বলেন।

নুরুল হক নুর বলেন, কথা পরিষ্কার শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে। এটা বাংলাদেশ রক্ষার অস্তিত্বের লড়াই। এখান থেকে পিছু হটা যাবে না।

হুমকি-ধামকি দিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে গণঅধিকার পরিষদকে এক দফার আন্দোলন থেকে সরানো যাবে না উল্লেখ করে নুর বলেন, জনগণ ঐসব দুর্বৃত্তদের রুখে দেবে। গণঅধিকার পরিষদের নেতা মশিউর, ছাত্রনেতা বিন ইয়ামিন মোল্লা,গোপালগঞ্জের ঈসমাইল,খুলনার সা ইফুল, বগুড়া যুব অধিকার পরিষদের ৮ জন নেতাকর্মীসহ অনতিবিলম্বে সকল বিরোধী নেতাকর্মীদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দী করে রেখেছে। এখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিরোধীদল সমূহের সিনিয়র নেতাদের সাজা দিয়ে জেলে ঢোকানোর চেষ্টা করছে। ভিন্ন মতের মানুষকে রাজপথ ও ঘরছাড়া করতে মামলা-গ্রেফতারকে হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সরকার এখন খাদের কিনারায় আছে। জনগণ নিয়ে বড়সড় ধাক্কা দিলেই পড়ে যাবে। সুতরাং রাজপথে আন্দোলনের বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। জো বাইডেনসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রপ্রধানের সাথে সেলফি তুলে প্রচার করছে যে, সব ম্যানেজ হয়ে গেছে। কিন্তু মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি আর একটি সেলফির মধ্যে বহুত পার্থক্য আছে। আওয়ামী লীগ সরকার যেভাবে গুম-খুন-অত্যাহার করেছে, বিদেশিদের করুণা-ভিক্ষায় আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের নেতারা বলা শুরু করেছে, সামনে নির্বাচন, সময় খারাপ, ভয় পাচ্ছি। এই ভয়ই তাদের পরাজয় নিশ্চিত করবে। আগামীতে আর ১৪ ও ১৮ মার্কা নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসা যাবে না।

গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল আহমেদের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতেমা তাসনিম, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক বিপ্লব কুমার পোদ্দার, মাহফুজুর রহমান খান, সাবেক যুগ্ম সদস্যসচিব আনিসুর রহমান মুন্না, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম, যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান প্রমুখ।