Dhaka সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সেরাটা ফাইনালের জন্য জমিয়ে রেখেছিলাম: কামিন্স

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০২:১৯:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩
  • ১৯৪ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

স্বাগতিক ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ফাইনাল দিয়ে পর্দা নেমেছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের। ফাইনালে অপ্রতিরোধ্য ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ষষ্ঠবারের মতো সোনালী ট্রফিটি উঁচিয়ে ধরল প্যাট কামিন্সরা। অথচ জোড়া হার দিয়ে আসর শুরু করেছিল অজিরা। তারা এখন চ্যাম্পিয়ন। শেষের জন্য সেরাটা রেখে দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।

ম্যাচ শেষে অসি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স জানালেন, সেরাটা ফাইনালের জন্যই জমিয়ে রেখেছিলাম। বড় ম্যাচের কয়েকজন ক্রিকেটার নিজেদের সেরা খেলাটা খেলেছে। আমরা পুরো টুর্নামেন্টে প্রথমে ব্যাটিং করেছি। তবে লক্ষ্যে তাড়া করতে নামার জন্য আজকের রাতটা দারুণ ছিলো। আমাদের মনে হয়েছিল, আজ রান তাড়া করাই ভালো। রান তাড়াই সহজ মনে হয়েছিল। আমরা যতোটা ভেবেছিলাম, পিচ ততটা স্পিন সহায়ক ছিলো না। ছেলেরা ছিল দুর্দান্ত। সবাই তারা মাঠে নিজেদের উজাড় করে দিয়েছে।

ফাইনালের দিন স্নায়ুচাপে ছিলেন জানিয়ে অজি অধিনায়ক আরও বলেন, দলে আমি তাদের একজন, যারা স্নায়ু চাপে ভুগছিলাম। কিন্তু হেড এবং মার্নাস খেলাটাকে এগিয়ে নিয়েছে। যখন সে (হেড) হাত ভেঙে ফেলেছিল নির্বাচকেরা তখনো ওপর ভরসা করেছিল। এটা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত কাজে দিয়েছে। তার ব্যাটিং দেখা দারুণ ব্যাপার।

ব্যাটিং ও বোলিংয়ের পাশাপাশি ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ডিং ছিল দুর্দান্ত। এমন বোলিং-ফিল্ডিংয়ের সৌজন্যে প্রথম ইনিংসের পরই জয়ের আগাম সুবাস পাচ্ছিলেন কামিন্স।

অসি অধিনায়ক বলেন, ফিল্ডিংয়ে সবাই ছিল মরিয়া। মূলত গত সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু। ছেলেরা সেদিন দুর্দান্ত ছিল। তাদেরকে ২৪০ রানের মধ্যে রাখতে পেরে খুব খুশি ছিলাম, সত্যি বলতে তিনশ’র নিচে যে কোনো লক্ষ্যই ভালো। আমার মনে হয়েছে, এই উইকেটে ৩০০ হয়ত কঠিন হবে, তবে তাড়া করা সম্ভব। ২৪০ রান দেখে আমরা খুব খুশি ছিলাম।

৪৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। চতুর্থ উইকেটে ট্র্যাভিস হেড ও মার্নাস লাবুশেন ১৯২ রানের জুটি গড়ে জয়ের ভিত গড়ে দেন। তাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অজি অধিনায়ক, ‘মার্নাস ঠাণ্ডা মাথায় খেলেছে এবং ট্র্যাভিস বড় মঞ্চে যা করে, সেটাই করেছে। নিজের জাত চিনিয়েছে। নির্বাচকরা তাকে সমর্থন দিয়ে গেছে। এটা আমাদের নেওয়া বড় ঝুঁকি ছিল এবং পুরস্কার পেলাম।

দর্শকদের চুপ করানো নিয়ে কামিন্স বলেন, এটি দারুণ ছিল। বোলিং ইনিংসের সময় বেশ কয়েকবার পুরো গ্যালারি নীরব হতে দেখে আমি খুব খুশি ছিলাম। কয়েকবার তারা অনেক চিৎকার করেছে এবং এটিই সত্যিই অনেক বেশি ছিল।

তবে ভারতীয় দর্শকদের প্রশংসা করতেও ভুল করেননি অজি দলপতি। বলেন, দর্শকরা দুর্দান্ত। ভারতে ক্রিকেটের জন্য থাকা এই প্যাশনের তুলনা নেই। পেছন ফিরে তাকালে এটি দারুণ মুহূর্ত। ফল যা-ই হোক না কেন, এমন একটি দিন আমরা ভুলব না।

বছরটা দুর্দান্ত কাটছে অস্ট্রেলিয়ার জন্য। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জয়, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডের মাটিতে শিরোপা ধরে রাখা। তবে সবকিছুর চূড়ায় কামিন্স রাখছেন বিশ্বকাপ শিরোপাকেই। তিনি বলেন, ‘চারপাশে তাকিয়ে ভাবছিলাম, আজ রাতে যা-ই ঘটুক না কেন মুহূর্তটি বিশেষ। বিশ্বকাপ জেতার পণ করেই এগিয়েছিলাম। এই বছরটি দীর্ঘ সময় ধরে মনে থাকবে। শীতকালে অনেক সাফল্য পেয়েছি আমরা এবং এটা (বিশ্বকাপ) সবকিছুর উর্ধ্বে।

এই বছরটা প্যাট কামিন্সের জন্য সেরা বছর বলাই যায়। প্রথমে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জয়। তারপর মর্যাদার অ্যাশেজ ট্রফি জিতেছে অসিরা তার নেতৃত্বে। আর সবশেষ ভারতের মাটিতে উড়তে থাকা ভারতকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয় অস্ট্রেলিয়ার সেটাও তার নেতৃত্বে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন সড়কের বেহাল দশা, চলাচলে চরম ভোগান্তি

সেরাটা ফাইনালের জন্য জমিয়ে রেখেছিলাম: কামিন্স

প্রকাশের সময় : ০২:১৯:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

স্বাগতিক ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ফাইনাল দিয়ে পর্দা নেমেছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের। ফাইনালে অপ্রতিরোধ্য ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ষষ্ঠবারের মতো সোনালী ট্রফিটি উঁচিয়ে ধরল প্যাট কামিন্সরা। অথচ জোড়া হার দিয়ে আসর শুরু করেছিল অজিরা। তারা এখন চ্যাম্পিয়ন। শেষের জন্য সেরাটা রেখে দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।

ম্যাচ শেষে অসি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স জানালেন, সেরাটা ফাইনালের জন্যই জমিয়ে রেখেছিলাম। বড় ম্যাচের কয়েকজন ক্রিকেটার নিজেদের সেরা খেলাটা খেলেছে। আমরা পুরো টুর্নামেন্টে প্রথমে ব্যাটিং করেছি। তবে লক্ষ্যে তাড়া করতে নামার জন্য আজকের রাতটা দারুণ ছিলো। আমাদের মনে হয়েছিল, আজ রান তাড়া করাই ভালো। রান তাড়াই সহজ মনে হয়েছিল। আমরা যতোটা ভেবেছিলাম, পিচ ততটা স্পিন সহায়ক ছিলো না। ছেলেরা ছিল দুর্দান্ত। সবাই তারা মাঠে নিজেদের উজাড় করে দিয়েছে।

ফাইনালের দিন স্নায়ুচাপে ছিলেন জানিয়ে অজি অধিনায়ক আরও বলেন, দলে আমি তাদের একজন, যারা স্নায়ু চাপে ভুগছিলাম। কিন্তু হেড এবং মার্নাস খেলাটাকে এগিয়ে নিয়েছে। যখন সে (হেড) হাত ভেঙে ফেলেছিল নির্বাচকেরা তখনো ওপর ভরসা করেছিল। এটা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত কাজে দিয়েছে। তার ব্যাটিং দেখা দারুণ ব্যাপার।

ব্যাটিং ও বোলিংয়ের পাশাপাশি ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ডিং ছিল দুর্দান্ত। এমন বোলিং-ফিল্ডিংয়ের সৌজন্যে প্রথম ইনিংসের পরই জয়ের আগাম সুবাস পাচ্ছিলেন কামিন্স।

অসি অধিনায়ক বলেন, ফিল্ডিংয়ে সবাই ছিল মরিয়া। মূলত গত সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু। ছেলেরা সেদিন দুর্দান্ত ছিল। তাদেরকে ২৪০ রানের মধ্যে রাখতে পেরে খুব খুশি ছিলাম, সত্যি বলতে তিনশ’র নিচে যে কোনো লক্ষ্যই ভালো। আমার মনে হয়েছে, এই উইকেটে ৩০০ হয়ত কঠিন হবে, তবে তাড়া করা সম্ভব। ২৪০ রান দেখে আমরা খুব খুশি ছিলাম।

৪৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। চতুর্থ উইকেটে ট্র্যাভিস হেড ও মার্নাস লাবুশেন ১৯২ রানের জুটি গড়ে জয়ের ভিত গড়ে দেন। তাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ অজি অধিনায়ক, ‘মার্নাস ঠাণ্ডা মাথায় খেলেছে এবং ট্র্যাভিস বড় মঞ্চে যা করে, সেটাই করেছে। নিজের জাত চিনিয়েছে। নির্বাচকরা তাকে সমর্থন দিয়ে গেছে। এটা আমাদের নেওয়া বড় ঝুঁকি ছিল এবং পুরস্কার পেলাম।

দর্শকদের চুপ করানো নিয়ে কামিন্স বলেন, এটি দারুণ ছিল। বোলিং ইনিংসের সময় বেশ কয়েকবার পুরো গ্যালারি নীরব হতে দেখে আমি খুব খুশি ছিলাম। কয়েকবার তারা অনেক চিৎকার করেছে এবং এটিই সত্যিই অনেক বেশি ছিল।

তবে ভারতীয় দর্শকদের প্রশংসা করতেও ভুল করেননি অজি দলপতি। বলেন, দর্শকরা দুর্দান্ত। ভারতে ক্রিকেটের জন্য থাকা এই প্যাশনের তুলনা নেই। পেছন ফিরে তাকালে এটি দারুণ মুহূর্ত। ফল যা-ই হোক না কেন, এমন একটি দিন আমরা ভুলব না।

বছরটা দুর্দান্ত কাটছে অস্ট্রেলিয়ার জন্য। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জয়, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডের মাটিতে শিরোপা ধরে রাখা। তবে সবকিছুর চূড়ায় কামিন্স রাখছেন বিশ্বকাপ শিরোপাকেই। তিনি বলেন, ‘চারপাশে তাকিয়ে ভাবছিলাম, আজ রাতে যা-ই ঘটুক না কেন মুহূর্তটি বিশেষ। বিশ্বকাপ জেতার পণ করেই এগিয়েছিলাম। এই বছরটি দীর্ঘ সময় ধরে মনে থাকবে। শীতকালে অনেক সাফল্য পেয়েছি আমরা এবং এটা (বিশ্বকাপ) সবকিছুর উর্ধ্বে।

এই বছরটা প্যাট কামিন্সের জন্য সেরা বছর বলাই যায়। প্রথমে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ জয়। তারপর মর্যাদার অ্যাশেজ ট্রফি জিতেছে অসিরা তার নেতৃত্বে। আর সবশেষ ভারতের মাটিতে উড়তে থাকা ভারতকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয় অস্ট্রেলিয়ার সেটাও তার নেতৃত্বে।