নিজস্ব প্রতিবেদক :
বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। ফলে তিনি আর নির্বাচন করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে এ আদেশ দেন। এর ফলে সাদিক আব্দুল্লাহ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পাবেন না।
আদালতে সাদিক আবদুল্লাহর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান ও অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। অপরপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম।
গত ৬ ডিসেম্বর দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগে তার প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে আপিল করেছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহিদ ফারুক। ১৫ ডিসেম্বর নির্বাচন ভবনে আপিল শুনানি শেষে বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সিটির সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরে এই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সাদিক আব্দুল্লাহ।
তার করা রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারপরিত আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ নির্বাচন কমিশনের আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ। ফলে সাদিক আবদুল্লাহর মনোয়নপত্র বৈধতা পায়। কিন্তু হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেছেন জাহিদ ফারুক।
এদিকে, সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই প্রচার-প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন প্রার্থীরা। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ৭ জানুয়ারি হবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।