নিজস্ব প্রতিবেদক :
চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ২৭ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে পাঠিয়েছেন ২৩৪ কোটি ২০ লাখ (২.৩৪ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৮ হাজার ৫৭২ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে)।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, ১ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২৩৪ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার বা ২ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার। টাকার অঙ্কে (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে) এর পরিমাণ ২৮ হাজার ৫৭২ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩৪ কোটি ৬৩ লাখ ২০ হাজার ডলার। এছাড়া বিশেষায়ীত এক ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে ২১ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৭৩ কোটি ৬১ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৫৩ লাখ ২০ হাজার ডলার। গত বছরের একই সময়ে এসেছিল ২০৯ কোটি ৪০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স। সে হিসাবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স বেড়েছে ২৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার।
তবে এই সময়ে সাত ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এসব ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব। বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক। বিদেশি ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছে ৭২৪ কোটি ২০ লাখ ডলার। গত অর্থবছরের একই সময়ে এই অংক ছিল ৬২৩ কোটি ২০ লাখ ডলার। অর্থাৎ প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১৬ দশমিক ২ শতাংশ।
এর আগে চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে এসেছিল ২৪৭ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩০ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। আগস্টে প্রবাসীরা পাঠান ২৪২ কোটি ২০ লাখ ডলার বা ২৯ হাজার ৫৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
গত অর্থবছরের (২০২৪-২৫) মার্চ মাসে সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স আসে, যা ছিল বছরের রেকর্ড। পুরো অর্থবছরে প্রবাসী আয় দাঁড়ায় ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার। আগের অর্থবছরের তুলনায় যা ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই মাসে আসে ১৯১ দশমিক ৩৭ কোটি ডলার, আগস্টে ২২২ দশমিক ১৩ কোটি, সেপ্টেম্বরে ২৪০ দশমিক ৪১ কোটি ডলার আসে। পরের মাস অক্টোবরে ২৩৯ দশমিক ৫০ কোটি, নভেম্বরে ২২০ কোটি, ডিসেম্বর ২৬৪ কোটি ডলার পাঠান প্রবাসীরা। এরপর চলতি বছরের জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি, মার্চে ৩২৯ কোটি, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি, মে মাসে ২৯৭ কোটি এবং জুনে ২৮২ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স আসে দেশে।