Dhaka মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সেপটিক ট্যাংকে নেমে মারা গেলেন ২ শ্রমিক

ছাগলনাইয়া উপজেলা প্রতিনিধি : 

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নেমে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ছাগলনাইয়া থানাপাড়া এলাকায় কুয়েত প্রবাসী শহিদুলের নির্মাণাধীন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটলেও শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়।

মৃত দুজন হলেন, বাগেরহাটের কচুয়া থানার সাংদিয়া গ্রামের রবীন্দ্র দাসের ছেলে বিকাশ চন্দ্র দাস আকাশ (৩৫), অন্যজন খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় থানার রামগড় করইয়া বাগান এলাকার ছেরাজুল হকের ছেলে মাইন উদ্দিন(২৫)।

জানা যায়, শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে শ্রমিকরা কাজের পর বাসায় না ফেরায় তাদের পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের মরদেহ দেখতে পায় স্বজনরা।

স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। শনিবার সকালে নির্মাণাধীন ভবনের আশপাশে খোঁজ করলে সেপটিক ট্যাংকের মধ্যে তাদের পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্বজনরা। এরপরই সেপটিক ট্যাংক ভেঙে তাদের উদ্ধার করে ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ছাগলনাইয়া ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার মিরাজুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সেপটিক ট্যাংকের ভেতর জমে থাকা বিষাক্ত গ্যাসের কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে।

এ বিষয়ে ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী,পরশুরামের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. ওয়ালী উল্লাহ বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি একজন শ্রমিক সেন্টারিং খোলার জন্য সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে গেলে সেখানে জমে থাকা গ্যাসের কারণে অজ্ঞান হয়ে যান। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে সঙ্গে থাকা আরেক শ্রমিকও অজ্ঞান হয়ে যান।

তিনি আরও বলেন, পরে সেখানে থাকা পানিতে ডুবে মারা যান তারা। তারপরও আমরা পুরো বিষয়টিকে তদন্ত করছি। আশা করছি ময়নাতদন্তের মাধ্যমে আসল ঘটনাটি উদঘাটন করা হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সেপটিক ট্যাংকে নেমে মারা গেলেন ২ শ্রমিক

প্রকাশের সময় : ০১:৪৯:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ছাগলনাইয়া উপজেলা প্রতিনিধি : 

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নেমে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ছাগলনাইয়া থানাপাড়া এলাকায় কুয়েত প্রবাসী শহিদুলের নির্মাণাধীন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটলেও শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়।

মৃত দুজন হলেন, বাগেরহাটের কচুয়া থানার সাংদিয়া গ্রামের রবীন্দ্র দাসের ছেলে বিকাশ চন্দ্র দাস আকাশ (৩৫), অন্যজন খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় থানার রামগড় করইয়া বাগান এলাকার ছেরাজুল হকের ছেলে মাইন উদ্দিন(২৫)।

জানা যায়, শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে শ্রমিকরা কাজের পর বাসায় না ফেরায় তাদের পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের মরদেহ দেখতে পায় স্বজনরা।

স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। শনিবার সকালে নির্মাণাধীন ভবনের আশপাশে খোঁজ করলে সেপটিক ট্যাংকের মধ্যে তাদের পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় স্বজনরা। এরপরই সেপটিক ট্যাংক ভেঙে তাদের উদ্ধার করে ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ছাগলনাইয়া ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার মিরাজুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সেপটিক ট্যাংকের ভেতর জমে থাকা বিষাক্ত গ্যাসের কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে।

এ বিষয়ে ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী,পরশুরামের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. ওয়ালী উল্লাহ বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি একজন শ্রমিক সেন্টারিং খোলার জন্য সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে গেলে সেখানে জমে থাকা গ্যাসের কারণে অজ্ঞান হয়ে যান। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে সঙ্গে থাকা আরেক শ্রমিকও অজ্ঞান হয়ে যান।

তিনি আরও বলেন, পরে সেখানে থাকা পানিতে ডুবে মারা যান তারা। তারপরও আমরা পুরো বিষয়টিকে তদন্ত করছি। আশা করছি ময়নাতদন্তের মাধ্যমে আসল ঘটনাটি উদঘাটন করা হবে।