Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সেতুতে সংযোগ সড়ক না থাকায় মইয়ে ভরসা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০১:২৭:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৮৬ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বরগুনা সদর উপজেলায় চার কোটি টাকার একটি সেতু নির্মাণের জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল এক বছর। দুই দফা মেয়াদ বাড়িয়ে তিন বছরে মূল সেতুর কাজ শেষ হয়। তবে এখনো হয়নি সংযোগ সড়ক (অ্যাপ্রোচ)।

উভয় প্রান্তে নড়বড়ে কাঠের মই দিয়ে রেখেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সেই মই দিয়ে সেতুতে ওঠানামা করতে হচ্ছে তিনটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক বাসিন্দার। এটির নির্মাণকাজের শুরু থেকে তিন বছর ধরে ভোগান্তিতে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিশেষ করে বৃষ্টির সময় মই দিয়ে ওঠানামা করতে ভোগান্তির শেষ থাকে না।

সরেজমিনে দেখা যায়, উভয় প্রান্তে মই দিয়ে সেতুতে ওঠানামা করছেন পথচারীরা। কাঠের মই নড়বড়ে থাকায় ঝুঁকি নিয়ে বৃদ্ধ, নারী, স্কুলশিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা সেতু পারাপার করছে। ইতিমধ্যে চারজন আহত হয় বলে জানা গেছে। সর্বশেষ গত শুক্রবার সিংড়াবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা আলেয়া বেগম (৬০) পড়ে আহত হন।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বরগুনা কার্যালয়ের তথ্যমতে, নির্মিতব্য সেতুটির অবস্থান সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের কেওড়াবুনিয়া বাজারসংলগ্ন খাকদোন নদের ওপর। ৩০ দশমিক ৪ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতু নির্মাণে ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭ টাকা ব্যয় ধরা হয়। ২০২০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স হাজী এন্টারপ্রাইজকে নির্মাণের কার্যাদেশ দেয় এলজিইডি। কার্যাদেশ অনুসারে ২০২১ সালের ৫ এপ্রিলের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। পরে মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়। তবু কাজ শেষ হয়নি। ঠিকাদারকে দ্বিতীয় দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে চলতি বছরের ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেয় এলজিইডি।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স হাজী এন্টারপ্রাইজের নামে কার্যাদেশ দেওয়া হলেও তাদের লাইসেন্স ব্যবহার করে কাজ করছেন সগীর হোসেন নামের একজন ঠিকাদার। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বলেন, নানা সমস্যায় কাজটি বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে করা সম্ভব হয়নি। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সংযোগ সড়ক নির্মাণ শেষ করা হবে।

এলজিইডির বরগুনা কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, এরইমধ্যে সেতুটির ৮৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়েই মধ্যে ঠিকাদার সেতুর কাজ শেষ না করলে বিল আটকে দেওয়া হবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

সেতুতে সংযোগ সড়ক না থাকায় মইয়ে ভরসা

প্রকাশের সময় : ০১:২৭:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বরগুনা সদর উপজেলায় চার কোটি টাকার একটি সেতু নির্মাণের জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল এক বছর। দুই দফা মেয়াদ বাড়িয়ে তিন বছরে মূল সেতুর কাজ শেষ হয়। তবে এখনো হয়নি সংযোগ সড়ক (অ্যাপ্রোচ)।

উভয় প্রান্তে নড়বড়ে কাঠের মই দিয়ে রেখেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সেই মই দিয়ে সেতুতে ওঠানামা করতে হচ্ছে তিনটি ইউনিয়নের লক্ষাধিক বাসিন্দার। এটির নির্মাণকাজের শুরু থেকে তিন বছর ধরে ভোগান্তিতে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিশেষ করে বৃষ্টির সময় মই দিয়ে ওঠানামা করতে ভোগান্তির শেষ থাকে না।

সরেজমিনে দেখা যায়, উভয় প্রান্তে মই দিয়ে সেতুতে ওঠানামা করছেন পথচারীরা। কাঠের মই নড়বড়ে থাকায় ঝুঁকি নিয়ে বৃদ্ধ, নারী, স্কুলশিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা সেতু পারাপার করছে। ইতিমধ্যে চারজন আহত হয় বলে জানা গেছে। সর্বশেষ গত শুক্রবার সিংড়াবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা আলেয়া বেগম (৬০) পড়ে আহত হন।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বরগুনা কার্যালয়ের তথ্যমতে, নির্মিতব্য সেতুটির অবস্থান সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের কেওড়াবুনিয়া বাজারসংলগ্ন খাকদোন নদের ওপর। ৩০ দশমিক ৪ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতু নির্মাণে ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭ টাকা ব্যয় ধরা হয়। ২০২০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স হাজী এন্টারপ্রাইজকে নির্মাণের কার্যাদেশ দেয় এলজিইডি। কার্যাদেশ অনুসারে ২০২১ সালের ৫ এপ্রিলের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। পরে মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হয়। তবু কাজ শেষ হয়নি। ঠিকাদারকে দ্বিতীয় দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে চলতি বছরের ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেয় এলজিইডি।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স হাজী এন্টারপ্রাইজের নামে কার্যাদেশ দেওয়া হলেও তাদের লাইসেন্স ব্যবহার করে কাজ করছেন সগীর হোসেন নামের একজন ঠিকাদার। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বলেন, নানা সমস্যায় কাজটি বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে করা সম্ভব হয়নি। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সংযোগ সড়ক নির্মাণ শেষ করা হবে।

এলজিইডির বরগুনা কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, এরইমধ্যে সেতুটির ৮৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। নির্ধারিত সময়েই মধ্যে ঠিকাদার সেতুর কাজ শেষ না করলে বিল আটকে দেওয়া হবে।