Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুষ্ঠু নির্বাচন যতদিন দেরি হবে, দেশে ততই সংকট বাড়বে : আমীর খসরু

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আগামীর ঐক্য হবে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য। এজন্য মানুষের জন্য দায়বদ্ধ সরকার দরকার। এ সময় সুষ্ঠু নির্বাচন যতদিন দেরি হবে, দেশে ততই সংকট বাড়বে।

সোমবার (২৫ মে) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আগামীর ঐক্য হবে গণতন্ত্র, স্বাধীনতার জন্য। এ সময়, আগামীতে মানুষের জন্য দায়বদ্ধ সরকার দরকার।

আমির খসরু বলেন, বাংলাদেশে যতদিন পর্যন্ত গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা না হবে মিডিয়া ততোদিন স্বাধীন হবে না। অগণতান্ত্রিকভাবে যারা ক্ষমতায় থাকে তারা মিডিয়াকে চাপে রাখে।

গণতন্ত্র যা দিতে পারবে কোনো সংস্কার তা দিতে পারবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারকে হতে হবে মানুষের কাছে দায়বদ্ধ, যারা বারবার মানুষের কাছে যাবে। যেভাবে নির্বাচন সংসদের জবাবদিহিতা হয়, মিডিয়াও কিন্তু তার একটা অংশ। মিডিয়া জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে মানুষের কাছে।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র এবং মিডিয়া হাতে হাত মিলিয়ে চলে। গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের যত বেশি অনুপস্থিতি থাকবে, মিডিয়ার ওপর চাপ তত বাড়তে থাকবে।

আমির খসরু বলেন, মিডিয়া তার ভূমিকা সঠিকভাবে পালন করতে না পারলে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করতে পারবেন না। অগণতান্ত্রিকভাবে যে কেউ থাকুক, তারা একটা পর্যায় গিয়ে ক্ষমতা অব্যাহত রাখার জন্য মিডিয়া গ্রুপকে চাপে রাখবে। সুতরাং আমাদের ঐক্য হবে গণতন্ত্রের জন্য। যার মধ্যে মিডিয়ার স্বাধীনতা অন্তর্নিহিত আছে।

তিনি বলেন, আমরা একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনতে চাই। এটি যত বেশি বিঘ্নিত হবে, যত দেরি হবে, তত বেশি সংকট বাড়তে থাকবে।

তিনি আরো বলেন, এই ১৬ বছরের আন্দোলনে আমরা ক্রমান্বয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। এই আন্দোলনটা ছিল বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলন। এটা ছিল মূলত সাংবিধানিক, গণতান্ত্রিক এবং রাজনৈতিক অধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলন। আমরা কিন্তু সে জায়গায় এখনো যেতে পারিনি। পরিষ্কারভাবে একটি জিনিস আমাদের সামনে থাকতে হবে যেটা সাংবাদিকদের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড : আসামি টিটন গাজী ৫ দিনের রিমান্ডে

সুষ্ঠু নির্বাচন যতদিন দেরি হবে, দেশে ততই সংকট বাড়বে : আমীর খসরু

প্রকাশের সময় : ০৯:২৬:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আগামীর ঐক্য হবে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জন্য। এজন্য মানুষের জন্য দায়বদ্ধ সরকার দরকার। এ সময় সুষ্ঠু নির্বাচন যতদিন দেরি হবে, দেশে ততই সংকট বাড়বে।

সোমবার (২৫ মে) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আগামীর ঐক্য হবে গণতন্ত্র, স্বাধীনতার জন্য। এ সময়, আগামীতে মানুষের জন্য দায়বদ্ধ সরকার দরকার।

আমির খসরু বলেন, বাংলাদেশে যতদিন পর্যন্ত গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা না হবে মিডিয়া ততোদিন স্বাধীন হবে না। অগণতান্ত্রিকভাবে যারা ক্ষমতায় থাকে তারা মিডিয়াকে চাপে রাখে।

গণতন্ত্র যা দিতে পারবে কোনো সংস্কার তা দিতে পারবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারকে হতে হবে মানুষের কাছে দায়বদ্ধ, যারা বারবার মানুষের কাছে যাবে। যেভাবে নির্বাচন সংসদের জবাবদিহিতা হয়, মিডিয়াও কিন্তু তার একটা অংশ। মিডিয়া জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে মানুষের কাছে।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র এবং মিডিয়া হাতে হাত মিলিয়ে চলে। গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের যত বেশি অনুপস্থিতি থাকবে, মিডিয়ার ওপর চাপ তত বাড়তে থাকবে।

আমির খসরু বলেন, মিডিয়া তার ভূমিকা সঠিকভাবে পালন করতে না পারলে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করতে পারবেন না। অগণতান্ত্রিকভাবে যে কেউ থাকুক, তারা একটা পর্যায় গিয়ে ক্ষমতা অব্যাহত রাখার জন্য মিডিয়া গ্রুপকে চাপে রাখবে। সুতরাং আমাদের ঐক্য হবে গণতন্ত্রের জন্য। যার মধ্যে মিডিয়ার স্বাধীনতা অন্তর্নিহিত আছে।

তিনি বলেন, আমরা একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনতে চাই। এটি যত বেশি বিঘ্নিত হবে, যত দেরি হবে, তত বেশি সংকট বাড়তে থাকবে।

তিনি আরো বলেন, এই ১৬ বছরের আন্দোলনে আমরা ক্রমান্বয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। এই আন্দোলনটা ছিল বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলন। এটা ছিল মূলত সাংবিধানিক, গণতান্ত্রিক এবং রাজনৈতিক অধিকার ফিরে পাওয়ার আন্দোলন। আমরা কিন্তু সে জায়গায় এখনো যেতে পারিনি। পরিষ্কারভাবে একটি জিনিস আমাদের সামনে থাকতে হবে যেটা সাংবাদিকদের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।