Dhaka রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুষ্ঠু নির্বাচন করার কোনো যোগ্যতা নেই বর্তমান ইসির : হাসনাত আব্দুল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করার কোনো যোগ্যত বার্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

রোববার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত আগারগাঁও থেকে হয় না। নির্বাচন কমিশনের রিমোট অন্য কারও হাতে। তারা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।

তিনি বলেন, আমাদের শাপলা ছাড়া কোনো বিকল্প নাই। তারা শাপলা না দেওয়ার পক্ষে কোনো আইনগত ব্যাখ্যা দিতে পারে নাই। শাপলা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।

নির্বাচন কমিশনের আচরণ প্রসঙ্গে হাসনাত বলেন, মধ্যযুগীয় রাজা-বাদশাদের মতো আচরণ করছে নির্বাচন কমিশন। গণবিশ্বাসী ও জনবান্ধব আচরণ হওয়া উচিত ছিল।

রিমোট কন্ট্রোল নির্বাচন কমিশনের হাতে নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্য কোথাও থেকে রিমোটে সুইচ চাপা হচ্ছে। ইসির এমন আচরণ সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায়।

কমিশন স্বেচ্ছাচারী আচরণ করছে-এমন অভিযোগ করে এনসিপির এই নেতা বলেন, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার মতো বর্তমান কমিশনের কোনো যোগ্যতা নেই। নুরুল হুদার মতো পরিণতি যাতে না হয়, এমন সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

প্রতীক হিসেবে শাপলা ছাড়া এনসিপির বিকল্প কোনো সিদ্ধান্ত নেই জানিয়ে তিনি বলেন, শাপলা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের আইনি কোনো ব্যাখ্যা নেই। তাই শাপলা পেতে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করা হবে।

নির্বাচন কমিশনাররা যদি মনমর্জি মতো ইসি চালায়, তাহলে তাদের পদত্যাগে বাধ্য করা হবে বলে জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, নির্বাচন কমিশন জংলি কায়দায় চলছে। আমরা চিঠি দিয়ে আইনগত ব্যাখ্যা চেয়েছি। নির্বাচন কমিশন গনিমতের মাল হিসেবে বিভিন্ন পক্ষ ভাগাভাগি করে নিয়েছে। আমরা অনিয়মে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। জিয়া, মুজিব রহমান ফ্যালিমি বা নির্দিষ্ট ইসলামের কাছে নির্বাচন কমিশন বর্গা দিতে চাই না, এটা জনগণের হবে।

তিনি বলেন, জুলাই সনদ নামে যে নাটক হয়েছে সংসদে তারা এখন ঘুমাচ্ছে। গণভোটের কোনো নির্দেশনা আসেনি নির্বাচন কমিশনে। চুপ্পুর হাত দিয়ে জুলাই সনদ এনসিপি মানবে না। নির্বাচন কমিশনাররা যেখান থেকে আসছে, তারা তাদের পারপাস সার্ভ করছে। অদৃশ্য শক্তি থেকে মুক্ত করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।

দেশে বিমানবন্দরসহ নানা স্থানে অগ্নিকাণ্ড ঘটছে; মানুষেরও নিরাপত্তা নেই। এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে’? এমন প্রশ্ন তুলে নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, ব্যবসায়ীদের কারখানা কেউ যদি জ্বালিয়ে দেয় এবং রাষ্ট্র কোনো সেক্টরে নিরাপত্তা দিতে না পারে তাহলে কীভাবে রাষ্ট্র একটা জাতীয় নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে?। ভোটার তালিকা সঠিক না হলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। যদি নির্বাচন কমিশনাররা মনমর্জি মতো ইসি চালায় তাহলে তাদের পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।

নির্বাচন কমিশন জংলি কায়দায় চলছে : নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা প্রবাসী ভোটারের নামে ফুর্তি করছে। নির্বাচন কমিশন চাইলে আন্তরিক হলে এক মাসেও ভালো নির্বাচন সম্ভব।

নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, ‘বাংলাদেশ ভালনারেবল অবস্থানে আছে, এই অবস্থায় কীভাবে ক্রেডিবল নির্বাচন হবে? কারোর নিরাপত্তা নেই। কোন সেক্টরে নিরাপত্তা নেই। তাহলে কীসের ভিত্তিতে নির্বাচন হবে। ফেয়ার নির্বাচন দেওয়া সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে ফেব্রুয়ারিতে কীভাবে নির্বাচন হবে?

তিনি বলেন, শাপলা নয়, নতুন ইসি প্রতিষ্ঠিত করতে এসেছি। দেড় কোটি মৃত ভোটারের কী হবে। কমিশন চারভাগে ভাগ। জুলাই সনদ নামে প্রতারণা করা হয়েছে। এই কমিশনের আওতায় কীভাবে ভোটে যাবো। আমরা কমিশনের পদত্যাগ দাবি করছি। প্রবাসীদের ভোটারের নামে তারা বিদেশে আমোদ-ফুতি করছেন। তারা ঘুমিয়ে আছেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

৪টি বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনার অনুমতি পেল বিএনপি

সুষ্ঠু নির্বাচন করার কোনো যোগ্যতা নেই বর্তমান ইসির : হাসনাত আব্দুল্লাহ

প্রকাশের সময় : ০১:১৮:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করার কোনো যোগ্যত বার্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

রোববার (১৯ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত আগারগাঁও থেকে হয় না। নির্বাচন কমিশনের রিমোট অন্য কারও হাতে। তারা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।

তিনি বলেন, আমাদের শাপলা ছাড়া কোনো বিকল্প নাই। তারা শাপলা না দেওয়ার পক্ষে কোনো আইনগত ব্যাখ্যা দিতে পারে নাই। শাপলা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।

নির্বাচন কমিশনের আচরণ প্রসঙ্গে হাসনাত বলেন, মধ্যযুগীয় রাজা-বাদশাদের মতো আচরণ করছে নির্বাচন কমিশন। গণবিশ্বাসী ও জনবান্ধব আচরণ হওয়া উচিত ছিল।

রিমোট কন্ট্রোল নির্বাচন কমিশনের হাতে নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্য কোথাও থেকে রিমোটে সুইচ চাপা হচ্ছে। ইসির এমন আচরণ সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায়।

কমিশন স্বেচ্ছাচারী আচরণ করছে-এমন অভিযোগ করে এনসিপির এই নেতা বলেন, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার মতো বর্তমান কমিশনের কোনো যোগ্যতা নেই। নুরুল হুদার মতো পরিণতি যাতে না হয়, এমন সিদ্ধান্ত থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

প্রতীক হিসেবে শাপলা ছাড়া এনসিপির বিকল্প কোনো সিদ্ধান্ত নেই জানিয়ে তিনি বলেন, শাপলা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের আইনি কোনো ব্যাখ্যা নেই। তাই শাপলা পেতে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করা হবে।

নির্বাচন কমিশনাররা যদি মনমর্জি মতো ইসি চালায়, তাহলে তাদের পদত্যাগে বাধ্য করা হবে বলে জানিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, নির্বাচন কমিশন জংলি কায়দায় চলছে। আমরা চিঠি দিয়ে আইনগত ব্যাখ্যা চেয়েছি। নির্বাচন কমিশন গনিমতের মাল হিসেবে বিভিন্ন পক্ষ ভাগাভাগি করে নিয়েছে। আমরা অনিয়মে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। জিয়া, মুজিব রহমান ফ্যালিমি বা নির্দিষ্ট ইসলামের কাছে নির্বাচন কমিশন বর্গা দিতে চাই না, এটা জনগণের হবে।

তিনি বলেন, জুলাই সনদ নামে যে নাটক হয়েছে সংসদে তারা এখন ঘুমাচ্ছে। গণভোটের কোনো নির্দেশনা আসেনি নির্বাচন কমিশনে। চুপ্পুর হাত দিয়ে জুলাই সনদ এনসিপি মানবে না। নির্বাচন কমিশনাররা যেখান থেকে আসছে, তারা তাদের পারপাস সার্ভ করছে। অদৃশ্য শক্তি থেকে মুক্ত করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।

দেশে বিমানবন্দরসহ নানা স্থানে অগ্নিকাণ্ড ঘটছে; মানুষেরও নিরাপত্তা নেই। এমন পরিস্থিতিতে কীভাবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে’? এমন প্রশ্ন তুলে নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, ব্যবসায়ীদের কারখানা কেউ যদি জ্বালিয়ে দেয় এবং রাষ্ট্র কোনো সেক্টরে নিরাপত্তা দিতে না পারে তাহলে কীভাবে রাষ্ট্র একটা জাতীয় নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে?। ভোটার তালিকা সঠিক না হলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। যদি নির্বাচন কমিশনাররা মনমর্জি মতো ইসি চালায় তাহলে তাদের পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।

নির্বাচন কমিশন জংলি কায়দায় চলছে : নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা প্রবাসী ভোটারের নামে ফুর্তি করছে। নির্বাচন কমিশন চাইলে আন্তরিক হলে এক মাসেও ভালো নির্বাচন সম্ভব।

নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, ‘বাংলাদেশ ভালনারেবল অবস্থানে আছে, এই অবস্থায় কীভাবে ক্রেডিবল নির্বাচন হবে? কারোর নিরাপত্তা নেই। কোন সেক্টরে নিরাপত্তা নেই। তাহলে কীসের ভিত্তিতে নির্বাচন হবে। ফেয়ার নির্বাচন দেওয়া সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে ফেব্রুয়ারিতে কীভাবে নির্বাচন হবে?

তিনি বলেন, শাপলা নয়, নতুন ইসি প্রতিষ্ঠিত করতে এসেছি। দেড় কোটি মৃত ভোটারের কী হবে। কমিশন চারভাগে ভাগ। জুলাই সনদ নামে প্রতারণা করা হয়েছে। এই কমিশনের আওতায় কীভাবে ভোটে যাবো। আমরা কমিশনের পদত্যাগ দাবি করছি। প্রবাসীদের ভোটারের নামে তারা বিদেশে আমোদ-ফুতি করছেন। তারা ঘুমিয়ে আছেন।