Dhaka বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুপার মার্কেটসহ ফিক্সড প্রাইসের দোকানে খুচরা বাজারের চেয়ে দাম কম : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সুপার মার্কেটসহ ফিক্সড প্রাইসের দোকানে খুচরা বাজারের চেয়ে দাম কম। সেখানে বাজার করার অনুরোধ জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সুপারশপের অন্যান্য ইনসেনটিভগুলো নেন তাহলে প্রত্যেকটা রোজার পণ্য সুপারশপগুলোতে ফিক্সড প্রাইজ। সুপারশপ বলব না, ফিক্সড প্রাইজ শপগুলোতে দাম তুলনামূলক কাঁচাবাজারগুলোর চেয়ে কম। ঢাকার প্রত্যেকটা হোলসেল মার্কেট আমাদের নজরদারিতে। পাইকারি বিক্রেতাদের একটি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনতে হবে। তারা যেন ভাউচারগুলো দেয় যে, কত দামে তারা রিটেইলারের কাছে বা খুচরা বিক্রেতার কাছে দিল। আমরা যখন যাই খুচরা বিক্রেতাদের কাছে এটি পাই না। কারণ তারা পাইকারি বাজারের আড়তদার থেকে নয়, পাইকারি বাজারের রাস্তা থেকে কিনছে। সেটাই আমি হাইলাইট করার চেষ্টা করেছিলাম। এগুলো অনুশাসনের মধ্যে আনতে হবে।

তিনি বলেন, সাপ্লাই চেইনের মনিটরিংয়ে একটি সফটওয়্যার ডেভেলপ করার চেষ্টা করছি। যাতে আমরা সাপ্লাই চেইন মনিটরিং করতে পারি। এটা আমরা আগামীকাল উদ্বোধন করব। আমাদের সাপ্লাই চেইন মনিটরিং করতে পারব, কোথা থেকে কীভাবে পণ্য যাচ্ছে। কৃষক বেগুনের দাম পাচ্ছে ১০ টাকা। সেটি ঢাকায় এসে কত টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিপণন একটি আইনের আওতায় আছে, সেটি কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করে আমরা শক্তিশালী করব। চালের ব্যাপারে তেমন অস্থিরতা নেই, যেহেতু কোনো নিউজ নেই।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষা করা। ফিক্সড প্রাইজের যে দোকানগুলো থাকে, সেখানে পণ্যের দামটা লেখা থাকে। কাঁচাবাজারে গেলে যেহেতু দামাদামি করে, যে দামটা চায় সেটিই প্রচার হচ্ছে। কিন্তু যে দামে বিক্রি হচ্ছে, সেটি প্রচার হচ্ছে না।

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ভোক্তা অধিদপ্তরের কাজ উপজেলা পর্যায়ে চলে গেছে। আমাদের নিয়ন্ত্রণে যে উদ্যোগগুলো, সেগুলো নিয়ে ভোক্তা অধিদপ্তর কাজ করছে। আমার নিজের কাছেও অবাক লেগেছে, যারা মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্ত তাদের জন্য সুপারমার্কেট। কিন্তু সুপারমার্কেট অ্যাসোসিয়েশন আমাকে একটি চিঠি দিয়েছে, রোজার মধ্যে কোন প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কত কমে বিক্রি করবে। এটা একটি উদাহরণ হতে পারে।

তিনি বলেন, আপনাদের (গণমাধ্যম) বলব, পণ্যের দাম সেটি হাইলাইট করতে, যেখানে পণ্যের দাম ফিক্সড করে দেওয়া আছে। মানুষের মুখের প্রাইজটা না নিয়ে যেটা ট্যাগে লাগানো আছে, সুপারমার্কেটে যেগুলো থাকে, সেটি হাইলাইট করলে মানুষও জানবে সুপারমার্কেটে তো এইটা, তাহলে কাঁচাবাজারে গিয়ে কেন এটা কিনব? সুপার মার্কেটে যদি ২৯ টাকায় আলু থাকে তাহলে কেন আমি ৩৫ টাকায় দামাদামি করব। অনেকে মনে করে দামাদামি করলে হয়ত দুই টাকা সাশ্রয়ী হবে, সে জন্যই মানুষ কাঁচাবাজারে যায়।

মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে ‘নিম্নমানের খেজুর’ লেখার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাড়াহুড়োয় ভুল হয়ে গেছে। এ সময় ভুলের জন্য ক্ষমাও চান তিনি। কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব ট্রলিং হচ্ছে। আমাদের ছোট একটা… ছোট না আমি বলব যে, বড়ই ভুল…। আমাদের ভাষাটা ঠিক হওয়া দরকার ছিল। সাধারণ মানের জায়গায় শব্দটা একটু ই-হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সেটি সংশোধন করে দিয়েছি, কিন্তু সেটি হাইলাইটেড হয়নি।
তিনি আরো বলেন, আমরা সাধারণ মানের খেজুর এবং বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুর- এ দুটি নামে সংশোধন করে দিয়েছি।

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, আমাদের ভুলত্রুটি, যখন আমরা দ্রুত কাজ করতে যাই… আমরা চেয়েছিলাম প্রথম রমজানেই নোটিশটি দিয়ে দিতে। এক সপ্তাহ আগে তাদের বলেছিলাম স্ব-উদ্যোগী হয়ে দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার। যেহেতু তারা গড়িমসি করছিল… আর আমরা চাচ্ছিলাম প্রথম রমজান থেকে, তাই তাড়াহুড়োয় আমাদের ভুল হয়ে গেছে। সেজন্য আমি বিনীতভাবে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

হাদির ওপর হামলা : ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও ভুয়া নম্বর প্লেট উদ্ধার

সুপার মার্কেটসহ ফিক্সড প্রাইসের দোকানে খুচরা বাজারের চেয়ে দাম কম : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০২:১৬:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সুপার মার্কেটসহ ফিক্সড প্রাইসের দোকানে খুচরা বাজারের চেয়ে দাম কম। সেখানে বাজার করার অনুরোধ জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, সুপারশপের অন্যান্য ইনসেনটিভগুলো নেন তাহলে প্রত্যেকটা রোজার পণ্য সুপারশপগুলোতে ফিক্সড প্রাইজ। সুপারশপ বলব না, ফিক্সড প্রাইজ শপগুলোতে দাম তুলনামূলক কাঁচাবাজারগুলোর চেয়ে কম। ঢাকার প্রত্যেকটা হোলসেল মার্কেট আমাদের নজরদারিতে। পাইকারি বিক্রেতাদের একটি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনতে হবে। তারা যেন ভাউচারগুলো দেয় যে, কত দামে তারা রিটেইলারের কাছে বা খুচরা বিক্রেতার কাছে দিল। আমরা যখন যাই খুচরা বিক্রেতাদের কাছে এটি পাই না। কারণ তারা পাইকারি বাজারের আড়তদার থেকে নয়, পাইকারি বাজারের রাস্তা থেকে কিনছে। সেটাই আমি হাইলাইট করার চেষ্টা করেছিলাম। এগুলো অনুশাসনের মধ্যে আনতে হবে।

তিনি বলেন, সাপ্লাই চেইনের মনিটরিংয়ে একটি সফটওয়্যার ডেভেলপ করার চেষ্টা করছি। যাতে আমরা সাপ্লাই চেইন মনিটরিং করতে পারি। এটা আমরা আগামীকাল উদ্বোধন করব। আমাদের সাপ্লাই চেইন মনিটরিং করতে পারব, কোথা থেকে কীভাবে পণ্য যাচ্ছে। কৃষক বেগুনের দাম পাচ্ছে ১০ টাকা। সেটি ঢাকায় এসে কত টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিপণন একটি আইনের আওতায় আছে, সেটি কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করে আমরা শক্তিশালী করব। চালের ব্যাপারে তেমন অস্থিরতা নেই, যেহেতু কোনো নিউজ নেই।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষা করা। ফিক্সড প্রাইজের যে দোকানগুলো থাকে, সেখানে পণ্যের দামটা লেখা থাকে। কাঁচাবাজারে গেলে যেহেতু দামাদামি করে, যে দামটা চায় সেটিই প্রচার হচ্ছে। কিন্তু যে দামে বিক্রি হচ্ছে, সেটি প্রচার হচ্ছে না।

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ভোক্তা অধিদপ্তরের কাজ উপজেলা পর্যায়ে চলে গেছে। আমাদের নিয়ন্ত্রণে যে উদ্যোগগুলো, সেগুলো নিয়ে ভোক্তা অধিদপ্তর কাজ করছে। আমার নিজের কাছেও অবাক লেগেছে, যারা মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্ত তাদের জন্য সুপারমার্কেট। কিন্তু সুপারমার্কেট অ্যাসোসিয়েশন আমাকে একটি চিঠি দিয়েছে, রোজার মধ্যে কোন প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কত কমে বিক্রি করবে। এটা একটি উদাহরণ হতে পারে।

তিনি বলেন, আপনাদের (গণমাধ্যম) বলব, পণ্যের দাম সেটি হাইলাইট করতে, যেখানে পণ্যের দাম ফিক্সড করে দেওয়া আছে। মানুষের মুখের প্রাইজটা না নিয়ে যেটা ট্যাগে লাগানো আছে, সুপারমার্কেটে যেগুলো থাকে, সেটি হাইলাইট করলে মানুষও জানবে সুপারমার্কেটে তো এইটা, তাহলে কাঁচাবাজারে গিয়ে কেন এটা কিনব? সুপার মার্কেটে যদি ২৯ টাকায় আলু থাকে তাহলে কেন আমি ৩৫ টাকায় দামাদামি করব। অনেকে মনে করে দামাদামি করলে হয়ত দুই টাকা সাশ্রয়ী হবে, সে জন্যই মানুষ কাঁচাবাজারে যায়।

মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে ‘নিম্নমানের খেজুর’ লেখার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তাড়াহুড়োয় ভুল হয়ে গেছে। এ সময় ভুলের জন্য ক্ষমাও চান তিনি। কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব ট্রলিং হচ্ছে। আমাদের ছোট একটা… ছোট না আমি বলব যে, বড়ই ভুল…। আমাদের ভাষাটা ঠিক হওয়া দরকার ছিল। সাধারণ মানের জায়গায় শব্দটা একটু ই-হয়ে গিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে সেটি সংশোধন করে দিয়েছি, কিন্তু সেটি হাইলাইটেড হয়নি।
তিনি আরো বলেন, আমরা সাধারণ মানের খেজুর এবং বহুল ব্যবহৃত জাইদি খেজুর- এ দুটি নামে সংশোধন করে দিয়েছি।

আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, আমাদের ভুলত্রুটি, যখন আমরা দ্রুত কাজ করতে যাই… আমরা চেয়েছিলাম প্রথম রমজানেই নোটিশটি দিয়ে দিতে। এক সপ্তাহ আগে তাদের বলেছিলাম স্ব-উদ্যোগী হয়ে দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার। যেহেতু তারা গড়িমসি করছিল… আর আমরা চাচ্ছিলাম প্রথম রমজান থেকে, তাই তাড়াহুড়োয় আমাদের ভুল হয়ে গেছে। সেজন্য আমি বিনীতভাবে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।