Dhaka সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুপার ওভারে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ, রেকর্ড তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১২:৪৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
  • ১৭৭ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক :

কাতারের দোহায় যেন ফিরে এল ২০১৯ সালের সেই দুঃসহ স্মৃতি। ছয় বছর আগে ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ। এবার নাম বদলে ‘রাইজিং স্টার্স ’ এশিয়া কাপ হলেও বদলাল না ভাগ্য। ১২৬ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিশ্চিত হারের মুখ থেকে ম্যাচ টাই করেও শেষ রক্ষা হলো না। সুপার ওভারের লটারিতে হেরে আবারও পাকিস্তানের কাছে শিরোপা খোয়ালো বাংলাদেশ ‘এ’ দল।

রোববার দোহার ফাইনালে নির্ধারিত ২০ ওভারে দুই দলের স্কোর সমান (১২৫) হওয়ার পর ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানে স্নায়ুচাপ সামলাতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। আহমেদ দানিয়ালের করা সুপার ওভারে মাত্র ৬ রানের পুঁজি পায় আকবর আলীর দল। জবাবে পাকিস্তান শাহিনস মাত্র ৪ বলেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে সর্বোচ্চ তৃতীয়বার শিরোপা জিতল পাকিস্তান।

সুপার ওভারে বাংলাদেশের হয়ে ব্যাট করতে নামেন হাবিবুর রহমান সোহান ও আব্দুল গাফফার সাকলাইন। প্রথম বলে ১ রান এলেও দ্বিতীয় বলেই সাকলাইন ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। পরের বলে ওয়াইড থেকে ৫ রান আসে। তৃতীয় বৈধ বলে জিসান আলম বোল্ড হলে মাত্র ৬ রানেই থামে বাংলাদেশ। ৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে রিপন মণ্ডলের করা ওভারে ৪ বলেই খেলা শেষ করে দেয় পাকিস্তান।

১২৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম দুই ওভারেই ২১ রান তুলে ফেলেছিল বাংলাদেশ। এরপরই ‘মিনি’ মোড়ক লাগে বাংলাদেশ ইনিংসে। পরের ২২ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট। জিশান আলম, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, আকবর আলী থিতু হতে পারেননি উইকেটে। ৩টি চার ও ২টি ছযে ১৭ বলে ২৬ রান তুলে দুর্দান্ত শুরু করা ওপেনার হাবিবুর রহমান সোহানও ফিরে গেলে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। এই চাপ থেকে বেরিয়ে আসতে কেউই ধৈর্যশীল ইনিংস খেলতে পারেননি। ফলে ৪৪/৪ থেকে একপর্যায়ে বাংলাদেশ দলের স্কোর হয়ে যায়—৫৩/৭!

কিন্তু এখানেই শেষ হয়ে যায়নি বাংলাদেশের স্বপ্ন। রঅষ্টম উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তুলে মেহেরব ও রাকিবুল স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন দলকে। কিন্তু ব্যক্তিগত ১৯ রানে মেহেরবের বিদায় তাঁদের ৩৭ রানের জুটি ছিন্ন হলে মনে করা হয়েছিল পাকিস্তানের জয় সময়ের ব্যাপার! ২১ বলে ২৪ রান করে আউট হয়ে যান রাকিবুলও। এরপর শেষ উইকেট জুটিতে আবদুল গাফফার সাকলাইন ও রিপন মণ্ডলের মরীয়া প্রচেষ্টা।

১৯তম ওভারে এই জুটি ২০ রান তুলে ফেললে শেষ ওভারে জয়ের সমীকরণ দাঁড়ায় ৭ রান। তখন মাঠ জুড়ে পিনপতন নিরবতা। পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের নখ খুটতেও দেখা গেল। বাংলাদেশ যে পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ বের করে এনেছে, তাতে একবার মনে হয়েছিল জিতবে বাংলাদেশই। কিন্তু শেষ ওভারে ৭ রানের জায়গায় বাংলাদেশ তুলতে পারল ৬ রান। তাতে ম্যাচ টাই।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে পড়ে মোটামুটি খেই হারিয়েছে পাকিস্তানের ব্যাটাররা। ম্যাচের প্রথম বলেই উল্লাসে মাতে বাংলাদেশ। পেসার রিপনের বল মিড অনে ঠেলে বিপজ্জনক সিঙ্গেল নেওয়ার চেষ্টায় সফল হননি ওপেনার ইয়াসির খান। সাকলাইন বল মুঠোয় জমিয়ে ভেঙে দেন স্টাম্প। ইয়াসিরের মতো রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ ফারিক। মেহেরবের করা প্রথম ও ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে বোল্ড হন তিনি।

আরেক ওপেনার মাজ সাদাকাত এরপর প্রতিরোধ গড়ায় মনোযোগ দেন গাজী ঘৌরিকে নিয়ে। তাদের জুটি ডানা মেলতে দেননি বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল। মেহেরবের মতো তিনিও আক্রমণে গিয়েই সাফল্য পান। তার ভেতরে ঢোকা বলের লাইন মিস করে বোল্ড হন ঘৌরি। পঞ্চম ওভারে দলীয় ২৫ রানে তৃতীয় উইকেট পতন হয় পাকিস্তানের।

এবারের আসরে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা সাদাকাত একপ্রান্ত আগলে ছিলেন। কিন্তু তাকে মাথাব্যথার কারণ হতে দেননি জিশান। লং-অন দিয়ে ছক্কা হজমের পরের বলেই তিনি নেন প্রতিশোধ। ইনসাইড এজ হয়ে স্টাম্প হারান ১৮ বলে ২৩ রান করা সাদাকাত। দুবার জীবন পাওয়া আরাফাত মিনহাস পরাস্ত হন পেসার সাকলাইনের স্লোয়ারে। বোল্ড হওয়ার আগে ২৩ বলে ২৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

ষষ্ঠ ওভারে মেহেরবের বলে সহজ স্টাম্পিং মিস করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক আকবর। নবম ওভারে সাকলাইনের বলে মিড অফে একেবারে অনায়াস ক্যাচ ফেলেন জিশান। তবে দুই দফা বেঁচে গেলেও সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন মিনহাস। শেষমেশ সাকলাইনের শিকার হন তিনি।

টপাটপ উইকেট হারিয়ে রান তোলার গতি কমে আসে পাকিস্তানের। তাদের দুর্দশা আরও বাড়ে পঞ্চদশ ওভারে। ইরফান খানকে এলবিডব্লিউ করে উদযাপনে মাতোয়ারা হন রকিবুল। ক্রিজে ধুঁকতে থাকা ইরফানের সংগ্রহ ২২ বলে ৯ রান।

দলীয় ৭৫ রানে ৬ উইকেট তুলে নেওয়ার পর পাল্টা আক্রমণের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। খোলস ঝেড়ে তেতে ওঠেন মাসুদ। মাহফুজুর রহমান রাব্বির করা ১৬তম ওভারে ১২, রিপনের করা ১৭তম ওভারে ১৫ এবং সাকলাইনের করা ১৮তম ওভারে ১৩ রান ওঠে। সপ্তম উইকেটে ২০ বলে ৪১ রানের জুটিতে অস্বস্তি বাড়ে বাংলাদেশের।

সেই কাঁটা দূর করে ১৯তম ওভারে নিজের সামর্থ্যের সেরাটা ঢেলে দেন রিপন। প্রথম বলে শহিদ আজিজকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে আটকানোর পর চতুর্থ বলে দারুণ ইয়র্কারে বোল্ড করে ছাঁটেন আগ্রাসী রূপে থাকা মাসুদকে। তার পরের বলে আরেকটি নিখুঁত ইয়র্কারে উবাইদ শাহ স্টাম্প খোয়ালে জাগে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও। তা অবশ্য পূর্ণতা পায়নি।

ইনিংসের শেষ বলে আকবরের সরাসরি থ্রোতে রানআউট হন আহমেদ দানিয়াল। অপরাজিত থেকে যান সুফিয়ান মুকিম। পাকিস্তান শেষ ৪ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে মোটে ৯ রান যোগ করতে পারে।

বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে রিপন মন্ডল নেন ৩টি উইকেট। ২ উইকেট নেন রাকিবুল হাসান, ১টি করে উইকেট নেন এসএম মেহরব, জিসান আলম ও আবদুল গাফ্ফার সাকলাইন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সুপার ওভারে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ, রেকর্ড তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান

সুপার ওভারে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ, রেকর্ড তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান

প্রকাশের সময় : ১২:৪৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক :

কাতারের দোহায় যেন ফিরে এল ২০১৯ সালের সেই দুঃসহ স্মৃতি। ছয় বছর আগে ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরেছিল বাংলাদেশ। এবার নাম বদলে ‘রাইজিং স্টার্স ’ এশিয়া কাপ হলেও বদলাল না ভাগ্য। ১২৬ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নিশ্চিত হারের মুখ থেকে ম্যাচ টাই করেও শেষ রক্ষা হলো না। সুপার ওভারের লটারিতে হেরে আবারও পাকিস্তানের কাছে শিরোপা খোয়ালো বাংলাদেশ ‘এ’ দল।

রোববার দোহার ফাইনালে নির্ধারিত ২০ ওভারে দুই দলের স্কোর সমান (১২৫) হওয়ার পর ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানে স্নায়ুচাপ সামলাতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশ। আহমেদ দানিয়ালের করা সুপার ওভারে মাত্র ৬ রানের পুঁজি পায় আকবর আলীর দল। জবাবে পাকিস্তান শাহিনস মাত্র ৪ বলেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে সর্বোচ্চ তৃতীয়বার শিরোপা জিতল পাকিস্তান।

সুপার ওভারে বাংলাদেশের হয়ে ব্যাট করতে নামেন হাবিবুর রহমান সোহান ও আব্দুল গাফফার সাকলাইন। প্রথম বলে ১ রান এলেও দ্বিতীয় বলেই সাকলাইন ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। পরের বলে ওয়াইড থেকে ৫ রান আসে। তৃতীয় বৈধ বলে জিসান আলম বোল্ড হলে মাত্র ৬ রানেই থামে বাংলাদেশ। ৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে রিপন মণ্ডলের করা ওভারে ৪ বলেই খেলা শেষ করে দেয় পাকিস্তান।

১২৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম দুই ওভারেই ২১ রান তুলে ফেলেছিল বাংলাদেশ। এরপরই ‘মিনি’ মোড়ক লাগে বাংলাদেশ ইনিংসে। পরের ২২ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলে ৪ উইকেট। জিশান আলম, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, আকবর আলী থিতু হতে পারেননি উইকেটে। ৩টি চার ও ২টি ছযে ১৭ বলে ২৬ রান তুলে দুর্দান্ত শুরু করা ওপেনার হাবিবুর রহমান সোহানও ফিরে গেলে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। এই চাপ থেকে বেরিয়ে আসতে কেউই ধৈর্যশীল ইনিংস খেলতে পারেননি। ফলে ৪৪/৪ থেকে একপর্যায়ে বাংলাদেশ দলের স্কোর হয়ে যায়—৫৩/৭!

কিন্তু এখানেই শেষ হয়ে যায়নি বাংলাদেশের স্বপ্ন। রঅষ্টম উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তুলে মেহেরব ও রাকিবুল স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন দলকে। কিন্তু ব্যক্তিগত ১৯ রানে মেহেরবের বিদায় তাঁদের ৩৭ রানের জুটি ছিন্ন হলে মনে করা হয়েছিল পাকিস্তানের জয় সময়ের ব্যাপার! ২১ বলে ২৪ রান করে আউট হয়ে যান রাকিবুলও। এরপর শেষ উইকেট জুটিতে আবদুল গাফফার সাকলাইন ও রিপন মণ্ডলের মরীয়া প্রচেষ্টা।

১৯তম ওভারে এই জুটি ২০ রান তুলে ফেললে শেষ ওভারে জয়ের সমীকরণ দাঁড়ায় ৭ রান। তখন মাঠ জুড়ে পিনপতন নিরবতা। পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের নখ খুটতেও দেখা গেল। বাংলাদেশ যে পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ বের করে এনেছে, তাতে একবার মনে হয়েছিল জিতবে বাংলাদেশই। কিন্তু শেষ ওভারে ৭ রানের জায়গায় বাংলাদেশ তুলতে পারল ৬ রান। তাতে ম্যাচ টাই।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে পড়ে মোটামুটি খেই হারিয়েছে পাকিস্তানের ব্যাটাররা। ম্যাচের প্রথম বলেই উল্লাসে মাতে বাংলাদেশ। পেসার রিপনের বল মিড অনে ঠেলে বিপজ্জনক সিঙ্গেল নেওয়ার চেষ্টায় সফল হননি ওপেনার ইয়াসির খান। সাকলাইন বল মুঠোয় জমিয়ে ভেঙে দেন স্টাম্প। ইয়াসিরের মতো রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন মোহাম্মদ ফারিক। মেহেরবের করা প্রথম ও ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে বোল্ড হন তিনি।

আরেক ওপেনার মাজ সাদাকাত এরপর প্রতিরোধ গড়ায় মনোযোগ দেন গাজী ঘৌরিকে নিয়ে। তাদের জুটি ডানা মেলতে দেননি বাঁহাতি স্পিনার রকিবুল। মেহেরবের মতো তিনিও আক্রমণে গিয়েই সাফল্য পান। তার ভেতরে ঢোকা বলের লাইন মিস করে বোল্ড হন ঘৌরি। পঞ্চম ওভারে দলীয় ২৫ রানে তৃতীয় উইকেট পতন হয় পাকিস্তানের।

এবারের আসরে ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা সাদাকাত একপ্রান্ত আগলে ছিলেন। কিন্তু তাকে মাথাব্যথার কারণ হতে দেননি জিশান। লং-অন দিয়ে ছক্কা হজমের পরের বলেই তিনি নেন প্রতিশোধ। ইনসাইড এজ হয়ে স্টাম্প হারান ১৮ বলে ২৩ রান করা সাদাকাত। দুবার জীবন পাওয়া আরাফাত মিনহাস পরাস্ত হন পেসার সাকলাইনের স্লোয়ারে। বোল্ড হওয়ার আগে ২৩ বলে ২৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে।

ষষ্ঠ ওভারে মেহেরবের বলে সহজ স্টাম্পিং মিস করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক আকবর। নবম ওভারে সাকলাইনের বলে মিড অফে একেবারে অনায়াস ক্যাচ ফেলেন জিশান। তবে দুই দফা বেঁচে গেলেও সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন মিনহাস। শেষমেশ সাকলাইনের শিকার হন তিনি।

টপাটপ উইকেট হারিয়ে রান তোলার গতি কমে আসে পাকিস্তানের। তাদের দুর্দশা আরও বাড়ে পঞ্চদশ ওভারে। ইরফান খানকে এলবিডব্লিউ করে উদযাপনে মাতোয়ারা হন রকিবুল। ক্রিজে ধুঁকতে থাকা ইরফানের সংগ্রহ ২২ বলে ৯ রান।

দলীয় ৭৫ রানে ৬ উইকেট তুলে নেওয়ার পর পাল্টা আক্রমণের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। খোলস ঝেড়ে তেতে ওঠেন মাসুদ। মাহফুজুর রহমান রাব্বির করা ১৬তম ওভারে ১২, রিপনের করা ১৭তম ওভারে ১৫ এবং সাকলাইনের করা ১৮তম ওভারে ১৩ রান ওঠে। সপ্তম উইকেটে ২০ বলে ৪১ রানের জুটিতে অস্বস্তি বাড়ে বাংলাদেশের।

সেই কাঁটা দূর করে ১৯তম ওভারে নিজের সামর্থ্যের সেরাটা ঢেলে দেন রিপন। প্রথম বলে শহিদ আজিজকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে আটকানোর পর চতুর্থ বলে দারুণ ইয়র্কারে বোল্ড করে ছাঁটেন আগ্রাসী রূপে থাকা মাসুদকে। তার পরের বলে আরেকটি নিখুঁত ইয়র্কারে উবাইদ শাহ স্টাম্প খোয়ালে জাগে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও। তা অবশ্য পূর্ণতা পায়নি।

ইনিংসের শেষ বলে আকবরের সরাসরি থ্রোতে রানআউট হন আহমেদ দানিয়াল। অপরাজিত থেকে যান সুফিয়ান মুকিম। পাকিস্তান শেষ ৪ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে মোটে ৯ রান যোগ করতে পারে।

বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে রিপন মন্ডল নেন ৩টি উইকেট। ২ উইকেট নেন রাকিবুল হাসান, ১টি করে উইকেট নেন এসএম মেহরব, জিসান আলম ও আবদুল গাফ্ফার সাকলাইন।