Dhaka রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জে ৫০ মিটার রাস্তার জন্য ভোগান্তিতে স্থানীয়রা

সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সদর বাজারের অভ্যন্তরে খাদ্যগুদামের সামনের রাস্তাটি প্রায় ৫০ মিটার। এই ছোট অংশটুকুর নির্মাণকাজ ঝুলে থাকায় দুর্ভোগ কমছে না স্থানীয়দের।

সড়কের দুই পাশে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি জমে যেমন তৈরি হয় জলাবদ্ধতা, তেমনি পানি শুকিয়ে গেলে কর্দমাক্ত হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে সেখানে স্বাভবিক চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়ে। স্থানীয়দের কয়েকজন বলেন, মাত্র ৫০ মিটার রাস্তার জন্য ভোগান্তির সীমা ছাড়িয়েছে। কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। দ্রুত ওই অংশের কাজ শেষ করা দরকার।

এলজিইডির হাওর এলাকায় উড়াল সড়ক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০২৩ সালে ধর্মপাশা থানার সামনে থেকে বাহুটিয়াকান্দা পর্যন্ত ১ হাজার ৪০০ মিটার সড়ক নির্মাণ এবং ৩৭ মিটার দৈর্ঘ্যের শয়তানখালী সেতু নির্মাণ ও একটি কালভার্ট নির্মাণের কাজ পায় সুনামগঞ্জের মাহবুব এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

এ কাজের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ৯ কোটি ৯৭ লাখ ৮০ হাজার ৪৮০ টাকা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ওই বছরের ২৬ মার্চ কার্যাদেশ দিলেও নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে পারেনি। তাই দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য গত বছর বাজারের ব্যবসায়ীরা মানববন্ধনও করেন। পরে সময় বর্ধিত করা হয়। ইতোমধ্যে থানার সামনে কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়েছে। সড়ক নির্মাণের কাজ শেষ হলেও খাদ্যগুদামের সামনে প্রায় ৫০ মিটার জায়গার কাজ এখনও বাকি। এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, ওই অংশে সড়কটি প্রশস্ত করতে হলে খাদ্যগুদামের সীমানাপ্রাচীর ভাঙার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে সীমানাপ্রাচীর ভাঙার ব্যাপারে অনুমতি না মেলায় কাজ করা যায়নি।

ধর্মপাশা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, পুরোনো সীমানাপ্রাচীরের অভ্যন্তরে এলজিইডির নিজ খরচে নতুন একটি সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করে দেওয়া সাপেক্ষে সড়ক প্রশস্তকরণের ব্যাপারে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি পাওয়া গেছে।

উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সারোয়ার হোসেন বলেন, বাজারের প্রধান সড়কটির বিভিন্ন জায়গা কিছু ব্যবসায়ীর দখলে রয়েছে। খাদ্যগুদামের সামনের অংশের কাজ না হওয়ায় যানজটের সৃষ্টি এবং জরুরি প্রয়োজনে বাজারের অভ্যন্তরে যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সড়ক থেকে দখল উচ্ছেদসহ খাদ্যগুদামের সামনের অংশের কাজ দ্রুত শেষ করা উচিত।

উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন বলেন, খাদ্যগুদামের সীমানাপ্রাচীরের কারণে সড়কটি প্রশস্ত করা যাচ্ছিল না। সীমানাপ্রাচীর সরানোর অনুমতি দেরিতে পাওয়ায় কাজটি শেষ করতে দেরি হচ্ছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

সুনামগঞ্জে ৫০ মিটার রাস্তার জন্য ভোগান্তিতে স্থানীয়রা

প্রকাশের সময় : ০৪:৩৬:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সদর বাজারের অভ্যন্তরে খাদ্যগুদামের সামনের রাস্তাটি প্রায় ৫০ মিটার। এই ছোট অংশটুকুর নির্মাণকাজ ঝুলে থাকায় দুর্ভোগ কমছে না স্থানীয়দের।

সড়কের দুই পাশে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি জমে যেমন তৈরি হয় জলাবদ্ধতা, তেমনি পানি শুকিয়ে গেলে কর্দমাক্ত হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে সেখানে স্বাভবিক চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়ে। স্থানীয়দের কয়েকজন বলেন, মাত্র ৫০ মিটার রাস্তার জন্য ভোগান্তির সীমা ছাড়িয়েছে। কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। দ্রুত ওই অংশের কাজ শেষ করা দরকার।

এলজিইডির হাওর এলাকায় উড়াল সড়ক ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০২৩ সালে ধর্মপাশা থানার সামনে থেকে বাহুটিয়াকান্দা পর্যন্ত ১ হাজার ৪০০ মিটার সড়ক নির্মাণ এবং ৩৭ মিটার দৈর্ঘ্যের শয়তানখালী সেতু নির্মাণ ও একটি কালভার্ট নির্মাণের কাজ পায় সুনামগঞ্জের মাহবুব এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

এ কাজের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ৯ কোটি ৯৭ লাখ ৮০ হাজার ৪৮০ টাকা। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ওই বছরের ২৬ মার্চ কার্যাদেশ দিলেও নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে পারেনি। তাই দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য গত বছর বাজারের ব্যবসায়ীরা মানববন্ধনও করেন। পরে সময় বর্ধিত করা হয়। ইতোমধ্যে থানার সামনে কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়েছে। সড়ক নির্মাণের কাজ শেষ হলেও খাদ্যগুদামের সামনে প্রায় ৫০ মিটার জায়গার কাজ এখনও বাকি। এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, ওই অংশে সড়কটি প্রশস্ত করতে হলে খাদ্যগুদামের সীমানাপ্রাচীর ভাঙার প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে সীমানাপ্রাচীর ভাঙার ব্যাপারে অনুমতি না মেলায় কাজ করা যায়নি।

ধর্মপাশা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, পুরোনো সীমানাপ্রাচীরের অভ্যন্তরে এলজিইডির নিজ খরচে নতুন একটি সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করে দেওয়া সাপেক্ষে সড়ক প্রশস্তকরণের ব্যাপারে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি পাওয়া গেছে।

উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সারোয়ার হোসেন বলেন, বাজারের প্রধান সড়কটির বিভিন্ন জায়গা কিছু ব্যবসায়ীর দখলে রয়েছে। খাদ্যগুদামের সামনের অংশের কাজ না হওয়ায় যানজটের সৃষ্টি এবং জরুরি প্রয়োজনে বাজারের অভ্যন্তরে যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সড়ক থেকে দখল উচ্ছেদসহ খাদ্যগুদামের সামনের অংশের কাজ দ্রুত শেষ করা উচিত।

উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহাব উদ্দিন বলেন, খাদ্যগুদামের সীমানাপ্রাচীরের কারণে সড়কটি প্রশস্ত করা যাচ্ছিল না। সীমানাপ্রাচীর সরানোর অনুমতি দেরিতে পাওয়ায় কাজটি শেষ করতে দেরি হচ্ছে।