Dhaka মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ২০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫

সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

কমিটিতে পদ না পাওয়ার জেরে সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ইটপাটকেলের আঘাতে উভয় পক্ষের পাঁচ জন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে পৌর শহরের জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাংগঠনিক কাঠামো বিস্তারের লক্ষ্যে ১০ নভেম্বর কেন্দ্র থেকে ইমনদ্দোজা আহমদকে আহ্বায়ক ও মেহেদী হাসানকে সদস্যসচিব করে ৯৯ সদস্যের সুনামগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার পর পদবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের একটি অংশ ক্ষুব্ধ হন। সবাইকে নিয়ে কমিটি পুনর্গঠনের দাবিতে গত মঙ্গলবার বিকেলে শহরে বঞ্চিত পক্ষ মানববন্ধন করে। আজ নতুন কমিটির পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা ছিল জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে। সকাল থেকেই সেখানে শিক্ষার্থীরা জড়ো হন। দুপুরের দিকে কমিটিতে স্থান না পাওয়া শিক্ষার্থীরা সেখানে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচ জন আহত হন।

কমিটিতে স্থান না পাওয়া শিক্ষার্থী তানভীর আহমদ বলেন, সুনামগঞ্জে কমিটি গঠন নিয়ে বৈষম্য হয়েছে। আন্দোলনে সক্রিয় থাকা অনেকে কমিটিতে স্থান পাননি। আমরা জেনেছি, আজ শিল্পকলা একাডেমিতে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আসবেন, তাই কমিটির বিষয়ে আলোচনা করতে আমরা এসেছিলাম। কিন্তু আমাদের হলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরে দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। একে-অপরের ওপর ইটপাটকেল ছোড়ে।

কমিটির আহ্বায়ক ইমনদ্দোজা আহমদ বলেন, কমিটি নিয়ে কারও কোনও মতামত থাকলে সেটি কেন্দ্রে জানানোর সুযোগ আছে। আজ আমাদের পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা ছিল। এতে কিছু শিক্ষার্থী এসে পরিকল্পিতভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। তারা হলে ঢুকে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।

ওসি নাজমুল হক বলেন, কমিটিতে পদ না পাওয়া নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

আবহাওয়া

সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি তরুণীর পা বিচ্ছিন্ন

সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫

প্রকাশের সময় : ১০:৩৬:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

কমিটিতে পদ না পাওয়ার জেরে সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ইটপাটকেলের আঘাতে উভয় পক্ষের পাঁচ জন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে পৌর শহরের জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাংগঠনিক কাঠামো বিস্তারের লক্ষ্যে ১০ নভেম্বর কেন্দ্র থেকে ইমনদ্দোজা আহমদকে আহ্বায়ক ও মেহেদী হাসানকে সদস্যসচিব করে ৯৯ সদস্যের সুনামগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটি ঘোষণার পর পদবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের একটি অংশ ক্ষুব্ধ হন। সবাইকে নিয়ে কমিটি পুনর্গঠনের দাবিতে গত মঙ্গলবার বিকেলে শহরে বঞ্চিত পক্ষ মানববন্ধন করে। আজ নতুন কমিটির পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা ছিল জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে। সকাল থেকেই সেখানে শিক্ষার্থীরা জড়ো হন। দুপুরের দিকে কমিটিতে স্থান না পাওয়া শিক্ষার্থীরা সেখানে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচ জন আহত হন।

কমিটিতে স্থান না পাওয়া শিক্ষার্থী তানভীর আহমদ বলেন, সুনামগঞ্জে কমিটি গঠন নিয়ে বৈষম্য হয়েছে। আন্দোলনে সক্রিয় থাকা অনেকে কমিটিতে স্থান পাননি। আমরা জেনেছি, আজ শিল্পকলা একাডেমিতে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আসবেন, তাই কমিটির বিষয়ে আলোচনা করতে আমরা এসেছিলাম। কিন্তু আমাদের হলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরে দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। একে-অপরের ওপর ইটপাটকেল ছোড়ে।

কমিটির আহ্বায়ক ইমনদ্দোজা আহমদ বলেন, কমিটি নিয়ে কারও কোনও মতামত থাকলে সেটি কেন্দ্রে জানানোর সুযোগ আছে। আজ আমাদের পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা ছিল। এতে কিছু শিক্ষার্থী এসে পরিকল্পিতভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। তারা হলে ঢুকে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।

ওসি নাজমুল হক বলেন, কমিটিতে পদ না পাওয়া নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।