Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জে দেড় যুগেও চালু হয়নি ফতেহপুর সেতু

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নকশা ও ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় দীর্ঘ দেড় যুগ পেরিয়ে গেলেও চালু হয়নি সুনামগঞ্জের আবুয়া নদীর ওপর নির্মাণাধীন ফতেহপুর সেতু। এতে ছয় উপজেলার লাখো মানুষ যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। তবে জুনে সেতুটি চালুর কথা জানান সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী।

আবুয়া নদীতে খেয়া দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ জেলা শহরে যাতায়াত করেন। খেয়া নৌকায় নদী পার হতে গিয়ে পড়তে হয় নানান বিড়ম্বনায়। প্রচণ্ড স্রোতের কারণে বর্ষাকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা দিয়ে নদী পারাপার হন সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা। এতে শিক্ষার্থীদের সময়মতো স্কুলে যাওয়া-আসা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। নিয়মিত ক্লাসে অংশগ্রহণও বাধাগ্রস্ত হয়।

২০০৮ সালে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩৫ দশমিক ৯২৬ মিটার দীর্ঘ ও ১০ দশমিক ২৫ মিটার প্রস্থের সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। নদীর মধ্যভাগ অতিরিক্ত গভীর হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় মেইন পিলার নির্মাণের কাজ। অন্যদিকে সেতুর পশ্চিম পাড়ে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতার কারণে থমকে যায় সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ। ফলে সেতুর পূর্ব পাশের সংযোগ সড়কের কাজ শেষ হলেও পশ্চিম পাশে চলছে মাটি ভরাটের কাজ। দ্বিতীয় ধাপে ২০১৭ সালে সেতু নির্মাণের বরাদ্দ বাড়িয়ে ২২ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণকাজ শুরু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদফতর জানায়, জেলা শহরের সঙ্গে তাহিরপুর, ধর্মপাশা, মধ্যনগর, জামালগঞ্জ ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মানুষের সহজে কম সময়ে যাতায়াতের জন্য নির্মাণকাজ শুরু হয় এ সেতুর। সেতুটি চালু হলে ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার দূরত্ব কমে আসবে এসব উপজেলার সঙ্গে। এতে সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হবে। পাশাপাশি এসব এলাকায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য সহজে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা যাবে। এলাকাবাসী দ্রুত সংযোগ সড়কের কাজ শেষ করে সেতু চালু করার দাবি জানান।

সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম প্রামাণিক বলেন, জুনে সেতু চালু করে দেয়া হবে। মূল সেতুর ৯৯ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। সেতুটি চালু হলে ছয় উপজেলার সঙ্গে জেলা সদরের দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার কমে আসবে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

সুনামগঞ্জে দেড় যুগেও চালু হয়নি ফতেহপুর সেতু

প্রকাশের সময় : ১২:৫৪:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

নকশা ও ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় দীর্ঘ দেড় যুগ পেরিয়ে গেলেও চালু হয়নি সুনামগঞ্জের আবুয়া নদীর ওপর নির্মাণাধীন ফতেহপুর সেতু। এতে ছয় উপজেলার লাখো মানুষ যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। তবে জুনে সেতুটি চালুর কথা জানান সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী।

আবুয়া নদীতে খেয়া দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ জেলা শহরে যাতায়াত করেন। খেয়া নৌকায় নদী পার হতে গিয়ে পড়তে হয় নানান বিড়ম্বনায়। প্রচণ্ড স্রোতের কারণে বর্ষাকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা দিয়ে নদী পারাপার হন সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা। এতে শিক্ষার্থীদের সময়মতো স্কুলে যাওয়া-আসা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। নিয়মিত ক্লাসে অংশগ্রহণও বাধাগ্রস্ত হয়।

২০০৮ সালে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩৫ দশমিক ৯২৬ মিটার দীর্ঘ ও ১০ দশমিক ২৫ মিটার প্রস্থের সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। নদীর মধ্যভাগ অতিরিক্ত গভীর হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় মেইন পিলার নির্মাণের কাজ। অন্যদিকে সেতুর পশ্চিম পাড়ে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতার কারণে থমকে যায় সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ। ফলে সেতুর পূর্ব পাশের সংযোগ সড়কের কাজ শেষ হলেও পশ্চিম পাশে চলছে মাটি ভরাটের কাজ। দ্বিতীয় ধাপে ২০১৭ সালে সেতু নির্মাণের বরাদ্দ বাড়িয়ে ২২ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণকাজ শুরু করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদফতর জানায়, জেলা শহরের সঙ্গে তাহিরপুর, ধর্মপাশা, মধ্যনগর, জামালগঞ্জ ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মানুষের সহজে কম সময়ে যাতায়াতের জন্য নির্মাণকাজ শুরু হয় এ সেতুর। সেতুটি চালু হলে ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার দূরত্ব কমে আসবে এসব উপজেলার সঙ্গে। এতে সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হবে। পাশাপাশি এসব এলাকায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য সহজে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা যাবে। এলাকাবাসী দ্রুত সংযোগ সড়কের কাজ শেষ করে সেতু চালু করার দাবি জানান।

সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম প্রামাণিক বলেন, জুনে সেতু চালু করে দেয়া হবে। মূল সেতুর ৯৯ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। সেতুটি চালু হলে ছয় উপজেলার সঙ্গে জেলা সদরের দূরত্ব ১৫ কিলোমিটার কমে আসবে।