Dhaka বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জে গৃহকর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

সুনামগঞ্জ জেলার শহরতলীর বাধনপাড়া এলাকায় এক গৃহকর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, বাড়ির মালিক ও তার ছেলেদের নির্যাতনে প্রাণ গেছে মেয়েটির।

বুধবার (১৪ মে) দুপুরে বাধনপাড়ার একটি বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।

নিহত গৃহকর্মীর নাম চম্পা বেগম (১৭)। তিনি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম বাদশা মিয়া।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চম্পার মরদেহ বাসার জানালার গ্রিলে ঝুলন্ত অবস্থায় প্রথম দেখতে পান ওই বাড়ির মালিকের ছেলে শুভ। তিনি প্রথমে নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন, কিন্তু ব্যর্থ হন। পরে তিনি ঢাকায় অবস্থানরত চম্পার চাচাতো বোনকে বিষয়টি জানান। সেখান থেকেই খবর যায় চম্পার পরিবারের কাছে।

চম্পার বাবা বাদশা মিয়া বলেন, তিন বছর আগে চম্পা ওই বাড়িতে কাজ করতেন। তখনও ওদের পরিবারের নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। তাই আমরা তাকে বাড়ি নিয়ে আসি। কিন্তু পরে বাড়ির মালিক নিক্কু চেয়ারম্যানের অনুরোধে মেয়েকে আবার সেখানে পাঠাই। এবার আর বেঁচে ফিরল না।

নিহতের বড় বোন সায়মা বেগম বলেন, কদিন আগে আমার বোন আমাকে ফোনে জানিয়েছে নিক্কু চেয়ারম্যান ও তার ছেলেরা আমার বোনকে লাঞ্ছিত করে। সে এখানে আর কাজ করতে চায় না। আমার বোনকে বাড়িওয়ালা ও তার ছেলেরা হত্যা করেছে। আমরা এই হত্যার বিচার চাই।

ঘটনার বিষয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানার তদন্ত কর্মকর্তা মনিবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছি। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

আবহাওয়া

বদলির চিঠি প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলায় ৮ কর কর্মকর্তা বরখাস্ত

সুনামগঞ্জে গৃহকর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশের সময় : ০৪:২৬:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫

সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

সুনামগঞ্জ জেলার শহরতলীর বাধনপাড়া এলাকায় এক গৃহকর্মীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, বাড়ির মালিক ও তার ছেলেদের নির্যাতনে প্রাণ গেছে মেয়েটির।

বুধবার (১৪ মে) দুপুরে বাধনপাড়ার একটি বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।

নিহত গৃহকর্মীর নাম চম্পা বেগম (১৭)। তিনি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম বাদশা মিয়া।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চম্পার মরদেহ বাসার জানালার গ্রিলে ঝুলন্ত অবস্থায় প্রথম দেখতে পান ওই বাড়ির মালিকের ছেলে শুভ। তিনি প্রথমে নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন, কিন্তু ব্যর্থ হন। পরে তিনি ঢাকায় অবস্থানরত চম্পার চাচাতো বোনকে বিষয়টি জানান। সেখান থেকেই খবর যায় চম্পার পরিবারের কাছে।

চম্পার বাবা বাদশা মিয়া বলেন, তিন বছর আগে চম্পা ওই বাড়িতে কাজ করতেন। তখনও ওদের পরিবারের নির্যাতনের শিকার হয়েছিল। তাই আমরা তাকে বাড়ি নিয়ে আসি। কিন্তু পরে বাড়ির মালিক নিক্কু চেয়ারম্যানের অনুরোধে মেয়েকে আবার সেখানে পাঠাই। এবার আর বেঁচে ফিরল না।

নিহতের বড় বোন সায়মা বেগম বলেন, কদিন আগে আমার বোন আমাকে ফোনে জানিয়েছে নিক্কু চেয়ারম্যান ও তার ছেলেরা আমার বোনকে লাঞ্ছিত করে। সে এখানে আর কাজ করতে চায় না। আমার বোনকে বাড়িওয়ালা ও তার ছেলেরা হত্যা করেছে। আমরা এই হত্যার বিচার চাই।

ঘটনার বিষয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানার তদন্ত কর্মকর্তা মনিবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে একটি ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছি। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন এলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।