নিজস্ব প্রতিবেদক :
সুনামগঞ্জের পাথারিয়া এলাকায় মরা সুরমা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলেও সড়ক সংস্কার না করলে ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতু ২০ গ্রামের মানুষের কোন কাজে আসবে না। এদিকে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, সড়ক সংস্কার করা হবে।
শান্তিগঞ্জ উপজেলায় সঙ্গে স্বল্প খরচে স্বল্প সময়ে যাতায়াতের জন্য পাথারিয়া বাজারের পাশেই ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৭৫ মিটার দীর্ঘ ও ১০ মিটার প্রস্থের সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে দুই পাশের সংযোগ সড়কের কাজ। সংযোগ সড়কের কাজ শেষ হওয়ার পরে চালু হবে সেতু। সেতু দিয়ে ছোট বড় ভারী মাঝারি সব ধরনের যানবাহন পারাপার হতে পারলেও সেতু অনুপাতে সড়ক না থাকায় সেতুর সুফল পাবেন না এলাকাবাসী।
সেতুর সংযোগ সড়কের পরেই মাইলের পর মাইল সরু সড়ক। এই সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল, ইজিবাইক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করতে পড়তে হয় নানা সমস্যায়। একটি গাড়ি আরেকটি গাড়িকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার মতো জায়গা নেই সড়কে। বিগত বন্যায় সড়কের বেশ কয়েকটি জায়গায় ধসে পড়েছে কংক্রিটের ঢালাই কোথাও দেবে গেছে সড়ক। জামলাবাজ গ্রাম থেকে পুরো ছয় কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা।
জাল্লাবাজ গ্রামের আব্দুল কাইয়ুম বলেন, কিছু দিনের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু সড়ক সংস্কার না করলে কাজে আসবেন না।
পাথারিয়া বাজারের ব্যবসায়ী আবুল হোসেন বলেন, সড়ক না থাকায় আমরা অনেক ঘুরে সিলেট থেকে মালামাল আনি। ভারী যান চলাচলের জন্য ভালো সড়ক নির্মাণ করতে হবে।
নগর গ্রামের মতিন্দ্র দাস বলেন, আমরা সড়কের লাগি দ্রুত সিলেট শান্তিগঞ্জ যেতে পারি না। সড়ক হলে আমাদের দূরত্ব কমে যাবে, পাশাপাশি অর্থও সাশ্রয় হবে।
সুনামগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, জামলাবাজ জয়কলস সড়ক সংস্কার করা হবে।
সেতু চালু ও সড়ক সংস্কার হলে দিরাই ও শাল্লা উপজেলার মানুষের বিভাগীয় শহর সিলেট যেতে ত্রিশ মিনিট সময় কম লাগবে ২৫ কিলোমিটার দূরত্ব কমে যাবে।