আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
সুদানের উত্তর দারফুর রাজ্যের রাজধানী এল ফাশারে গত দুই দিনে দুটি বাস্তুচ্যুত শিবিরে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) হামলায় ১১৪ জনেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রোববার (১৩ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে চীনের সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া।
উত্তর দারফুর রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক ইব্রাহিম খাতির সিনহুয়াকে জানিয়েছেন, শনিবার (১২ এপ্রিল) আবু শৌক বাস্তুচ্যুত শিবিরে আরএসএফ মিলিশিয়াদের হামলায় ১৪ জন বেসামরিক লোক নিহত এবং আরো কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এর একদিন আগে, শুক্রবার (১১ এপ্রিল) জমজম বাস্তুচ্যুত শিবিরে আরএসএফ নৃশংস হামলা চালায়। এতে ১০০ জনেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছে।
ইব্রাহিম খাতির জানান, জমজম বাস্তুচ্যুত শিবিরে নিহতদের মধ্যে শিবিরে ফিল্ড হাসপাতাল পরিচালনাকারী বেসরকারি সংস্থা রিলিফ ইন্টারন্যাশনালের নয়জন কর্মী রয়েছে।
আরএসএফ হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
২০১৪ সালের ১০ মে থেকে, সুদানের সেনাবাহিনী (এসএএফ) এবং আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফের মধ্যে এল ফাশারে ভয়াবহ লড়াই চলছে। আরএসএফের দারফুরের প্রায় পুরো বিশাল পশ্চিমাঞ্চল দখল করে নিয়েছে। তারা দারফুরের রাজ্যের রাজধানী এল-ফাশার অবরোধ করে রেখেছে। কিন্তু শহরটি দখল করতে পারেনি। সেখানে সেনাবাহিনী-সমর্থিত মিলিশিয়ারা বারবার তাদের পিছনে ঠেলে দিয়েছে।
ক্ষমতার দখল ঘিরে সুদানের সেনাবাহিনী এবং আধাসামরিক বাহিনী মধ্যে ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে লড়াই চলছে। পর্যবেক্ষক সংস্থা আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্টের তথ্যানুসারে, সুদানে এসএএফ এবং আরএসএফের মধ্যে চলমান সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ২৯ হাজার ৬০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।