Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সীমান্তে মিয়ানমার সেনাদের সন্দেহজনক তৎপরতা

  • যোগাযোগ ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৪৮:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ২১৮ জন দেখেছেন

সীমান্তে মিয়ানমারের সেনা টহল

বাংলাদেশ-মিয়ানমার আন্তর্জাতিক সীমান্তে মিয়ানমারের সেনাদের সন্দেহজনক গতিবিধি দেখা যাচ্ছে। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ ওয়েকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা।

রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয় বলে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়। পরে রাষ্ট্রদূতের হাতে একটি প্রতিবাদপত্র দেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, গত শুক্রবার সকাল থেকে সীমান্ত এলাকায় অন্তত তিনটি পয়েন্টে মাছ ধরার ট্রলারে করে মিয়ানমারের সেনাদের টহল দিতে দেখা যায়। এরপরই দেশটির রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এ তৎপরতা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছে বাংলাদেশ।

সূত্র জানায়, রাষ্ট্রদূতকে তলব করে বিনা উসকানিতে এভাবে সীমান্তের কাছে নতুন করে সেনাসমাবেশের প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা। মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে বলা হয়েছে দুই দেশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করবে। এসব অপতৎপরতা বন্ধ করে দুই দেশের মধ্যে ভুল–বোঝাবুঝি অবসানের জন্য মিয়ানমারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলেছে বাংলাদেশ।

চেকপোস্টে হামলার দাবি তুলে ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে গণহত্যা শুরু হয়। ওই সময়ও একইভাবে সীমান্ত এলাকায় সেনা সদস্যদের জড়ো করেছিল মিয়ানমার।

আরও পড়ুন : চীনের দখলে ভারতের প্রায় ১০০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা

এদিকে, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী ও অন্য গোষ্ঠীগুলো নৃশংস গণহত্যা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ আনে জাতিসংঘ ও অন্য মানবাধিকার সংস্থাগুলো। তারা বলছে, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের হত্যা, গণধর্ষণ, তাদের বাড়ি-ঘরে আগুন ও ধ্বংস করছে সেনাবাহিনী। সেই সময় দেশটির সেনাবাহিনী এসব অভিযোগ অস্বীকার করে।

তবে, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর গণহত্যা ও ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছে দুই পলাতক সেনা সদস্য; কর্তৃপক্ষের আদেশে তারা এসব কর্মকাণ্ড চালিয়েছিল।

নির্যাতনের শিকার হয়ে বেঁচে থাকা রোহিঙ্গাদের বক্তব্যের সঙ্গে সেনা সদস্যদের বক্তব্যের মিল পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে সিএনএন।

সিএনএন বলছে, ২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইনে যে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চলেছে, দুই সেনা সদস্যের স্বীকারোক্তির মাধ্যমে সেনা সদস্যদের পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো এটি স্বীকার করে নেওয়া হলো।

মাইয়ো উইন তুন ও জো নাইং তুং নামের এই দুই সেনা সদস্যের ভিডিওটি গত জুলাইয়ে ধারণ করে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধরত আরাকান আর্মি। এটি প্রকাশ করেছে ফোর্টিফাই রাইটস বলেছে, ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তার সত্যতা পাওয়া গেছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

সীমান্তে মিয়ানমার সেনাদের সন্দেহজনক তৎপরতা

প্রকাশের সময় : ০৬:৪৮:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

বাংলাদেশ-মিয়ানমার আন্তর্জাতিক সীমান্তে মিয়ানমারের সেনাদের সন্দেহজনক গতিবিধি দেখা যাচ্ছে। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ ওয়েকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা।

রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয় বলে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়। পরে রাষ্ট্রদূতের হাতে একটি প্রতিবাদপত্র দেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, গত শুক্রবার সকাল থেকে সীমান্ত এলাকায় অন্তত তিনটি পয়েন্টে মাছ ধরার ট্রলারে করে মিয়ানমারের সেনাদের টহল দিতে দেখা যায়। এরপরই দেশটির রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এ তৎপরতা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছে বাংলাদেশ।

সূত্র জানায়, রাষ্ট্রদূতকে তলব করে বিনা উসকানিতে এভাবে সীমান্তের কাছে নতুন করে সেনাসমাবেশের প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা। মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে বলা হয়েছে দুই দেশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করবে। এসব অপতৎপরতা বন্ধ করে দুই দেশের মধ্যে ভুল–বোঝাবুঝি অবসানের জন্য মিয়ানমারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলেছে বাংলাদেশ।

চেকপোস্টে হামলার দাবি তুলে ২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে গণহত্যা শুরু হয়। ওই সময়ও একইভাবে সীমান্ত এলাকায় সেনা সদস্যদের জড়ো করেছিল মিয়ানমার।

আরও পড়ুন : চীনের দখলে ভারতের প্রায় ১০০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা

এদিকে, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী ও অন্য গোষ্ঠীগুলো নৃশংস গণহত্যা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ আনে জাতিসংঘ ও অন্য মানবাধিকার সংস্থাগুলো। তারা বলছে, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের হত্যা, গণধর্ষণ, তাদের বাড়ি-ঘরে আগুন ও ধ্বংস করছে সেনাবাহিনী। সেই সময় দেশটির সেনাবাহিনী এসব অভিযোগ অস্বীকার করে।

তবে, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর গণহত্যা ও ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছে দুই পলাতক সেনা সদস্য; কর্তৃপক্ষের আদেশে তারা এসব কর্মকাণ্ড চালিয়েছিল।

নির্যাতনের শিকার হয়ে বেঁচে থাকা রোহিঙ্গাদের বক্তব্যের সঙ্গে সেনা সদস্যদের বক্তব্যের মিল পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে সিএনএন।

সিএনএন বলছে, ২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইনে যে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চলেছে, দুই সেনা সদস্যের স্বীকারোক্তির মাধ্যমে সেনা সদস্যদের পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো এটি স্বীকার করে নেওয়া হলো।

মাইয়ো উইন তুন ও জো নাইং তুং নামের এই দুই সেনা সদস্যের ভিডিওটি গত জুলাইয়ে ধারণ করে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধরত আরাকান আর্মি। এটি প্রকাশ করেছে ফোর্টিফাই রাইটস বলেছে, ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তার সত্যতা পাওয়া গেছে।