Dhaka সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক মানের হচ্ছে

  • সিলেট প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৩৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ অক্টোবর ২০২০
  • ২০০ জন দেখেছেন

সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরের প্রস্তাবিত ডিজাইন

আন্তর্জাতিকমানে উন্নীত করতে সিলেট এমএজি ওসমানী বিমানবন্দরে আধুনিক স্থাপত্যশৈলী ও প্রযুক্তিবৈচিত্র্যের সমন্বয়ে বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হচ্ছে। এতে ব্যয় হবে দুই হাজার ১১৬ কোটি টাকা। বেইজিং আরবান কনস্ট্রাকশন গ্রুপ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। এর মাধ্যমে সিলেট এমএজি ওসমানী বিমানবন্দর পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দরে উন্নীত হবে।

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিমান সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় প্যাসেঞ্জার টার্মিনালসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মিত হবে। উন্নত বিশ্বের বিমানবন্দরের মতো সর্বাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা থাকবে এ টার্মিনালসহ অন্যান্য স্থাপনায়।

জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হবে ৩৪ হাজার ৯১৯ বর্গমিটারের আধুনিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন। এ টার্মিনালে আটটি বিমান একসঙ্গে যাত্রী ওঠানামা করতে পারবে। এর বাইরে ছয় হাজার ৮৯২ বর্গমিটারের কার্গো ভবন, দুই হাজার ৪১৫ বর্গমিটারের ফায়ার স্টেশন, দুই হাজার ৭৭২ বর্গমিটারের কন্ট্রোল টাওয়ার, এক হাজার ৩৯৫ বর্গমিটারের প্রশাসনিক ভবন, ৬০৬ বর্গমিটারের মেইনটেন্যান্স ভবন, দুই হাজার ৫২৪ বর্গমিটারের ইউটিলিটি ভবন এবং ৯ হাজার ২৯৯ বর্গমিটারের মধ্যে আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হবে।

এছাড়া বিদ্যমান সুবিধাসহ আরও সুপরিসর ছয়টি উড়োজাহাজ পার্কিং-উপযোগী ৭১ হাজার ৭৪৩ বর্গমিটার এপ্রোন নির্মাণ, এপ্রোনের সংযোগকারী টেক্সিওয়ে, বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রসহ ফুয়েল ডিস্ট্রিবিউশন অ্যান্ড হাইড্রেন্ট সিস্টেমসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো ও স্থাপনা নির্মিত হবে।

বিমান সূত্র জানায়, বিদ্যমান প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে যে এরিয়া রয়েছে, তার তিনগুণেরও বেশি এরিয়া নিয়ে তৈরি হচ্ছে সম্পূর্ণ নতুন টার্মিনাল। বিদ্যমান টার্মিনালে বছরে মোট ছয় লাখ যাত্রীকে সেবা দেওয়া যায়। নতুন টার্মিনালের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে বছরে ২০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রকল্প প্রস্তাবনা অনুযায়ী আন্তর্জাতিক মানের যাত্রীসেবা প্রদানের জন্য ভবনে থাকবে ছয়টি বোর্ডিং ব্রিজ (ডাবল ডকিং দুটি, সিঙ্গেল ডকিং দুটি), কনভেয়ার বেল্টসহ ৩৬টি চেক-ইন-কাউন্টার (এর মধ্যে দুটি স্বয়ংক্রিয়), বহির্গামী ও আগমনী যাত্রীদের জন্য মোট ২৪টি পাসপোর্ট কন্ট্রোল কাউন্টার, ছয়টি এস্কেলেটর, ৯টি লিফট এবং আগমনী যাত্রীদের জন্য তিনটি লাগেজ কনভেয়ার বেল্ট এবং ভবনের ফ্লোরে বসবে ইঞ্জিনিয়ারড স্টোন। নতুন টার্মিনালের প্রথম তলা আগমনী যাত্রীদের এবং দ্বিতীয় তলা বহির্গামী যাত্রীদের জন্য ব্যবহƒত হবে।

শহরের যেকোনো প্রান্ত থেকে আগত যাত্রী টার্মিনালের চেক-ইন লেভেলে পৌঁছে যাবেন। আবার বিদেশ থেকে আগত যাত্রীরা প্রথম তলা থেকে বিমানবন্দর ত্যাগ করে সারফেস রোড ব্যবহার করে শহরের যে কোনো প্রান্তে যেতে পারবেন। টার্মিনাল অভিমুখী বা বহির্মুখী সব যানবাহন চলাচল হবে একমুখী, যা বিমানবন্দর অংশকে সম্পূর্ণ যানজটমুক্ত রাখবে।

আরও পড়ুন : প্রতারণা থেকে সতর্ক থাকতে বিমান মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি

সূত্রমতে, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বর্তমানে ১০ হাজার ২৫০ ফুট দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট একটি রানওয়ে রয়েছে। এছাড়া প্রায় ১২ হাজার ১০০ বর্গমিটার এরিয়াবিশিষ্ট টার্মিনাল, ৭৫০ বর্গমিটার কার্গো ভবন, দুটি টেক্সিওয়ে, চারটি ছোট ও দুটি বড় বিমান পার্কিং সুবিধাসহ পার্কিং এপ্রোন, দুটি বোর্ডিং ব্রিজ, লিফট, এস্কেলেটর, কন্ট্রোল টাওয়ারসহ অপারেশনাল বিল্ডিং ও অন্যান্য অবকাঠামো রয়েছে।

কার্গো বিমান ও যাত্রী বৃদ্ধির হার অনুযায়ী টার্মিনালের সক্ষমতা বৃদ্ধি অপরিহার্য, সে কারণে বর্তমান সরকার সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৩ সালে। জানা গেছে, ভবনের স্থাপত্য নকশা করেছে কোরিয়ার স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানটি টার্মিনাল-২-সহ বিশ্বের বহু এয়ারপোর্টের প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবনের স্থাপত্যের নকশা করেছে।

এর আগে গত বছরের মে মাসে (বেবিচক) সদর দপ্তর সম্মেলনকক্ষে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণকাজের চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিপত্রে বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান এবং কার্যাদেশপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান বেইজিং আরবান কন্সট্রাকশন গ্রুপের পক্ষে বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড হ্যারল্ড হুয়াং স্বাক্ষর করেন।

বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, প্রকল্পটি বর্তমান সরকারের একটি দূরদর্শী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

এর আগে ২০১৮ সালের ৭ নভেম্বর একনেক সভায় প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে কাজ শুরু করার কথা থাকলেও নানা জটিলতায় ২১ মাস পর সেটির বাস্তবায়ন শুরু হতে যাচ্ছে।

ওসমানী বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ উদ্দিন আহমদ জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর হবে আন্তর্জাতিক মানের। থাকবে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা। বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক আরও জানান, চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে সিলেট বিমানবন্দর এলাকায় তাদের কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড গড়ে তুলেছে। প্রকল্পের সাইট সার্ভে ও সয়েল ইনভেস্টিগেশনের কাজ চলছে। দ্রুততার সঙ্গে প্রকল্পের মূল কাজ শুরু হবে বলে ওই সূত্র জানিয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধ শতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক মানের হচ্ছে

প্রকাশের সময় : ০৬:৩৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ অক্টোবর ২০২০

আন্তর্জাতিকমানে উন্নীত করতে সিলেট এমএজি ওসমানী বিমানবন্দরে আধুনিক স্থাপত্যশৈলী ও প্রযুক্তিবৈচিত্র্যের সমন্বয়ে বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হচ্ছে। এতে ব্যয় হবে দুই হাজার ১১৬ কোটি টাকা। বেইজিং আরবান কনস্ট্রাকশন গ্রুপ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। এর মাধ্যমে সিলেট এমএজি ওসমানী বিমানবন্দর পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দরে উন্নীত হবে।

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিমান সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় প্যাসেঞ্জার টার্মিনালসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মিত হবে। উন্নত বিশ্বের বিমানবন্দরের মতো সর্বাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা থাকবে এ টার্মিনালসহ অন্যান্য স্থাপনায়।

জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হবে ৩৪ হাজার ৯১৯ বর্গমিটারের আধুনিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন। এ টার্মিনালে আটটি বিমান একসঙ্গে যাত্রী ওঠানামা করতে পারবে। এর বাইরে ছয় হাজার ৮৯২ বর্গমিটারের কার্গো ভবন, দুই হাজার ৪১৫ বর্গমিটারের ফায়ার স্টেশন, দুই হাজার ৭৭২ বর্গমিটারের কন্ট্রোল টাওয়ার, এক হাজার ৩৯৫ বর্গমিটারের প্রশাসনিক ভবন, ৬০৬ বর্গমিটারের মেইনটেন্যান্স ভবন, দুই হাজার ৫২৪ বর্গমিটারের ইউটিলিটি ভবন এবং ৯ হাজার ২৯৯ বর্গমিটারের মধ্যে আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হবে।

এছাড়া বিদ্যমান সুবিধাসহ আরও সুপরিসর ছয়টি উড়োজাহাজ পার্কিং-উপযোগী ৭১ হাজার ৭৪৩ বর্গমিটার এপ্রোন নির্মাণ, এপ্রোনের সংযোগকারী টেক্সিওয়ে, বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রসহ ফুয়েল ডিস্ট্রিবিউশন অ্যান্ড হাইড্রেন্ট সিস্টেমসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো ও স্থাপনা নির্মিত হবে।

বিমান সূত্র জানায়, বিদ্যমান প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে যে এরিয়া রয়েছে, তার তিনগুণেরও বেশি এরিয়া নিয়ে তৈরি হচ্ছে সম্পূর্ণ নতুন টার্মিনাল। বিদ্যমান টার্মিনালে বছরে মোট ছয় লাখ যাত্রীকে সেবা দেওয়া যায়। নতুন টার্মিনালের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে বছরে ২০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

প্রকল্প প্রস্তাবনা অনুযায়ী আন্তর্জাতিক মানের যাত্রীসেবা প্রদানের জন্য ভবনে থাকবে ছয়টি বোর্ডিং ব্রিজ (ডাবল ডকিং দুটি, সিঙ্গেল ডকিং দুটি), কনভেয়ার বেল্টসহ ৩৬টি চেক-ইন-কাউন্টার (এর মধ্যে দুটি স্বয়ংক্রিয়), বহির্গামী ও আগমনী যাত্রীদের জন্য মোট ২৪টি পাসপোর্ট কন্ট্রোল কাউন্টার, ছয়টি এস্কেলেটর, ৯টি লিফট এবং আগমনী যাত্রীদের জন্য তিনটি লাগেজ কনভেয়ার বেল্ট এবং ভবনের ফ্লোরে বসবে ইঞ্জিনিয়ারড স্টোন। নতুন টার্মিনালের প্রথম তলা আগমনী যাত্রীদের এবং দ্বিতীয় তলা বহির্গামী যাত্রীদের জন্য ব্যবহƒত হবে।

শহরের যেকোনো প্রান্ত থেকে আগত যাত্রী টার্মিনালের চেক-ইন লেভেলে পৌঁছে যাবেন। আবার বিদেশ থেকে আগত যাত্রীরা প্রথম তলা থেকে বিমানবন্দর ত্যাগ করে সারফেস রোড ব্যবহার করে শহরের যে কোনো প্রান্তে যেতে পারবেন। টার্মিনাল অভিমুখী বা বহির্মুখী সব যানবাহন চলাচল হবে একমুখী, যা বিমানবন্দর অংশকে সম্পূর্ণ যানজটমুক্ত রাখবে।

আরও পড়ুন : প্রতারণা থেকে সতর্ক থাকতে বিমান মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি

সূত্রমতে, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বর্তমানে ১০ হাজার ২৫০ ফুট দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট একটি রানওয়ে রয়েছে। এছাড়া প্রায় ১২ হাজার ১০০ বর্গমিটার এরিয়াবিশিষ্ট টার্মিনাল, ৭৫০ বর্গমিটার কার্গো ভবন, দুটি টেক্সিওয়ে, চারটি ছোট ও দুটি বড় বিমান পার্কিং সুবিধাসহ পার্কিং এপ্রোন, দুটি বোর্ডিং ব্রিজ, লিফট, এস্কেলেটর, কন্ট্রোল টাওয়ারসহ অপারেশনাল বিল্ডিং ও অন্যান্য অবকাঠামো রয়েছে।

কার্গো বিমান ও যাত্রী বৃদ্ধির হার অনুযায়ী টার্মিনালের সক্ষমতা বৃদ্ধি অপরিহার্য, সে কারণে বর্তমান সরকার সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৩ সালে। জানা গেছে, ভবনের স্থাপত্য নকশা করেছে কোরিয়ার স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানটি টার্মিনাল-২-সহ বিশ্বের বহু এয়ারপোর্টের প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবনের স্থাপত্যের নকশা করেছে।

এর আগে গত বছরের মে মাসে (বেবিচক) সদর দপ্তর সম্মেলনকক্ষে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল ভবন নির্মাণকাজের চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিপত্রে বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান এবং কার্যাদেশপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান বেইজিং আরবান কন্সট্রাকশন গ্রুপের পক্ষে বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড হ্যারল্ড হুয়াং স্বাক্ষর করেন।

বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, প্রকল্পটি বর্তমান সরকারের একটি দূরদর্শী ও অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

এর আগে ২০১৮ সালের ৭ নভেম্বর একনেক সভায় প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে কাজ শুরু করার কথা থাকলেও নানা জটিলতায় ২১ মাস পর সেটির বাস্তবায়ন শুরু হতে যাচ্ছে।

ওসমানী বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ উদ্দিন আহমদ জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সিলেট ওসমানী বিমানবন্দর হবে আন্তর্জাতিক মানের। থাকবে আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা। বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক আরও জানান, চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে সিলেট বিমানবন্দর এলাকায় তাদের কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড গড়ে তুলেছে। প্রকল্পের সাইট সার্ভে ও সয়েল ইনভেস্টিগেশনের কাজ চলছে। দ্রুততার সঙ্গে প্রকল্পের মূল কাজ শুরু হবে বলে ওই সূত্র জানিয়েছে।