Dhaka শনিবার, ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিলেটে বাস-প্রাইভেটকার মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা-মেয়ে নিহত

সিলেট জেলা প্রতিনিধি : 

সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ওসমানীনগরে বাস ও প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা ও মেয়ে নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন চারজন।

শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার দয়ামীর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নের খাদিমপুর গ্রামের মো. সফিক মিয়ার ছেলে মো. হারুন মিয়া (৩১) ও হারুনের মেয়ে আনিসা (৮)। এ ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- খাদিমপুর গ্রামের মুকিত মিয়া (৩৫), আজিজুল ইসলামের স্ত্রী রাহিমা খাতুন (৩০), বেলাল আহমদের স্ত্রী পান্না বেগম (২৩) ও সফিক মিয়ার মেয়ে মুন্নি আক্তার (২৩)। তারা সবাই প্রাইভেট কারের যাত্রী ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিলেট থেকে হবিগঞ্জগামী হবিগঞ্জ এক্সপ্রেস বাসটি দয়ামীর এলাকায় এলে তাজপুর থেকে সিলেটগামী প্রাইভেট কারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাইভেট কারের চালক হারুন মিয়া ঘটনাস্থলে নিহত হন। আহতদের উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়। অন্য আহতরা হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা বাস-মাইক্রোবাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি আলী আকবর রাজন।

তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আমাদের খাদিমপুর উমরপুর শ্রমিক সংগঠনের এক সদস্য বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় মেয়েসহ নিহত হয়েছেন। মরদেহ বর্তমানে মর্গে রয়েছে। আমরা তাদের পক্ষ থেকে বিনা ময়নাতদন্তে দাফনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি।

শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রশিদ সরকার দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়ে বলেন, নিহতের মরদেহ ও দুর্ঘটনাকবলিত দুটি গাড়িই পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

চার ক্যাম্পাসে শিবিরের ভূমিধস জয় রহস্যজনক : নুর

সিলেটে বাস-প্রাইভেটকার মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা-মেয়ে নিহত

প্রকাশের সময় : ০৩:১৬:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫

সিলেট জেলা প্রতিনিধি : 

সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ওসমানীনগরে বাস ও প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে বাবা ও মেয়ে নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন চারজন।

শনিবার (১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার দয়ামীর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার উমরপুর ইউনিয়নের খাদিমপুর গ্রামের মো. সফিক মিয়ার ছেলে মো. হারুন মিয়া (৩১) ও হারুনের মেয়ে আনিসা (৮)। এ ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- খাদিমপুর গ্রামের মুকিত মিয়া (৩৫), আজিজুল ইসলামের স্ত্রী রাহিমা খাতুন (৩০), বেলাল আহমদের স্ত্রী পান্না বেগম (২৩) ও সফিক মিয়ার মেয়ে মুন্নি আক্তার (২৩)। তারা সবাই প্রাইভেট কারের যাত্রী ছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সিলেট থেকে হবিগঞ্জগামী হবিগঞ্জ এক্সপ্রেস বাসটি দয়ামীর এলাকায় এলে তাজপুর থেকে সিলেটগামী প্রাইভেট কারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে প্রাইভেট কারের চালক হারুন মিয়া ঘটনাস্থলে নিহত হন। আহতদের উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটি মারা যায়। অন্য আহতরা হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা বাস-মাইক্রোবাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি আলী আকবর রাজন।

তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আমাদের খাদিমপুর উমরপুর শ্রমিক সংগঠনের এক সদস্য বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় মেয়েসহ নিহত হয়েছেন। মরদেহ বর্তমানে মর্গে রয়েছে। আমরা তাদের পক্ষ থেকে বিনা ময়নাতদন্তে দাফনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি।

শেরপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রশিদ সরকার দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়ে বলেন, নিহতের মরদেহ ও দুর্ঘটনাকবলিত দুটি গাড়িই পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।