Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিলেটে আটকে আছে গ্রামীণ সড়ক উন্নয়নের ৫০০ কোটি টাকার প্রকল্প

সিলেট জেলা প্রতিনিধি : 

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় সিলেট অঞ্চলের গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার পর বিগত সরকারের আমলে জরুরি ভিত্তিতে বিভাগের চার জেলার পাঁচশ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে ৫০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের প্রস্তাব করা হয়েছিল। সেটি এখনও অনুমোদন পায়নি। ফলে সিলেটবাসীর দুর্দশা লাঘবে কোনো আশার আলো দেখা যাচ্ছে না।

কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর এবং সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর, জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, ছাতক, জগন্নাথপুরসহ বিভাগের ৩৫টি উপজেলার বহু সড়ক এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। বন্যায় পানির তোড়ে কোথাও সড়ক, কোথাও আবার ব্রিজ-কালভার্ট পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। বিভিন্ন সময় সড়ক সংস্কারে বরাদ্দ চাওয়া হলেও বিগত সরকার আমলে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি, ফলে দুর্ভোগের শেষ নেই।

২০১৭, ২০২২ এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের বন্যায় সিলেটের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসে। এই তিন দফা বন্যায় যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত অচল হয়ে পড়ে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সিলেটের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী এ কে এম সহিদুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকার আমলে দেশের আট বিভাগের মধ্যে সাত বিভাগে গ্রামীণ সড়ক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদিত হলেও সিলেট বিভাগ ছিল বঞ্চিত। ফলে এখানে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কারের কোনো সুযোগ হয়নি।

সড়কের করুণ দশায় মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। যানবাহন নষ্ট হচ্ছে, পরিবহন খরচ বাড়ছে। এর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে সিলেট অঞ্চলের পর্যটন শিল্পেও।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মাদ্রিদ অধ্যায় শেষ করে মদ্রিচ এখন ইতালির ক্লাবে

সিলেটে আটকে আছে গ্রামীণ সড়ক উন্নয়নের ৫০০ কোটি টাকার প্রকল্প

প্রকাশের সময় : ০৩:৩৯:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

সিলেট জেলা প্রতিনিধি : 

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় সিলেট অঞ্চলের গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার পর বিগত সরকারের আমলে জরুরি ভিত্তিতে বিভাগের চার জেলার পাঁচশ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে ৫০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের প্রস্তাব করা হয়েছিল। সেটি এখনও অনুমোদন পায়নি। ফলে সিলেটবাসীর দুর্দশা লাঘবে কোনো আশার আলো দেখা যাচ্ছে না।

কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর এবং সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার, বিশ্বম্ভরপুর, জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, ছাতক, জগন্নাথপুরসহ বিভাগের ৩৫টি উপজেলার বহু সড়ক এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। বন্যায় পানির তোড়ে কোথাও সড়ক, কোথাও আবার ব্রিজ-কালভার্ট পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। বিভিন্ন সময় সড়ক সংস্কারে বরাদ্দ চাওয়া হলেও বিগত সরকার আমলে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি, ফলে দুর্ভোগের শেষ নেই।

২০১৭, ২০২২ এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের বন্যায় সিলেটের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসে। এই তিন দফা বন্যায় যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত অচল হয়ে পড়ে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সিলেটের সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী এ কে এম সহিদুল ইসলাম বলেন, বিগত সরকার আমলে দেশের আট বিভাগের মধ্যে সাত বিভাগে গ্রামীণ সড়ক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদিত হলেও সিলেট বিভাগ ছিল বঞ্চিত। ফলে এখানে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কারের কোনো সুযোগ হয়নি।

সড়কের করুণ দশায় মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। যানবাহন নষ্ট হচ্ছে, পরিবহন খরচ বাড়ছে। এর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে সিলেট অঞ্চলের পর্যটন শিল্পেও।