সিলেট জেলা প্রতিনিধি :
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর পর্যটন কেন্দ্র থেকে পাথর লুটপাটের ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজায়ের আল মাহমুদ আদনান।
তিনি বলেন, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে একটি পাথরবাহী ট্রাকসহ ০২ জন ও কালাইরাগ থেকে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছি।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কোম্পানীগঞ্জের কালাই রাগ গ্রামের মৃত সিকন্দর আলীর ছেলে মোহাম্মদ কামাল মিয়া পিচ্চি কামাল (৪৫), কালাইরাগ গ্রামের কামাল মিয়ার ছেলে মো. আবু সাঈদ (২১), নাজিরের গাও এলাকার মৃত মনফর আলী ছেলে মো. আবুল কালাম (৩২),কোম্পানীগঞ্জের লাছুখালের ইমান আলী, একই গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ( ৩৫)।
মামলার এজাহারে বলা হয়, কিছু দুষ্কৃতকারী গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে গেজেটভুক্ত ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি থেকে অবৈধ এবং অননুমোদিতভাবে কোটি টাকার পাথর লুটপাট করছে। যারা এ ঘটনায় জড়িত, তাদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
এজাহারে আরও বলা হয়, সরকারি গেজেটভুক্ত কোয়ারি থেকে এ ধরনের লুট বা চুরি খনি ও খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৯২-এর ধারা ৪(২)(ঞ) এবং খনি ও খনিজ সম্পদ বিধিমালা, ২০১২-এর বিধি ৯৩(১)-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এছাড়া দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ৩৭৯ ও ৪৩১ ধারার অপরাধও সংঘটিত হয়েছে।
পাথর লুটে জড়িতদের তদন্তের মাধ্যমে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার (১৫ আগস্ট) ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের ঘটনায় খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো (বিএমডি) মহা-পরিচালক (যুগ্ম সচিব) আনোয়ারুল হাবিব বাদী হয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত ১৫০০ থেকে ২০০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ আগস্টের পর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ধলাই নদীর তীরবর্তী সাদাপাথর এলাকা থেকে পাথর চুরি করা হয়। বিশেষ করে গত দুই সপ্তাহে কোটি কোটি টাকার পাথর লুটপাট করা হয়। সেই পাথর উদ্ধারে বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) মধ্যরাত থেকে জেলা প্রশাসন বিশেষ অভিযান শুরু করে। যা এখনো চলমান রয়েছে। এদিকে গতকাল পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পাথরগুলো পুনরায় ধলাই নদীতে প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে।