Dhaka সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিলেটের ডিসি সারওয়ারকে শোকজ

সিলেট জেলা প্রতিনিধি : 

সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও দি সিলেট খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মো. সারওয়ার আলম ও এডিসি (শিক্ষা ও আইসিটি) নুরের জামানকে শোকজ (কারণ দর্শানো নোটিশ) করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সিলেটের সিনিয়র সহকারী জজ সদর আদালত তাদের প্রতি এ শোকজ জারি করেন বলে বাদীর আইনজীবী এ এইচ ইরশাদুল হক এ প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) আদালত এ শোকজ ইস্যু করেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) শোকজ জারি হতে পারে বলে জানান এ আইনজীবী।

এ আইনজীবী আরও জানান, স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক আবেদা হক সিলেটের ডিসি ও স্কুলের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং এডিসির (শিক্ষা ও আইসিটি) বিরুদ্ধে ডিসির বিগত ৯ সেপ্টেম্বর তারিখের ‘এখতিয়ারবহির্ভূত ও বেআইনি সাময়িক বরখাস্ত আদেশে’র বিরুদ্ধে সিনিয়র সহকারী জজ সদর সিলেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার আর্জিতে বাদী এ বিষয়ে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রার্থনা করেন। আদালত ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাদেরকে কারণ দর্শানোর আদেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

খাজাঞ্চিবাড়ি স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক আবেদা হক ও মো. রোকন উদ্দিনকে গত ৯ সেপ্টেম্বর সার্ভিস রুলস অ্যান্ড রেগুলেশনস অনুযায়ী বরখাস্ত করেন প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সিলেটের নবাগত জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম। এর বিরুদ্ধে গত ১১ সেপ্টেম্বর আদালতে স্বত্ব মোকদ্দমা (নম্বর-৪২৬/২৫) দাখিল করেন আবেদা হক। মোকদ্দমার প্রেক্ষিতে আদালত ডিসি ও এডিসিকে শোকজ করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, দি সিলেট খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের (এসকেআইএসসি) দুই শিক্ষক ও ভাইস প্রিন্সিপালকে বহিষ্কারকে কেন্দ্র করে করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এ শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

তবে শোকজের কোনো আদেশ কপি হাতে পাননি বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন সিলেট জেলা প্রশাসক ও দি সিলেট খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মো. সারওয়ার আলম। তিনি বলেন, শোকজ করার বিষয়ে শুনেছি। তবে অফিশিয়ালি এখনো কোনো আদেশ কপি পাইনি।

এদিকে শোকজ পাঠানোর বিষয়টি গতকাল রবিবার রাতে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষিকা আবেদা হকের আইনজীবী ইরশাদুল হক।

এর আগে খাজাঞ্চিবাড়ি স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক আবেদা হক ও মো. রোকন উদ্দিনকে গত ১০ সেপ্টেম্বর সার্ভিস রুলস অ্যান্ড রেগুলেশনস অনুযায়ী বরখাস্ত করেন প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সিলেটের নবাগত জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম। এর বিরুদ্ধে গত ১১ সেপ্টেম্বর আদালতে স্বত্ব মোকদ্দমা (নম্বর-৪২৬/২৫) দাখিল করেন আবেদা হক। মোকদ্দমার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ডিসিকে শোকজ করেন।

শোকজের চিঠিতে বলা হয়, সিলেট খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক আবেদা হক ও মো. রোকন উদ্দিন প্রতিষ্ঠানের যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোনো ধরনের নিয়োগপত্র বা পদোন্নতি ব্যতীত স্বপ্রণোদিতভাবে জোরপূর্বক এই প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রিন্সিপাল ইন-চার্জ (নারী)-এর দায়িত্ব গ্রহণ করে বিদ্যালয়ে কর্মরত অন্যান্য শিক্ষকদের ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে তাকে অভিনন্দন জানাতে বাধ্য করেছেন।

এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ওয়েবসাইটে পদবি হালনাগাদকরণসহ বহুল প্রচারের জন্য সিলেটের স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রেস রিলিজ প্রচার করেছেন যা খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সার্ভিস রুলস এবং রেগুলেশন-এর সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সিলেটের ডিসি সারওয়ারকে শোকজ

প্রকাশের সময় : ১২:০৪:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সিলেট জেলা প্রতিনিধি : 

সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও দি সিলেট খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মো. সারওয়ার আলম ও এডিসি (শিক্ষা ও আইসিটি) নুরের জামানকে শোকজ (কারণ দর্শানো নোটিশ) করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সিলেটের সিনিয়র সহকারী জজ সদর আদালত তাদের প্রতি এ শোকজ জারি করেন বলে বাদীর আইনজীবী এ এইচ ইরশাদুল হক এ প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) আদালত এ শোকজ ইস্যু করেন। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) শোকজ জারি হতে পারে বলে জানান এ আইনজীবী।

এ আইনজীবী আরও জানান, স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক আবেদা হক সিলেটের ডিসি ও স্কুলের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং এডিসির (শিক্ষা ও আইসিটি) বিরুদ্ধে ডিসির বিগত ৯ সেপ্টেম্বর তারিখের ‘এখতিয়ারবহির্ভূত ও বেআইনি সাময়িক বরখাস্ত আদেশে’র বিরুদ্ধে সিনিয়র সহকারী জজ সদর সিলেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার আর্জিতে বাদী এ বিষয়ে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রার্থনা করেন। আদালত ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাদেরকে কারণ দর্শানোর আদেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

খাজাঞ্চিবাড়ি স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক আবেদা হক ও মো. রোকন উদ্দিনকে গত ৯ সেপ্টেম্বর সার্ভিস রুলস অ্যান্ড রেগুলেশনস অনুযায়ী বরখাস্ত করেন প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সিলেটের নবাগত জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম। এর বিরুদ্ধে গত ১১ সেপ্টেম্বর আদালতে স্বত্ব মোকদ্দমা (নম্বর-৪২৬/২৫) দাখিল করেন আবেদা হক। মোকদ্দমার প্রেক্ষিতে আদালত ডিসি ও এডিসিকে শোকজ করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, দি সিলেট খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের (এসকেআইএসসি) দুই শিক্ষক ও ভাইস প্রিন্সিপালকে বহিষ্কারকে কেন্দ্র করে করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এ শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

তবে শোকজের কোনো আদেশ কপি হাতে পাননি বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন সিলেট জেলা প্রশাসক ও দি সিলেট খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মো. সারওয়ার আলম। তিনি বলেন, শোকজ করার বিষয়ে শুনেছি। তবে অফিশিয়ালি এখনো কোনো আদেশ কপি পাইনি।

এদিকে শোকজ পাঠানোর বিষয়টি গতকাল রবিবার রাতে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষিকা আবেদা হকের আইনজীবী ইরশাদুল হক।

এর আগে খাজাঞ্চিবাড়ি স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক আবেদা হক ও মো. রোকন উদ্দিনকে গত ১০ সেপ্টেম্বর সার্ভিস রুলস অ্যান্ড রেগুলেশনস অনুযায়ী বরখাস্ত করেন প্রতিষ্ঠানটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সিলেটের নবাগত জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম। এর বিরুদ্ধে গত ১১ সেপ্টেম্বর আদালতে স্বত্ব মোকদ্দমা (নম্বর-৪২৬/২৫) দাখিল করেন আবেদা হক। মোকদ্দমার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ডিসিকে শোকজ করেন।

শোকজের চিঠিতে বলা হয়, সিলেট খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক আবেদা হক ও মো. রোকন উদ্দিন প্রতিষ্ঠানের যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোনো ধরনের নিয়োগপত্র বা পদোন্নতি ব্যতীত স্বপ্রণোদিতভাবে জোরপূর্বক এই প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রিন্সিপাল ইন-চার্জ (নারী)-এর দায়িত্ব গ্রহণ করে বিদ্যালয়ে কর্মরত অন্যান্য শিক্ষকদের ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে তাকে অভিনন্দন জানাতে বাধ্য করেছেন।

এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ওয়েবসাইটে পদবি হালনাগাদকরণসহ বহুল প্রচারের জন্য সিলেটের স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রেস রিলিজ প্রচার করেছেন যা খাজাঞ্চিবাড়ি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সার্ভিস রুলস এবং রেগুলেশন-এর সম্পূর্ণ পরিপন্থী।