Dhaka বৃহস্পতিবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিলেটকে লজ্জা ডুবিয়ে শীর্ষে রংপুর

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১০:৫৮:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ১৯০ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ঘরের মাঠে বিপিএলের চলতি আসর ভালো কাটলো না সিলেট স্ট্রাইকার্সের। সিলেটে পাঁচ ম্যাচ খেলে শনিবার চতুর্থ হারের মুখ দেখলো তারা। রংপুর রাইডার্সের কাছে তাদের ৭৭ রানের শোচনীয় পরাজয়ে শেষ হলো সিলেট পর্ব। এই হাওে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থানে উঠলো রংপুর রাইডার্স।

১৬৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের করা প্রথম ওভারেই বোল্ড হন সিলেটের ওপেনার হ্যারি টেক্টর। পরের ওভারে শেখ মেহেদী হাসান এসে প্রথম ডেলিভারিতেই তুলে নেন আরেক ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেট। ৩ বল খেলা শান্ত ১ রানের বেশি করতে পারেননি। মেহেদী নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে দেখা পেয়ে যান দ্বিতীয় শিকারের।

৪ রানে থাকা জাকির হাসানকে সাজঘরে ফেরান তিনি। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বল হাতে সাকিব আল হাসানের আগমন। ধুঁকতে থাকা সিলেটকে এদিন ভরসা দিতে পারেননি মিথুনও। সাকিবের প্রথম ওভারে মিঠুন মিড অনে ক্যাচ হন ব্রেন্ডন কিংয়ের হাতে। ৮ বল খেলা মিঠুনের সংগ্রহে কেবল ১।

২৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে থাকা সিলেটকে আলো দেখাতে পারেননি আগের দিন ওপেনিংয়ে ব্যর্থ হওয়া শামসুর রহমান। আজ ৬ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম দিনের ডাকের লজ্জা থেকে বাঁচলেও রান পেয়েছেন ৬ বলে ৩। ফলে স্কোরবোর্ডে ৩০ রানে উঠতেই সিলেট স্ট্রাইকার্স হারিয়ে বসে ৬ উইকেট। ১০ ওভারে তাদের সংগ্রহ ৩৭।

ফলে জয়ের জন্য বাকি ১০ ওভারে সিলেটকে করতে হত ১২৬ রান। ব্যাটিংয়ে ধুকতে থাকা সিলেট স্ট্রাইকার্সের জার্সিতে এদিন ব্যতিক্রম কেবল রায়ান বার্ল। উইকেটের আসা-যাওয়া মিছিলে তিনি যোগ না দিয়ে রংপুরের বোলারদের খেলেছেন বেশ দেখে-শুনে। শেষ পর্যন্ত ১৬.৫ ওভারে ৮৫ রানে সিলেট অলআউট হলে ৭৭ রানে জয় পায় রংপুর।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিদায় নেন রংপুরের ওপেনার ব্রেন্ডন কিং। সামিত প্যাটেলের দারুণ এক ডেলিভারিতে মাত্র ১ রানেই ফিরতে হয় তাকে। এরপর ওয়ানডাউনে নামা ফজলে রাব্বিকে সঙ্গে করে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন বাবর আজম। পাকিস্তানি তারকার ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে ভালো সংগ্রহ পায় রংপুর।

পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর অবশ্য রানের গতি কমে আসে রংপুরের। সেই চাপ কাটাতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন ফজলে রাব্বি (১৪)। পরের বলেই ফিরে যান চোখের সমস্যায় ভুগতে থাকা সাকিব আল হাসান। ডানহাতি এই অফ স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে স্কুপ খেলতে গিয়ে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন সাকিব।

বাবর যখন ফিফটির দিকে আগাচ্ছেন, ঠিক তখনই আবার আক্রমণে আসেন সামিত। উইকেটে থিতু হওয়া সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ককে গুড লেংথ ডেলিভারিতে ফেরান তিনি। বলের লাইন মিস করে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন ৪৭ রান করা বাবর। বাবরের বিদায়ের পর ছোটখাটো একটা ঝড় তুলে ১৪ বলে ২২ রান করে আউট হন ওমরজাই।

দলের হাল ধরেছিলেন নুরুল হাসান সোহান। তিনিও বাবর আজমের মতো ফিফটির কাছে এসে আত্মহুতি দেন। ইনিংসের ৯ বল বাকি থাকতে রেজাউর রহমান রাজার বলে টেক্টরের হাতে ক্যাচ দেন ৩০ বলে ৪৬ করা রংপুর অধিনায়ক। শেষদিকে শামীম হোসেন ছোট্ট ক্যামিও খেললে ভালো পুঁজি পায় দলটি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সোনার দাম আরো বাড়ল

সিলেটকে লজ্জা ডুবিয়ে শীর্ষে রংপুর

প্রকাশের সময় : ১০:৫৮:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

ঘরের মাঠে বিপিএলের চলতি আসর ভালো কাটলো না সিলেট স্ট্রাইকার্সের। সিলেটে পাঁচ ম্যাচ খেলে শনিবার চতুর্থ হারের মুখ দেখলো তারা। রংপুর রাইডার্সের কাছে তাদের ৭৭ রানের শোচনীয় পরাজয়ে শেষ হলো সিলেট পর্ব। এই হাওে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থানে উঠলো রংপুর রাইডার্স।

১৬৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের করা প্রথম ওভারেই বোল্ড হন সিলেটের ওপেনার হ্যারি টেক্টর। পরের ওভারে শেখ মেহেদী হাসান এসে প্রথম ডেলিভারিতেই তুলে নেন আরেক ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেট। ৩ বল খেলা শান্ত ১ রানের বেশি করতে পারেননি। মেহেদী নিজের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে দেখা পেয়ে যান দ্বিতীয় শিকারের।

৪ রানে থাকা জাকির হাসানকে সাজঘরে ফেরান তিনি। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বল হাতে সাকিব আল হাসানের আগমন। ধুঁকতে থাকা সিলেটকে এদিন ভরসা দিতে পারেননি মিথুনও। সাকিবের প্রথম ওভারে মিঠুন মিড অনে ক্যাচ হন ব্রেন্ডন কিংয়ের হাতে। ৮ বল খেলা মিঠুনের সংগ্রহে কেবল ১।

২৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে থাকা সিলেটকে আলো দেখাতে পারেননি আগের দিন ওপেনিংয়ে ব্যর্থ হওয়া শামসুর রহমান। আজ ৬ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম দিনের ডাকের লজ্জা থেকে বাঁচলেও রান পেয়েছেন ৬ বলে ৩। ফলে স্কোরবোর্ডে ৩০ রানে উঠতেই সিলেট স্ট্রাইকার্স হারিয়ে বসে ৬ উইকেট। ১০ ওভারে তাদের সংগ্রহ ৩৭।

ফলে জয়ের জন্য বাকি ১০ ওভারে সিলেটকে করতে হত ১২৬ রান। ব্যাটিংয়ে ধুকতে থাকা সিলেট স্ট্রাইকার্সের জার্সিতে এদিন ব্যতিক্রম কেবল রায়ান বার্ল। উইকেটের আসা-যাওয়া মিছিলে তিনি যোগ না দিয়ে রংপুরের বোলারদের খেলেছেন বেশ দেখে-শুনে। শেষ পর্যন্ত ১৬.৫ ওভারে ৮৫ রানে সিলেট অলআউট হলে ৭৭ রানে জয় পায় রংপুর।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিদায় নেন রংপুরের ওপেনার ব্রেন্ডন কিং। সামিত প্যাটেলের দারুণ এক ডেলিভারিতে মাত্র ১ রানেই ফিরতে হয় তাকে। এরপর ওয়ানডাউনে নামা ফজলে রাব্বিকে সঙ্গে করে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন বাবর আজম। পাকিস্তানি তারকার ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে ভালো সংগ্রহ পায় রংপুর।

পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর অবশ্য রানের গতি কমে আসে রংপুরের। সেই চাপ কাটাতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন ফজলে রাব্বি (১৪)। পরের বলেই ফিরে যান চোখের সমস্যায় ভুগতে থাকা সাকিব আল হাসান। ডানহাতি এই অফ স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে স্কুপ খেলতে গিয়ে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন সাকিব।

বাবর যখন ফিফটির দিকে আগাচ্ছেন, ঠিক তখনই আবার আক্রমণে আসেন সামিত। উইকেটে থিতু হওয়া সাবেক পাকিস্তান অধিনায়ককে গুড লেংথ ডেলিভারিতে ফেরান তিনি। বলের লাইন মিস করে লেগ বিফোর উইকেট হয়েছেন ৪৭ রান করা বাবর। বাবরের বিদায়ের পর ছোটখাটো একটা ঝড় তুলে ১৪ বলে ২২ রান করে আউট হন ওমরজাই।

দলের হাল ধরেছিলেন নুরুল হাসান সোহান। তিনিও বাবর আজমের মতো ফিফটির কাছে এসে আত্মহুতি দেন। ইনিংসের ৯ বল বাকি থাকতে রেজাউর রহমান রাজার বলে টেক্টরের হাতে ক্যাচ দেন ৩০ বলে ৪৬ করা রংপুর অধিনায়ক। শেষদিকে শামীম হোসেন ছোট্ট ক্যামিও খেললে ভালো পুঁজি পায় দলটি।