নিজস্ব প্রতিবেদক :
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মিজমিজি টিসি রোডের সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকার একটি স্পটে গত দেড় থেকে দু’বছর ধরে খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হয়ে বেহাল। বৃষ্টির দিনে গর্তে পানি জমে চলাচলে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে। ব্যস্ততম এ আঞ্চলিক সড়কটিতে খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি হলেও কর্তৃপক্ষ মেরামত করার কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। ফলে এ সড়কে যানবাহন চলাচলসহ জনদুর্ভোগ দিন দিন বেড়েই চলেছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। জরুরি ভিত্তিতে ওই ভাঙা স্থানটি দ্রুত সংস্কার করার জোর দাবি জানান। সরেজমিন গিয়েও খানাখন্দের স্থান দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন ও পথচারীদের চলাচল করতে দেখা গেছে।
জানা যায়, এ বেহাল অংশটুকু পার হয়ে মিজমিজি টিসি রোড দিয়ে মিজমিজি পূর্বপাড়া, মজিববাগ, পাগলাবাড়ি, আলআমিন নগর, মিজমিজি দক্ষিণপাড়া, উত্তরপাড়া, মিজমিজি পশ্চিমপাড়া, মামুদপুর, পাইনাদী পূর্বপাড়া, সিআইখোলা, পাইনাদী মধ্যপাড়া, হিরাঝিল, পাইনাদী নতুন মহল্লা, ধনুহাজী রোড, কালুহাজি রোড, বাতানপাড়াসহ ১৫-১৬টি এলাকার লোকজন প্রতিনিয়ত অটোরিক্সা, ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত রিক্সা, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল দিয়ে চলাচল করছে। এ ছাড়াও সিদ্ধিরগঞ্জ পুল একটি ব্যস্ততম স্থান। এখানে রয়েছে কয়েকটি বাজারসহ বেশ কয়েকটি মার্কেট। সব মিলিয়েই এ স্থানটি সারাক্ষণ লোকেলোকারণ্যে পরিণত হচ্ছে। অথচ দেড় থেকে দু’বছর ধরে রাস্তার এ অংশটি যানবাহনসহ পথচারীরা নানাভাবে চলাচলের সময় দুর্ভোগ পোহাতে বাধ্য হচ্ছেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ পুল এলাকার দোকানি গোলাপ হোসেন বলেন, সড়কটির ওই অংশে ভাঙাচুরা থাকায় পথচারী ও যানবাহনগুলো চলাচলের সময় বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। গার্মেন্টস চালুর সময় ও ছুটির সময় সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়।
পথচারী চান্দু মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কটি বেহাল দশায় পড়ে আছে। অটোরিক্সাচালক আকমল হোসেন বলেন, বৃষ্টির দিনে সড়কের এ ভাঙা অংশ দিয়ে চলাচল করা অনেক কষ্টকর হয়ে পড়ছে। কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলাম ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মাকসুদা মোজাফফরের কার্যালয় অবস্থিত। অথচ সড়কের এ বেহাল অংশটুকু সংস্কার হচ্ছে না।
কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলাম দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে বলেন, ওই ভাঙা স্থানে এর আগেও ইটের গুঁড়া ফেলে মেরামত করা হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় দোকানদাররা ইটের গুঁড়াগুলো তুলে নিয়ে তাদের দোকানপাট উঁচু করেছে। তিনি আরও বলেন, আবারও কয়েক ট্রাক ইটের গুঁড়া ফেলে ভাঙা অংশটুকু মেরামত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।