Dhaka বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিট নিশ্চিত করতে চাইলে, আগেই জোটের সঙ্গে চলে যেতাম : নাহিদ ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক :

সংসদে আসন নিশ্চিত করতে চাইলে আগেই কোনো জোটের সঙ্গে চলে যেতাম বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর বাংলামটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

আসন্ন নির্বাচনে অন্য দলের সঙ্গে জোট প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, আপনারা অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন, আমরা কয়টা সিট পাব বা প্রত্যাশা করি। আমরা ক্ষমতার জন্য, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এই নির্বাচন করছি না। সিট কয়টা পাব বা পাব না এটা বিবেচনা করেও নির্বাচন করছি না। সিট নিশ্চিত করতে হলে আমরা কোনো না কোনো জোটে চলে যেতাম। তো নির্বাচনের লক্ষ্য কী?

তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচনের লক্ষ্য ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে চাচ্ছি, যারা জনগণের কাছে যাবে, ‘হ্যাঁ’-এর পক্ষে প্রচারণা করবে।

ঢাকা-১০ আসন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার জন্য ফাঁকা রাখা হয়েছে কিনা প্রশ্নে নাহিদ বলেন, আমরা কোনও আসন বিশেষ কারও জন্য ফাঁকা রাখিনি। যে কয়টা আসন এখন পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত হতে পেরেছি, মনোনয়ন বোর্ডের রিপোর্ট অনুযায়ী আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা এটা জনগণের কাছে উন্মুক্ত করেছি। এটাও একটা ভেরিফিকেশনের জন্য, যদি কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকে, দুর্নীতি সন্ত্রাস বা ফ্যাসিজমের সঙ্গে জড়িত, তাহলে সেই প্রার্থিতা বাতিল হবে। আমাদের এই প্রক্রিয়া চলমান।

তিনি বলেন, আমরা জনগণের প্রতি যে আহ্বান রেখেছিলাম, আমরা যে বার্তা দিয়েছিলাম, আমরা চাই সাধারণ মানুষ, রাজনীতি সচেতন মানুষ, গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী মানুষ এবং যারা সর্বপরি বাংলাদেশের পরিবর্তনকামী মানুষ, আমরা এবারে নমিনেশনে নির্বাচনে তাদের আহ্বান জানিয়েছিলাম। আমাদের দলের বাইরেও আমরা নমিনেশন দিতে চাই। আমাদের প্রার্থী তালিকায় সে প্রতিফলন আপনারা দেখেছেন। আমাদের দলীয় সাংগঠনিক যারা কাজ করেছেন, এর বাইরে থেকেও যারা বিভিন্ন পেশার মানুষ রয়েছেন, শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, প্রবাসী বাংলাদেশি তাদের আমরা মনোনয়ন দিয়েছি।

নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে প্রার্থী ঘোষণা শুরু করলেও ভোটে জেতাই নির্বাচনের মূল লক্ষ্য নয় বলে জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, নির্বাচনে আসন জেতাই যদি তাঁদের লক্ষ্য হতো, তাহলে তাঁরা কোনো না কোনো জোটে ভিড়তেন।

নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে এখনো পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন জায়গায় দেখছি যে আমাদের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে এবং নির্বাচনী বিধিবিধান লঙ্ঘন করেই নির্বাচনী প্রচারণার কাজ পোস্টারিং বা টাকা খরচের যে বিষয়গুলো, এগুলো কিন্তু আসতেছে। আমরা নির্বাচন কমিশনে বলে আসছি যে প্রার্থীদের যেই খরচের হিসাব, সেটা যাতে যথাযথভাবে নির্বাচন কমিশন যাচাই–বাছাই করে আদায় করে নেয়। আমরা দেখছি বিভিন্ন জায়গায় অস্ত্রের মহড়া হচ্ছে। বিএনপি–জামায়াত উভয় দল থেকে আমরা এই ধরনের সংস্কৃতি দেখছি।’

বিভিন্ন দলের মনোনয়নপ্রক্রিয়ার সমালোচনা করে নাহিদ বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় মাফিয়াদের নমিনেশন দেওয়া হয়েছে। ঋণখেলাপিকে নমিনেশন দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে কি না, এর ওপর নির্ভর করবে কমিশন কতটা সুষ্ঠু প্রক্রিয়ায় কাজ করছে।’

বিপরীতে নিজেদের প্রার্থী তালিকা নিয়ে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম যে আমাদের এই যে মনোনয়ন তালিকাটা হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক…সেখানে নারী-পুরুষ, সংখ্যালঘু, সংখ্যাগুরু, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সবকিছুর সমন্বয় আমরা করব।’

এনসিপি আজ ১২৫ আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। মনোনীত কারও বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে প্রার্থিতা বাতিল হবে বলে জানান নাহিদ।

আগামী নির্বাচনের তাৎপর্য তুলে ধরে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এবারের নির্বাচনটা গণভোট, এটা যাতে আমরা কেউ ভুলে না যাই। বলা হচ্ছে, প্রার্থী দেখে ভোট দেবেন, নাকি মার্কা দেখে ভোট দেবেন। কিন্তু ভোটটা যে গণভোট, ভোটের অন্যতম প্রধান প্রশ্ন হচ্ছে হ্যাঁ অথবা না, এই কথাটাই বলার জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেছি। আপনারা অনেকে জিজ্ঞেস করেন যে আমরা কয়টা সিট পাব বা আমরা কয়টা সিট প্রত্যাশা করি। আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেছি না, এটা খুবই পরিষ্কার। সিট কয়টা পাব কি পাব না, সেটা বিবেচনায় রেখেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেছি না। সিট নিশ্চিত করতে হলে আমরা কোনো না কোনো জোটের সঙ্গে চলে যাইতাম।’

রাজনৈতিক দল হিসেবে এনসিপি গঠনের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে অভ্যুত্থানের এই ছাত্রনেতা বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি, যদি গণঅভ্যুত্থানের পরে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী, সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী, তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী রাজনীতি পুনর্গঠিত করত, নিজেদের দলের ভেতরে সংস্কার আনত, নিজেদের নীতি–আদর্শকে আরও ঠিক করত, তাহলে এনসিপির জন্মের প্রয়োজন ছিল না। এনসিপি সাত মাস অপেক্ষা করেছে, যাতে বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলো একটা সমঝোতায় এসে আমাদের তরুণ প্রজন্মের গণ–অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করে। যেহেতু তারা সেটা করে নাই। যেহেতু তারা নিজেদের দলাদলি–অন্তর্দ্বন্দ্বে ব্যস্ত ছিল, নিজেদের দলীয় এজেন্ডাকে প্রধান করে তুলেছে, তার ফলেই কিন্তু এনসিপির জন্ম হয়েছে।’

অন্য দলগুলোর সমালোচনা করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি যে সংস্কার ছিল গণ–অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রধান এজেন্ডা। দ্বিতীয় এজেন্ডা ছিল বিচার। এই যে সামনে একটা গণভোট হবে এবং গণভোটে যে সংস্কারপ্রক্রিয়া বাস্তবায়ন হবে, এই আলাপটাই কোনো রাজনৈতিক দল করছে না। সবাই তার নিজের দলের যার যার যে এজেন্ডা, সেই এজেন্ডাকে নিয়ে ক্যাম্পেইন করতেছে বা সেটাকে তুলে ধরতেছে।’

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

নির্বাচন করবো, পদত্যাগের বিষয়ে জানাবে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর : আসিফ মাহমুদ

সিট নিশ্চিত করতে চাইলে, আগেই জোটের সঙ্গে চলে যেতাম : নাহিদ ইসলাম

প্রকাশের সময় : ০৩:৩০:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক :

সংসদে আসন নিশ্চিত করতে চাইলে আগেই কোনো জোটের সঙ্গে চলে যেতাম বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর বাংলামটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

আসন্ন নির্বাচনে অন্য দলের সঙ্গে জোট প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, আপনারা অনেকেই জিজ্ঞাসা করেন, আমরা কয়টা সিট পাব বা প্রত্যাশা করি। আমরা ক্ষমতার জন্য, ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এই নির্বাচন করছি না। সিট কয়টা পাব বা পাব না এটা বিবেচনা করেও নির্বাচন করছি না। সিট নিশ্চিত করতে হলে আমরা কোনো না কোনো জোটে চলে যেতাম। তো নির্বাচনের লক্ষ্য কী?

তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচনের লক্ষ্য ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে চাচ্ছি, যারা জনগণের কাছে যাবে, ‘হ্যাঁ’-এর পক্ষে প্রচারণা করবে।

ঢাকা-১০ আসন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার জন্য ফাঁকা রাখা হয়েছে কিনা প্রশ্নে নাহিদ বলেন, আমরা কোনও আসন বিশেষ কারও জন্য ফাঁকা রাখিনি। যে কয়টা আসন এখন পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত হতে পেরেছি, মনোনয়ন বোর্ডের রিপোর্ট অনুযায়ী আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা এটা জনগণের কাছে উন্মুক্ত করেছি। এটাও একটা ভেরিফিকেশনের জন্য, যদি কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকে, দুর্নীতি সন্ত্রাস বা ফ্যাসিজমের সঙ্গে জড়িত, তাহলে সেই প্রার্থিতা বাতিল হবে। আমাদের এই প্রক্রিয়া চলমান।

তিনি বলেন, আমরা জনগণের প্রতি যে আহ্বান রেখেছিলাম, আমরা যে বার্তা দিয়েছিলাম, আমরা চাই সাধারণ মানুষ, রাজনীতি সচেতন মানুষ, গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী মানুষ এবং যারা সর্বপরি বাংলাদেশের পরিবর্তনকামী মানুষ, আমরা এবারে নমিনেশনে নির্বাচনে তাদের আহ্বান জানিয়েছিলাম। আমাদের দলের বাইরেও আমরা নমিনেশন দিতে চাই। আমাদের প্রার্থী তালিকায় সে প্রতিফলন আপনারা দেখেছেন। আমাদের দলীয় সাংগঠনিক যারা কাজ করেছেন, এর বাইরে থেকেও যারা বিভিন্ন পেশার মানুষ রয়েছেন, শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, প্রবাসী বাংলাদেশি তাদের আমরা মনোনয়ন দিয়েছি।

নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে প্রার্থী ঘোষণা শুরু করলেও ভোটে জেতাই নির্বাচনের মূল লক্ষ্য নয় বলে জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, নির্বাচনে আসন জেতাই যদি তাঁদের লক্ষ্য হতো, তাহলে তাঁরা কোনো না কোনো জোটে ভিড়তেন।

নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে এখনো পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন জায়গায় দেখছি যে আমাদের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে এবং নির্বাচনী বিধিবিধান লঙ্ঘন করেই নির্বাচনী প্রচারণার কাজ পোস্টারিং বা টাকা খরচের যে বিষয়গুলো, এগুলো কিন্তু আসতেছে। আমরা নির্বাচন কমিশনে বলে আসছি যে প্রার্থীদের যেই খরচের হিসাব, সেটা যাতে যথাযথভাবে নির্বাচন কমিশন যাচাই–বাছাই করে আদায় করে নেয়। আমরা দেখছি বিভিন্ন জায়গায় অস্ত্রের মহড়া হচ্ছে। বিএনপি–জামায়াত উভয় দল থেকে আমরা এই ধরনের সংস্কৃতি দেখছি।’

বিভিন্ন দলের মনোনয়নপ্রক্রিয়ার সমালোচনা করে নাহিদ বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় মাফিয়াদের নমিনেশন দেওয়া হয়েছে। ঋণখেলাপিকে নমিনেশন দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে কি না, এর ওপর নির্ভর করবে কমিশন কতটা সুষ্ঠু প্রক্রিয়ায় কাজ করছে।’

বিপরীতে নিজেদের প্রার্থী তালিকা নিয়ে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম যে আমাদের এই যে মনোনয়ন তালিকাটা হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক…সেখানে নারী-পুরুষ, সংখ্যালঘু, সংখ্যাগুরু, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সবকিছুর সমন্বয় আমরা করব।’

এনসিপি আজ ১২৫ আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। মনোনীত কারও বিরুদ্ধে যদি কোনো অভিযোগ থাকে, তাহলে প্রার্থিতা বাতিল হবে বলে জানান নাহিদ।

আগামী নির্বাচনের তাৎপর্য তুলে ধরে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এবারের নির্বাচনটা গণভোট, এটা যাতে আমরা কেউ ভুলে না যাই। বলা হচ্ছে, প্রার্থী দেখে ভোট দেবেন, নাকি মার্কা দেখে ভোট দেবেন। কিন্তু ভোটটা যে গণভোট, ভোটের অন্যতম প্রধান প্রশ্ন হচ্ছে হ্যাঁ অথবা না, এই কথাটাই বলার জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেছি। আপনারা অনেকে জিজ্ঞেস করেন যে আমরা কয়টা সিট পাব বা আমরা কয়টা সিট প্রত্যাশা করি। আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেছি না, এটা খুবই পরিষ্কার। সিট কয়টা পাব কি পাব না, সেটা বিবেচনায় রেখেও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতেছি না। সিট নিশ্চিত করতে হলে আমরা কোনো না কোনো জোটের সঙ্গে চলে যাইতাম।’

রাজনৈতিক দল হিসেবে এনসিপি গঠনের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে অভ্যুত্থানের এই ছাত্রনেতা বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি, যদি গণঅভ্যুত্থানের পরে ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী, সংস্কারের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী, তরুণ প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী রাজনীতি পুনর্গঠিত করত, নিজেদের দলের ভেতরে সংস্কার আনত, নিজেদের নীতি–আদর্শকে আরও ঠিক করত, তাহলে এনসিপির জন্মের প্রয়োজন ছিল না। এনসিপি সাত মাস অপেক্ষা করেছে, যাতে বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলো একটা সমঝোতায় এসে আমাদের তরুণ প্রজন্মের গণ–অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করে। যেহেতু তারা সেটা করে নাই। যেহেতু তারা নিজেদের দলাদলি–অন্তর্দ্বন্দ্বে ব্যস্ত ছিল, নিজেদের দলীয় এজেন্ডাকে প্রধান করে তুলেছে, তার ফলেই কিন্তু এনসিপির জন্ম হয়েছে।’

অন্য দলগুলোর সমালোচনা করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি যে সংস্কার ছিল গণ–অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রধান এজেন্ডা। দ্বিতীয় এজেন্ডা ছিল বিচার। এই যে সামনে একটা গণভোট হবে এবং গণভোটে যে সংস্কারপ্রক্রিয়া বাস্তবায়ন হবে, এই আলাপটাই কোনো রাজনৈতিক দল করছে না। সবাই তার নিজের দলের যার যার যে এজেন্ডা, সেই এজেন্ডাকে নিয়ে ক্যাম্পেইন করতেছে বা সেটাকে তুলে ধরতেছে।’