Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিটি নির্বাচনে মন্ত্রণালয়ের ন্যূনতম কোনো সংযোগ নেই: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সিটি করপোরেশনগুলো স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীন হলেও নির্বাচনে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ নেই। এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের অধীন। নির্বাচনে নিয়ে এ মন্ত্রণালয়ের ন্যূনতম কোনো সংযোগ নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

বুধবার (২৪ মে) জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সচিবালয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন হয় নির্বাচন কমিশনের অধীন। আমাদের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচন হয়তো হয়; তবে এখানে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ব্যাপারে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ন্যূনতম কোনো সংযোগ নেই। আর সেখানে আমরা সর্বোচ্চ নিরপেক্ষ অবস্থায় অবস্থান করছি। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, এটিই সরকার চায়।

মন্ত্রী বলেন, এ নির্বাচনের ব্যাপারে আমাদের কোনো রকমের সংশ্লিষ্টতা নেই। পুরোটাই নির্বাচন কমিশনের অধীন হচ্ছে। যারা নির্বাচিত হবেন, তারা এ মন্ত্রণালয়ের অধীন কাজ করবেন। এ জন্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সিটি নির্বাচন আমরা করিও না, করব না।

সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, দলীয় মনোনয়ন অনেকেই চায়। একজনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। যিনি সংসদ সদস্য আছেন, তিনি আবার আগামী সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন নাও পেতে পারেন। একই ব্যক্তি পেতেও পারেন, এটি দলের সিদ্ধান্ত।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পৃথিবীর যেকোনো নির্বাচনে কিছুটা সমস্যা থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ভারত বা বাংলাদেশে, সবখানেই সমস্যা আছে, কোথাও একটু বেশি কোথাও একটু কম। আমাদের এখানে আগে নির্বাচনে অনেক ধরনের নাশকতা হতো, মারামারি হতো। কিন্তু এখন একটা সহনীয় জায়গায় থাকবে।

তাজুল ইসলাম বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গত নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক আছে। এ রকম বিতর্ক থাকবেই। তবে বিতর্ক কমানোর জন্য চেষ্টা করা উচিত। নির্বাচনে সংঘাত আগের তুলনায় কমেছে। আগে তো মারামারি করে সবাইকে বের করে সিল মেরে দেওয়া হতো। ১০৯ শতাংশ ভোট পেয়েও পাস করেছে। ওই জায়গা থেকে তো আমরা বের হয়েছি। তারপরও আমাদের বিতর্ক আছে। তবে অর্জনগুলো স্বীকার করতে হবে।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর যেকোন নির্বাচনে কিছুটা বিতর্ক থাকবেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ভারত বা বাংলাদেশ হোক, সব জায়গায়ই সমস্যা রয়েছে। কোথাও একটু বেশি, কোথাও একটু কম।

তাজুল ইসলাম বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনেও বিতর্ক আছে। নির্বাচন নিয়ে তর্ক-বিতর্ক কিছু থাকবেই, যতটুকু সম্ভব সেটি কমানোর জন্য চেষ্টা করা উচিত।

জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, তারা মনে করেন খুবই অল্পসময়ে অনেক অর্জন আছে বাংলাদেশের। এসব অর্জন কীভাবে সম্ভব হয়েছে, তার কারণ কী; তা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। তাদের ধারণা, বাংলাদেশের এই উন্নতি যদি সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করা যায়, তাহলে সেই পথনকশা বিশ্বের অন্য দরিদ্র দেশগুলোতে তারা ব্যবহার করতে পারবেন।

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান মো. তাজুল ইসলাম। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা বলতে চান, জাতিসংঘ ও অন্যান্য দেশগুলো সবাই মিলে চেষ্টা করছে যাতে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে তারা বাংলাদেশকে কী ধরনের সহযোগিতা দেবে- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনগত সহায়তা ও মিয়ানমারের নাগরিকদের তাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়া সহজ করতে আলোচনা তারা করছে।

তিনি বলেন, ডেঙ্গু সংক্রমণের হার অনেক বেড়েছে, মৃত্যু বেড়েছে। তবে এটি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পার্শ্ববর্তী অনেক দেশের তুলনায় দেশে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা অনেক ভালো।

আবারও ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়েছে, এ নিয়ে আপনাদের পদক্ষেপ কী-এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, গত বছর ৫০ লাখ লোকের দেশ সিঙ্গাপুরে ডেঙ্গুর প্রকোপ আমাদের চেয়েও বেশি ছিল। মালয়েশিয়ায় আক্রান্ত ছিল আড়াই লাখের মতো, ফিলিপাইনে এই সংখ্যাটা প্রায় তিন লাখের কাছাকাছি। দুঃখজনকভাবে আমাদের অনেক লোক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে, কিন্তু বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় আমাদের অবস্থা অনেক ভালো।

বাংলাদেশে ডেঙ্গুতে অনেক লোক মারা যাচ্ছে, ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে জনসচেতনতা বাড়ানো হয়েছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

সিটি নির্বাচনে মন্ত্রণালয়ের ন্যূনতম কোনো সংযোগ নেই: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৫:০২:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

সিটি করপোরেশনগুলো স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীন হলেও নির্বাচনে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ নেই। এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের অধীন। নির্বাচনে নিয়ে এ মন্ত্রণালয়ের ন্যূনতম কোনো সংযোগ নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

বুধবার (২৪ মে) জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সচিবালয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন হয় নির্বাচন কমিশনের অধীন। আমাদের স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচন হয়তো হয়; তবে এখানে সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ব্যাপারে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ন্যূনতম কোনো সংযোগ নেই। আর সেখানে আমরা সর্বোচ্চ নিরপেক্ষ অবস্থায় অবস্থান করছি। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, এটিই সরকার চায়।

মন্ত্রী বলেন, এ নির্বাচনের ব্যাপারে আমাদের কোনো রকমের সংশ্লিষ্টতা নেই। পুরোটাই নির্বাচন কমিশনের অধীন হচ্ছে। যারা নির্বাচিত হবেন, তারা এ মন্ত্রণালয়ের অধীন কাজ করবেন। এ জন্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সিটি নির্বাচন আমরা করিও না, করব না।

সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, দলীয় মনোনয়ন অনেকেই চায়। একজনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। যিনি সংসদ সদস্য আছেন, তিনি আবার আগামী সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন নাও পেতে পারেন। একই ব্যক্তি পেতেও পারেন, এটি দলের সিদ্ধান্ত।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পৃথিবীর যেকোনো নির্বাচনে কিছুটা সমস্যা থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ভারত বা বাংলাদেশে, সবখানেই সমস্যা আছে, কোথাও একটু বেশি কোথাও একটু কম। আমাদের এখানে আগে নির্বাচনে অনেক ধরনের নাশকতা হতো, মারামারি হতো। কিন্তু এখন একটা সহনীয় জায়গায় থাকবে।

তাজুল ইসলাম বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গত নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক আছে। এ রকম বিতর্ক থাকবেই। তবে বিতর্ক কমানোর জন্য চেষ্টা করা উচিত। নির্বাচনে সংঘাত আগের তুলনায় কমেছে। আগে তো মারামারি করে সবাইকে বের করে সিল মেরে দেওয়া হতো। ১০৯ শতাংশ ভোট পেয়েও পাস করেছে। ওই জায়গা থেকে তো আমরা বের হয়েছি। তারপরও আমাদের বিতর্ক আছে। তবে অর্জনগুলো স্বীকার করতে হবে।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর যেকোন নির্বাচনে কিছুটা বিতর্ক থাকবেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ভারত বা বাংলাদেশ হোক, সব জায়গায়ই সমস্যা রয়েছে। কোথাও একটু বেশি, কোথাও একটু কম।

তাজুল ইসলাম বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনেও বিতর্ক আছে। নির্বাচন নিয়ে তর্ক-বিতর্ক কিছু থাকবেই, যতটুকু সম্ভব সেটি কমানোর জন্য চেষ্টা করা উচিত।

জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, তারা মনে করেন খুবই অল্পসময়ে অনেক অর্জন আছে বাংলাদেশের। এসব অর্জন কীভাবে সম্ভব হয়েছে, তার কারণ কী; তা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। তাদের ধারণা, বাংলাদেশের এই উন্নতি যদি সঠিকভাবে বিশ্লেষণ করা যায়, তাহলে সেই পথনকশা বিশ্বের অন্য দরিদ্র দেশগুলোতে তারা ব্যবহার করতে পারবেন।

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বলেও জানান মো. তাজুল ইসলাম। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা বলতে চান, জাতিসংঘ ও অন্যান্য দেশগুলো সবাই মিলে চেষ্টা করছে যাতে এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে তারা বাংলাদেশকে কী ধরনের সহযোগিতা দেবে- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনগত সহায়তা ও মিয়ানমারের নাগরিকদের তাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়া সহজ করতে আলোচনা তারা করছে।

তিনি বলেন, ডেঙ্গু সংক্রমণের হার অনেক বেড়েছে, মৃত্যু বেড়েছে। তবে এটি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পার্শ্ববর্তী অনেক দেশের তুলনায় দেশে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা অনেক ভালো।

আবারও ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়েছে, এ নিয়ে আপনাদের পদক্ষেপ কী-এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, গত বছর ৫০ লাখ লোকের দেশ সিঙ্গাপুরে ডেঙ্গুর প্রকোপ আমাদের চেয়েও বেশি ছিল। মালয়েশিয়ায় আক্রান্ত ছিল আড়াই লাখের মতো, ফিলিপাইনে এই সংখ্যাটা প্রায় তিন লাখের কাছাকাছি। দুঃখজনকভাবে আমাদের অনেক লোক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে, কিন্তু বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় আমাদের অবস্থা অনেক ভালো।

বাংলাদেশে ডেঙ্গুতে অনেক লোক মারা যাচ্ছে, ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে জনসচেতনতা বাড়ানো হয়েছে।