Dhaka রবিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিঙ্গাপুরকে ৮ গোলে বিধ্বস্ত করলো বাংলাদেশ

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৪৯:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৩
  • ১৯১ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

দুইটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে র‌্যাঙ্কিংয়ে ১২ ধাপ এগিয়ে থাকা সিঙ্গাপুরকে পাত্তাই দেয়নি বাংলাদেশ। বড় জয়ে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষকে। এবার দ্বিতীয় ম্যাচেও দুর্দান্ত বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। তহুরা খাতুন ও ঋতূপর্ণা চাকমার জোড়া গোলে স্বাগতিকদের ৮-০ গোলে উড়িয়ে সিরিজ নিজেদের করে নেয় সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১২ ধাপ এগিয়ে থাকা প্রতিপক্ষকে ৮-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে বাংলাদেশ। জোড়া লক্ষ্যভেদ করেন তহুরা খাতুন ও ঋতুপর্ণা চাকমা। একটি করে গোল দিয়েছেন সানজিদা আক্তার, অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, সুমাইয়া মাতসুশিমা ও শামসুন্নাহার জুনিয়র।

গত বছর সেপ্টেম্বরে সাফে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এ বছর জুলাইয়ে ঘরের মাঠে নেপালের সঙ্গে দুটি প্রীতি ম্যাচ ড্র করে বাংলাদেশ। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে এশিয়ান গেমসে জাপান ও ভিয়েতনামের কাছে হার, নেপালের সঙ্গে আবার ড্র। বছরের শেষে এসে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচেই প্রথম জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ। দুটি ম্যাচে ১১ গোল হজম করে দেশে ফিরছেন সিঙ্গাপুরের মেয়েরা।

এদিন পুরোটা সময় আক্রমণের ঝড় তুলে প্রথমার্ধেই ৩ গোল তুলে নেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে আরও ৫ গোলে সিঙ্গাপুরকে স্রেফ গুঁড়িয়ে দেয় তহুরা খাতুন ও ঋতুপর্ণা চাকমারা।

একতরফা ম্যাচে শুরু থেকেই সিঙ্গাপুরকে চেপে ধরে বাংলাদেশ। আসি আসি করছিল গোলও। সাবিনা খাতুন গোলরক্ষককে একা পেয়েও পারেননি গোল করতে। সতীর্থদের দিয়ে গোল করাতে গিয়ে তালগোল পাকিয়েছেন একাধিকবার।

১৬ মিনিটে হয়েছে ১-০। সাবিনার ফ্রি–কিক আসে বক্সে। ডিফেন্ডার আফিদা খাতুন বল তোলেন ওপরে। মাসুরা হেড করেন। সেই বল হেডে জালে পাঠান তহুরা। পরের মিনিটেই সাবিনার কর্নার থেকে ঋতুপর্ণা চাকমার আলতো টোকায় ২-০। ২৪ মিনিটে সানজিদার লম্বা বলে ঋতুপর্ণার শট। সিঙ্গাপুরের গোলকিপার তান লির হাত থেকে বল বেরিয়ে যায়। ফিরতি বল টোকা দিয়ে জালে পাঠান তহুরা।

প্রথমার্ধের বাকি সময় আরো কিছু আক্রমণ করে বাংলাদেশের মেয়েরা, তবে গোলের দেখা পাইনি সাবিনা-তাহুরারা। শেষ পর্যন্ত প্রথমার্ধের বাকি সময় দুই দলের কেউ আর গোলের দেখা না পেলে ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশের মেয়েরা।

দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণাত্মক মেজাজেই শুরু করে বাংলাদেশের মেয়েরা। ম্যাচের ৫০তম মিনিটে সিঙ্গাপুরের জালে বল পাঠালেও অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায় সেটি। তবে আফসোসে পুড়তে হয়নি সানজিদার। সাত মিনিট পরেই গোল পেয়ে যান সানজিদা। তহুরার শট গোলরক্ষক ঠেকিয়ে দিলেও ফিরতি শটে লক্ষ্যভেদ করেন সানজিদা। চতুর্থ গোলের ছয় মিনিট পর আবারও লক্ষ্যভেদ ঋতুপর্ণার। এবার সানজিদাই বলের যোগানদাতা। তার পাসে উঁচু শটে সিঙ্গাপুরের জাল কাঁপিয়ে দেন ঋতুপর্ণা। তবে ৬৯তম মিনিটে হ্যাট্রিক মিস করেন তিনি। অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায় তার শটটি।

তবে স্বস্তিতে থাকতে পারেনি সিঙ্গাপুরের ফুটবলাররা। শেষদিকে আরও তিনবার তাদের গোললাইন অতিক্রম করে বাংলাদেশের শট। ৭৫তম মিনিটে বদলি শামসুন্নাহারের কাছ থেকে বলে পেয়ে গোল করেন সাবিনা। ৮৭তম মিনিটে দারুণ ভলিতে গোলদাতাদের তালিকায় নাম ওঠান আরেক বদলি মাতসুশিমা। আর যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে ঋতুপর্ণার পাসে স্কোরলাইন ৮-০ করেন শামসুন্নাহার।

এর আগে ছয় বছর আগে শেষ দেখা হয়েছিল বাংলাদেশ আর সিঙ্গাপুরের। সেবার তাদের মাঠে ৩-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। ছয় বছর পর ফের সাক্ষাতে দুটি প্রীতি ম্যাচে মোট ১১ গোল দিয়ে মধুর প্রতিশোধ নিলো বাংলাদেশের মেয়েরা।

সিঙ্গাপুরের জার্সিতে এ ম্যাচ খেলেছেন বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের স্ট্রাইকার দানিলে তান লি। কিন্তু দল সারাক্ষণ রক্ষণেই ব্যস্ত থাকায় পেছন থেকে বল খুব একটা পাননি তিনি। যে দু–একবার পেয়েছেন, তাতে পায়ের ঝলক দেখাতে পারলেও গোলের মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারেননি। গোটা সিঙ্গাপুর দলটাই আসলে কিছু করতে পারেনি। তবে তাদের এক খেলোয়াড়ের সঙ্গে সংঘর্ষে শেষ দিকে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশ গোলকিপার রুপনা চাকমাকে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

হাসিনা ও আ. লীগ ফেরাউন-নমরুদের দোসর : দুলু

সিঙ্গাপুরকে ৮ গোলে বিধ্বস্ত করলো বাংলাদেশ

প্রকাশের সময় : ০৯:৪৯:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৩

স্পোর্টস ডেস্ক : 

দুইটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে র‌্যাঙ্কিংয়ে ১২ ধাপ এগিয়ে থাকা সিঙ্গাপুরকে পাত্তাই দেয়নি বাংলাদেশ। বড় জয়ে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষকে। এবার দ্বিতীয় ম্যাচেও দুর্দান্ত বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। তহুরা খাতুন ও ঋতূপর্ণা চাকমার জোড়া গোলে স্বাগতিকদের ৮-০ গোলে উড়িয়ে সিরিজ নিজেদের করে নেয় সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১২ ধাপ এগিয়ে থাকা প্রতিপক্ষকে ৮-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে বাংলাদেশ। জোড়া লক্ষ্যভেদ করেন তহুরা খাতুন ও ঋতুপর্ণা চাকমা। একটি করে গোল দিয়েছেন সানজিদা আক্তার, অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, সুমাইয়া মাতসুশিমা ও শামসুন্নাহার জুনিয়র।

গত বছর সেপ্টেম্বরে সাফে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এ বছর জুলাইয়ে ঘরের মাঠে নেপালের সঙ্গে দুটি প্রীতি ম্যাচ ড্র করে বাংলাদেশ। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে এশিয়ান গেমসে জাপান ও ভিয়েতনামের কাছে হার, নেপালের সঙ্গে আবার ড্র। বছরের শেষে এসে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচেই প্রথম জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ। দুটি ম্যাচে ১১ গোল হজম করে দেশে ফিরছেন সিঙ্গাপুরের মেয়েরা।

এদিন পুরোটা সময় আক্রমণের ঝড় তুলে প্রথমার্ধেই ৩ গোল তুলে নেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে আরও ৫ গোলে সিঙ্গাপুরকে স্রেফ গুঁড়িয়ে দেয় তহুরা খাতুন ও ঋতুপর্ণা চাকমারা।

একতরফা ম্যাচে শুরু থেকেই সিঙ্গাপুরকে চেপে ধরে বাংলাদেশ। আসি আসি করছিল গোলও। সাবিনা খাতুন গোলরক্ষককে একা পেয়েও পারেননি গোল করতে। সতীর্থদের দিয়ে গোল করাতে গিয়ে তালগোল পাকিয়েছেন একাধিকবার।

১৬ মিনিটে হয়েছে ১-০। সাবিনার ফ্রি–কিক আসে বক্সে। ডিফেন্ডার আফিদা খাতুন বল তোলেন ওপরে। মাসুরা হেড করেন। সেই বল হেডে জালে পাঠান তহুরা। পরের মিনিটেই সাবিনার কর্নার থেকে ঋতুপর্ণা চাকমার আলতো টোকায় ২-০। ২৪ মিনিটে সানজিদার লম্বা বলে ঋতুপর্ণার শট। সিঙ্গাপুরের গোলকিপার তান লির হাত থেকে বল বেরিয়ে যায়। ফিরতি বল টোকা দিয়ে জালে পাঠান তহুরা।

প্রথমার্ধের বাকি সময় আরো কিছু আক্রমণ করে বাংলাদেশের মেয়েরা, তবে গোলের দেখা পাইনি সাবিনা-তাহুরারা। শেষ পর্যন্ত প্রথমার্ধের বাকি সময় দুই দলের কেউ আর গোলের দেখা না পেলে ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশের মেয়েরা।

দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণাত্মক মেজাজেই শুরু করে বাংলাদেশের মেয়েরা। ম্যাচের ৫০তম মিনিটে সিঙ্গাপুরের জালে বল পাঠালেও অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায় সেটি। তবে আফসোসে পুড়তে হয়নি সানজিদার। সাত মিনিট পরেই গোল পেয়ে যান সানজিদা। তহুরার শট গোলরক্ষক ঠেকিয়ে দিলেও ফিরতি শটে লক্ষ্যভেদ করেন সানজিদা। চতুর্থ গোলের ছয় মিনিট পর আবারও লক্ষ্যভেদ ঋতুপর্ণার। এবার সানজিদাই বলের যোগানদাতা। তার পাসে উঁচু শটে সিঙ্গাপুরের জাল কাঁপিয়ে দেন ঋতুপর্ণা। তবে ৬৯তম মিনিটে হ্যাট্রিক মিস করেন তিনি। অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায় তার শটটি।

তবে স্বস্তিতে থাকতে পারেনি সিঙ্গাপুরের ফুটবলাররা। শেষদিকে আরও তিনবার তাদের গোললাইন অতিক্রম করে বাংলাদেশের শট। ৭৫তম মিনিটে বদলি শামসুন্নাহারের কাছ থেকে বলে পেয়ে গোল করেন সাবিনা। ৮৭তম মিনিটে দারুণ ভলিতে গোলদাতাদের তালিকায় নাম ওঠান আরেক বদলি মাতসুশিমা। আর যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে ঋতুপর্ণার পাসে স্কোরলাইন ৮-০ করেন শামসুন্নাহার।

এর আগে ছয় বছর আগে শেষ দেখা হয়েছিল বাংলাদেশ আর সিঙ্গাপুরের। সেবার তাদের মাঠে ৩-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। ছয় বছর পর ফের সাক্ষাতে দুটি প্রীতি ম্যাচে মোট ১১ গোল দিয়ে মধুর প্রতিশোধ নিলো বাংলাদেশের মেয়েরা।

সিঙ্গাপুরের জার্সিতে এ ম্যাচ খেলেছেন বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের স্ট্রাইকার দানিলে তান লি। কিন্তু দল সারাক্ষণ রক্ষণেই ব্যস্ত থাকায় পেছন থেকে বল খুব একটা পাননি তিনি। যে দু–একবার পেয়েছেন, তাতে পায়ের ঝলক দেখাতে পারলেও গোলের মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে পারেননি। গোটা সিঙ্গাপুর দলটাই আসলে কিছু করতে পারেনি। তবে তাদের এক খেলোয়াড়ের সঙ্গে সংঘর্ষে শেষ দিকে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশ গোলকিপার রুপনা চাকমাকে।