নিজস্ব প্রতিবেদক :
ঢাকার মালিবাগে সিগারেট খেতে বারণ করায় সোহাগ পরিবহনের কাউন্টারে হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় সোহাগ পরিবহনের মালিক আলী হাসান পলাশ তালুকদার ও তার ব্যক্তিগত গাড়ির চালক মাসুদ মামুন গুরুতর আহত হয়েছেন।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে কাউন্টারের বেশ কয়েকজন কর্মচারী আহত হয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
জানা গেছে, সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে সোহাগ পরিবহনের বাস কাউন্টারে হামলা ও ভাঙচুর করে কয়েকজন যুবক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাতের ওই সময়ে দুই যুবক সোহাগ পরিবহনের মালিবাগ কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে সিগারেট খাচ্ছিলেন। এ সময় কাউন্টার কর্তৃপক্ষ তাদের দূরে গিয়ে ধূমপান করতে বললে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।
পরবর্তীতে ওই দুই যুবক আরও কয়েকজনকে ঘটনাস্থলে ডেকে আনে। তারা হঠাৎ করেই কাউন্টারে হামলা চালায় এবং ভাঙচুর করে। এতে কাউন্টারের কাচ ও আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হামলার সময় আতঙ্কে আশপাশের সাধারণ মানুষ দৌড়ে সরে যায়।
সোহাগ পরিবহন কাউন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান, এ ঘটনায় তাদের অন্তত কয়েকজন কর্মচারী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। বর্তমানে আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আলী হাসান পলাশ তালুকদারের ভাই মাজেদুল হক নাদিম বলেন, পলাশ ভাইকে আক্রমণ ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। বাসার গেটেও হামলা করেছে।
তবে ভেতরে ঢুকতে পারেনি তারা। পলাশ ভাইয়ের গাড়িচালকের শরীরেও অসংখ্য কোপ লেগেছে। হামলার কারণ সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেননি তিনি।
রমনা মডেল থানার ডিউটি অফিসার জানান, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়।
এদিকে ঘটনাস্থলে যাওয়া রমনা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নাহিদ বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ৬০ থেকে ৭০ জন লোক কাউন্টারে এসে এলোপাতাড়ি মারপিট করেছে। কাউন্টার ভাঙচুর করে স্টাফদের মেরেছে। দুর্বৃত্তের ধারালো অস্ত্রের কোপে দুজন গুরুতর আহত হয়েছে। এ ছাড়া আরও অনেকে আহত হয়েছেন। কারা হামলা করেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, আহতরা সিরাজুল ইসলাম মেডিকেলসহ বিভিন্ন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, হামলাকারীরা স্থানীয়। তাদের সঙ্গে কী নিয়ে বিরোধ লেগেছিল তা জানার চেষ্টা চলছে।