নড়াইল জেলা প্রতিনিধি :
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে সবিতা রাণী বালা (৫০) নামে এক স্কুল শিক্ষিকাকে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার (২০ অক্টোবর) দিবাগত গভীর রাতের যেকোনো এক সময়ে উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সবিতা রাণী দৌলতপুর গ্রামের পরিতোস কুমারের স্ত্রী। তিনি চর-দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ দম্পতির কোনো সন্তান নেই।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সবিতা রাণী বালা স্কুলশিক্ষক থাকার কারণে তিনি গভীর রাত পর্যন্ত ঘরে বসে ল্যাপটপে কাজ করতেন। তার স্বামী বাড়িতে থাকা মন্দিরে পূজা-আর্চনা করে পাশের ঘরে ঘুমিয়ে থাকেন। রোববার (২০ অক্টোবর) রাতে দৈনন্দিন কাজ শেষে প্রতিদিনের মতো রাতে ঘরে একা ঘুমিয়ে ছিলেন ওই স্কুল শিক্ষিকা। তার স্বামী বাড়ির অন্য ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাতে পরিতোষ মন্ডল টয়লেটে যাওয়ার জন্য বের হতে গেলে বাহির পাশ থেকে ঘরের দরজার ছিটকিনি লাগানো দেখেন পরে তিনি সবিতা রাণিকে ফোন দিলে তার ফোন বন্ধ পান। পরে প্রতিবেশি ভাই সন্তোষ মন্ডলকে ফোন করলে তার ঘরের ছিটকিনি ও বাহির থেকে বন্ধ পেয়ে পেছন দরজা দিয়ে বের হন। পরে সবাই মিলে সবিতা রাণীর ঘরে গিয়ে তার হাত পা বাঁধা মরদেহ দেখতে পান।
ধারণা করা হচ্ছে, রাতের যেকোনো সময় চুরির উদ্দেশ্যে সিঁধ কেটে ঘরে ঢোকে চোরের দল। ওই নারী তাদের চিনে ফেলায় তার গলায় গামছা পেঁচিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এসময় ঘরের আসবাবপত্র এলোমেলো করে সবিতা রাণী বালার ব্যবহৃত ল্যাপটপ হাতে ও গলায় ও কানে পরিহিত স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সোমবার (২১ অক্টোবর) ভোরে খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান বলেন, রাত পৌনে ৪টার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহের মুখের মধ্যে কাপড় ঢুকানো ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এ ঘটনায় পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।