Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সার্ভার সমস্যায় ভোগান্তিতে রেলের টিকিটপ্রত্যাশীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনেই রেলের টিকেট কাটতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রেলের টিকিটপ্রত্যাশীরা। আবার টিকিট কালোবাজারির পুরোনো অভিযোগ নতুন করে তুলছেন যাত্রীরা।

শনিবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হলে সার্ভার জটিলতায় যাত্রীরা সমস্যার পড়েন। টিকিট কাটতে পারছেন না তারা।

শুক্রবার (৭ এপ্রিল) মতো আজ শনিবারও প্রচণ্ড চাপ ছিল উত্তরবঙ্গের ট্রেন টিকিটের। যদিও গতকালের মতো ১ মিনিটের মধ্যে সব টিকিট বুকড হয়ে যায়নি। তবে তাতে লাভ হয়নি। টিকিটপ্রত্যাশীরা পড়েছেন নতুন ভোগান্তিতে।

সার্ভার জটিলতায় অনেকে ‘রেলসেবা’ অ্যাপে ঢুকতে পারেননি। অনেকে আবার অ্যাপে ঢুকতে পারলেও টিকিট বুকিং অপশনে ক্লিক করার পরে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকছে, পরবর্তী ধাপে সিলেক্ট হলেও টিকিট পারচেজ হয়নি অনেকের।

কমলাপুর রেলস্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, ঈদ যাত্রায় রেলের আগাম টিকিট প্রত্যাশীদের চাপ বেশি থাকায় সার্ভারে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ কারণেই টিকিট বিক্রিতে ধীর গতি দেখা যাচ্ছে।

রেলের অ্যাপে প্রতি মিনিটে অন্তত ১০ লাখ ভিজিটর প্রবেশ করতে পারেন। এছাড়া প্রতি মিনিটে টিকিট বিক্রি করা যায় আট হাজার। কিন্তু আজ টিকিট প্রত্যাশীদের চাপ অনেকটাই বেশি। আজ অন্তত ১৩ লাখ ভিজিটর একবারে প্রবেশ করছেন, এ কারণেই জটিলতা তৈরি হয়েছে বলেও জানান তিনি।

রেল মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আজকে অতিরিক্ত পরিমাণ যাত্রী চাহিদা রয়েছে। আর সে কারণেই টিকিট প্রত্যাশীর সংখ্যাও প্রচুর।

আর তাই যারা বাসায় বসে সার্ভারে ঢুকতে পারছেন না, টিকিট কাটতে পারছেন না তারা উপায়ন্তর না পেয়ে কমলাপুর স্টেশনে কাউন্টারের সামনে ভিড় করছেন।

‘বাংলাদেশ রেলওয়ে হেল্পলাইন’ নামক দেড় লাখ রেলযাত্রীদের একটি ফেসবুক গ্রুপে নিজেদের নানা ভোগান্তি তুলে ধরেছেন যাত্রীরা।

এমডি জাভেদ নামে একজন লিখেছেন, গত দুই ঘণ্টা ধরে সার্ভারের এই অবস্থা লগইন করা যাচ্ছে না, কিন্তু টিকিট সেল হয়ে যাচ্ছে।

বখতিয়ার রহমান নামে অপর একজন লিখেছেন, কোনোভাবেই সার্ভারে ঢোকা গেল না।

চাহিদা থাকা সত্ত্বেও উত্তরবঙ্গে স্পেশাল ট্রেন না দেওয়ার সমালোচনাও করছেন অনেকে।

মাসুদ রানা নামে এক যাত্রী লিখেছেন, কি আশ্চর্য বিষয় সিলেটে টিকিট নেওয়ার মতো মানুষ নাই। অথচ আমাদের উত্তরবঙ্গে ৮ টার পরপরই টিকিট খুঁজে পাওয়া যায় না। তাহলে সিলেটে এত ট্রেন দেওয়ার মানে কি! ঈদ উপলক্ষেও তো রংপুর বিভাগের জন্য ২টা ট্রেন বেশি দিতে পারত!

টিকিট বিক্রির দ্বিতীয় দিনে যাত্রীদের এ ভোগান্তির বিষয়ে জানতে চেয়ে সহজ জেভির নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ দেবনাথকে কয়েকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তথ্য বলছে, উত্তরবঙ্গের একতা, দ্রুতযান, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস ও কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের টিকিট শেষ হতে সময় নেয় দুই ঘণ্টা।

ঢাকা থেকে রাজশাহীতে চলে চারটি আন্তনগর ট্রেন- পদ্মা, সিল্কসিটি, ধুমকেতু ও বনলতা এক্সপ্রেসের টিকিটও শেষ হয়ে সাড়ে ৯টার দিকে।

যশোর ও খুলনাগামী সুন্দরবন ও চিত্রা এক্সপ্রেসে যশোরের মাত্র ৫ সিট খালি থাকলেও খুলনার প্রায় ২০০ সিট খালি রয়েছে। অন্যদিকে বেনাপোল রুটের বেনাপোল এক্সপ্রেসে খালি রয়েছে ২৪টি সিট।

সিলেট রুটের কালনী, পারাবত, জয়ন্তিকা, উপবন এক্সপ্রেসের টিকেট এখনও পাওয়া যাচ্ছে। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম রুটের চট্টলা, সুবর্ণা, সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের টিকেটও পাওয়া যাচ্ছে।

তবে ময়মনসিংহ, জামালপুর রুটের চলাচলকারী অগ্নিবীণা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, জামালপুর ও তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের চাহিদাও ছিল অনেক। তবে এ রুটের যাত্রীদের টিকিট কাটতে ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের সময় এ রুটের ৩ হাজার টিকিটের মাঝে মাত্র ১৫টি অবিক্রীত ছিল।

অন্যদিকে ময়মনসিংহ-নেত্রকোণা রুটের মোহনগঞ্জ ও হাওর এক্সপ্রেসের দেড় হাজার টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে। চাহিদা থাকলেও এ রুটে যাত্রীদের টিকিট কাটতে ভোগান্তির কথা শোনা যায়নি। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের সময় এ রুটের অবিক্রীত টিকেট ছিল ১৯টি।

এদিকে শনিবার (৮ এপ্রিল) বিক্রি হচ্ছে ১৮ এপ্রিলের টিকিট, রোববার (৯ এপ্রিল) বিক্রি হবে ১৯ এপ্রিলের টিকিট, সোমবার (১০ এপ্রিল) ২০ এপ্রিল ও মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বিক্রি করা হবে ২১ এপ্রিলের টিকিট।

একইভাবে ঈদে ফিরতি যাত্রার টিকিট বিক্রি করা হবে ১৫ এপ্রিল থেকে। প্রথম দিন (১৫ এপ্রিল) বিক্রি হবে ২৫ এপ্রিলের টিকিট, ১৬ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ২৬ এপ্রিলের টিকিট, ১৭ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ২৭ এপ্রিলের টিকিট, ১৮ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ২৮ এপ্রিলের টিকিট, ১৯ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ২৯ এপ্রিলের টিকিট এবং ২০ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ৩০ এপ্রিলের টিকিট।

ঈদ উপলক্ষে আন্তঃদেশীয় মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন ১৮-২৭ এপ্রিল পর্যন্ত এবং মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন ২০-২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে আন্তঃদেশীয় বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন যথারীতি চলাচল করবে।

ঈদযাত্রা শুরুর দিন ১৭ এপ্রিল থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ঢাকাগামী একতা, দ্রুতযান, পঞ্চগড়, নীলসাগর, কুড়িগ্রাম, লালমনি ও রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে যাত্রা বিরতি করবে না।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংযোগ সড়ক না থাকায় ব্রিজের সুফল পাচ্ছে না সাত গ্রামের মানুষ

সার্ভার সমস্যায় ভোগান্তিতে রেলের টিকিটপ্রত্যাশীরা

প্রকাশের সময় : ১২:৫৩:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনেই রেলের টিকেট কাটতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রেলের টিকিটপ্রত্যাশীরা। আবার টিকিট কালোবাজারির পুরোনো অভিযোগ নতুন করে তুলছেন যাত্রীরা।

শনিবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হলে সার্ভার জটিলতায় যাত্রীরা সমস্যার পড়েন। টিকিট কাটতে পারছেন না তারা।

শুক্রবার (৭ এপ্রিল) মতো আজ শনিবারও প্রচণ্ড চাপ ছিল উত্তরবঙ্গের ট্রেন টিকিটের। যদিও গতকালের মতো ১ মিনিটের মধ্যে সব টিকিট বুকড হয়ে যায়নি। তবে তাতে লাভ হয়নি। টিকিটপ্রত্যাশীরা পড়েছেন নতুন ভোগান্তিতে।

সার্ভার জটিলতায় অনেকে ‘রেলসেবা’ অ্যাপে ঢুকতে পারেননি। অনেকে আবার অ্যাপে ঢুকতে পারলেও টিকিট বুকিং অপশনে ক্লিক করার পরে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকছে, পরবর্তী ধাপে সিলেক্ট হলেও টিকিট পারচেজ হয়নি অনেকের।

কমলাপুর রেলস্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, ঈদ যাত্রায় রেলের আগাম টিকিট প্রত্যাশীদের চাপ বেশি থাকায় সার্ভারে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ কারণেই টিকিট বিক্রিতে ধীর গতি দেখা যাচ্ছে।

রেলের অ্যাপে প্রতি মিনিটে অন্তত ১০ লাখ ভিজিটর প্রবেশ করতে পারেন। এছাড়া প্রতি মিনিটে টিকিট বিক্রি করা যায় আট হাজার। কিন্তু আজ টিকিট প্রত্যাশীদের চাপ অনেকটাই বেশি। আজ অন্তত ১৩ লাখ ভিজিটর একবারে প্রবেশ করছেন, এ কারণেই জটিলতা তৈরি হয়েছে বলেও জানান তিনি।

রেল মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আজকে অতিরিক্ত পরিমাণ যাত্রী চাহিদা রয়েছে। আর সে কারণেই টিকিট প্রত্যাশীর সংখ্যাও প্রচুর।

আর তাই যারা বাসায় বসে সার্ভারে ঢুকতে পারছেন না, টিকিট কাটতে পারছেন না তারা উপায়ন্তর না পেয়ে কমলাপুর স্টেশনে কাউন্টারের সামনে ভিড় করছেন।

‘বাংলাদেশ রেলওয়ে হেল্পলাইন’ নামক দেড় লাখ রেলযাত্রীদের একটি ফেসবুক গ্রুপে নিজেদের নানা ভোগান্তি তুলে ধরেছেন যাত্রীরা।

এমডি জাভেদ নামে একজন লিখেছেন, গত দুই ঘণ্টা ধরে সার্ভারের এই অবস্থা লগইন করা যাচ্ছে না, কিন্তু টিকিট সেল হয়ে যাচ্ছে।

বখতিয়ার রহমান নামে অপর একজন লিখেছেন, কোনোভাবেই সার্ভারে ঢোকা গেল না।

চাহিদা থাকা সত্ত্বেও উত্তরবঙ্গে স্পেশাল ট্রেন না দেওয়ার সমালোচনাও করছেন অনেকে।

মাসুদ রানা নামে এক যাত্রী লিখেছেন, কি আশ্চর্য বিষয় সিলেটে টিকিট নেওয়ার মতো মানুষ নাই। অথচ আমাদের উত্তরবঙ্গে ৮ টার পরপরই টিকিট খুঁজে পাওয়া যায় না। তাহলে সিলেটে এত ট্রেন দেওয়ার মানে কি! ঈদ উপলক্ষেও তো রংপুর বিভাগের জন্য ২টা ট্রেন বেশি দিতে পারত!

টিকিট বিক্রির দ্বিতীয় দিনে যাত্রীদের এ ভোগান্তির বিষয়ে জানতে চেয়ে সহজ জেভির নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ দেবনাথকে কয়েকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

তথ্য বলছে, উত্তরবঙ্গের একতা, দ্রুতযান, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস ও কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের টিকিট শেষ হতে সময় নেয় দুই ঘণ্টা।

ঢাকা থেকে রাজশাহীতে চলে চারটি আন্তনগর ট্রেন- পদ্মা, সিল্কসিটি, ধুমকেতু ও বনলতা এক্সপ্রেসের টিকিটও শেষ হয়ে সাড়ে ৯টার দিকে।

যশোর ও খুলনাগামী সুন্দরবন ও চিত্রা এক্সপ্রেসে যশোরের মাত্র ৫ সিট খালি থাকলেও খুলনার প্রায় ২০০ সিট খালি রয়েছে। অন্যদিকে বেনাপোল রুটের বেনাপোল এক্সপ্রেসে খালি রয়েছে ২৪টি সিট।

সিলেট রুটের কালনী, পারাবত, জয়ন্তিকা, উপবন এক্সপ্রেসের টিকেট এখনও পাওয়া যাচ্ছে। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম রুটের চট্টলা, সুবর্ণা, সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের টিকেটও পাওয়া যাচ্ছে।

তবে ময়মনসিংহ, জামালপুর রুটের চলাচলকারী অগ্নিবীণা, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, জামালপুর ও তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের চাহিদাও ছিল অনেক। তবে এ রুটের যাত্রীদের টিকিট কাটতে ভোগান্তি পোহাতে হয়নি। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের সময় এ রুটের ৩ হাজার টিকিটের মাঝে মাত্র ১৫টি অবিক্রীত ছিল।

অন্যদিকে ময়মনসিংহ-নেত্রকোণা রুটের মোহনগঞ্জ ও হাওর এক্সপ্রেসের দেড় হাজার টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে। চাহিদা থাকলেও এ রুটে যাত্রীদের টিকিট কাটতে ভোগান্তির কথা শোনা যায়নি। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের সময় এ রুটের অবিক্রীত টিকেট ছিল ১৯টি।

এদিকে শনিবার (৮ এপ্রিল) বিক্রি হচ্ছে ১৮ এপ্রিলের টিকিট, রোববার (৯ এপ্রিল) বিক্রি হবে ১৯ এপ্রিলের টিকিট, সোমবার (১০ এপ্রিল) ২০ এপ্রিল ও মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বিক্রি করা হবে ২১ এপ্রিলের টিকিট।

একইভাবে ঈদে ফিরতি যাত্রার টিকিট বিক্রি করা হবে ১৫ এপ্রিল থেকে। প্রথম দিন (১৫ এপ্রিল) বিক্রি হবে ২৫ এপ্রিলের টিকিট, ১৬ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ২৬ এপ্রিলের টিকিট, ১৭ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ২৭ এপ্রিলের টিকিট, ১৮ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ২৮ এপ্রিলের টিকিট, ১৯ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ২৯ এপ্রিলের টিকিট এবং ২০ এপ্রিল বিক্রি করা হবে ৩০ এপ্রিলের টিকিট।

ঈদ উপলক্ষে আন্তঃদেশীয় মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেন ১৮-২৭ এপ্রিল পর্যন্ত এবং মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন ২০-২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। তবে আন্তঃদেশীয় বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেন যথারীতি চলাচল করবে।

ঈদযাত্রা শুরুর দিন ১৭ এপ্রিল থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ঢাকাগামী একতা, দ্রুতযান, পঞ্চগড়, নীলসাগর, কুড়িগ্রাম, লালমনি ও রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশনে যাত্রা বিরতি করবে না।