Dhaka শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সার্বিয়ায় আবারও বন্দুক হামলা, নিহত অন্তত ৮

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডের দক্ষিণের শহর ম্লাদেনোভাকে এক যুবকের এলোপাতাড়ি গুলিতে ৮ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন। চলন্ত গাড়ি থেকে বন্দুকধারী একটি স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে গুলি ছুড়েছে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (৫ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বন্দুকধারী বেলগ্রেড থেকে ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে একটি গ্রামে চলন্ত গাড়ি থেকে গুলি চালায়। বর্তমানে সে এখনও পলাতক।

শুক্রবার (৫ মে) সকালে সার্বিয়ান গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিশেষ পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে (ম্লাদেনোভাক এবং দুবোনা গ্রামে) পৌঁছেছে।

সকালে সার্বিয়ার গণমাধ্যমগুলো জানায়, বৃহস্পতিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় ডুবোনার একটি পার্কে এক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে তর্ক-বিতর্কের পর ২০ বছর বয়সী এক যুবক রাইফেল নিয়ে ফিরে আসে। এরপর সেই অস্ত্র দিয়ে লোকজনকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। পরে তিনি গাড়ি থেকেও লোকজনকে গুলি করে হত্যা করে এবং আরও অনেককে আহত করে চলে যায়। বিশেষ পুলিশ বাহিনী ম্লাদেনোভাক ও ডুবোনা এলাকায় পৌঁছেছে।

ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা গেছে, বন্দুকধারীকে ধরতে পুলিশ কর্মকর্তারা চেকপয়েন্ট বসিয়ে গাড়ি তল্লাশি করছেন। একটি হেলিকপ্টার, ড্রোন এবং একাধিক পুলিশ টহলও দুবোনার আশপাশের এলাকায় সন্দেহভাজন ব্যক্তির সন্ধান করেছে।

দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড্যানিকা গ্রুজিচিচ এবং সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির প্রধান আলেকজান্ডার ভুলিন শুক্রবার ভোরে ওই এলাকা পরিদর্শন করেন।

স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুবোনার একটি পার্কে একজন পুলিশ কর্মকর্তার সাথে তর্ক করার পর ২০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন।

বন্দুকধারী একটি গাড়ি থেকে লোকেদের ওপর গুলি চালায়। এ ঘটনায় কমপক্ষে আটজন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড্যানিকা গ্রুজিসিচ ও নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান আলেকজেন্ডার ভুলিন শুক্রবার ভোরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

এর আগে গত বুধবার (৩ মে) বেলগ্রেডের একটি স্কুলে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের গুলিতে ৯ জন নিহত ও ৭ জন আহত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে এ ঘটনা ঘটলো।

সন্দেহভাজন কিশোর সপ্তম গ্রেডের শিক্ষার্থী। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সার্বিয়ায় গণহত্যার ঘটনা তুলনামূলকভাবে বিরল। সেখানে খুব কঠোর বন্দুক আইন রয়েছে। তবে দেশটির সাধারণ মানুষের হাতে বন্দুকের মালিকানা ইউরোপের মধ্যে সর্বোচ্চ। ১৯৯০-এর দশকে যুদ্ধ এবং অস্থিরতার পর থেকেই অবৈধ অস্ত্রে ঠাসা পশ্চিম বলকান। ২০১৯ সালে অনুমান করা হয়েছিল, সার্বিয়ায় প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৩৯ জনেরও বেশি লোকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। এই হার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মন্টিনিগ্রোর পরে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ। সূত্র: বিবিসি।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান সিইসির

সার্বিয়ায় আবারও বন্দুক হামলা, নিহত অন্তত ৮

প্রকাশের সময় : ১২:২৩:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ মে ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : 

সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডের দক্ষিণের শহর ম্লাদেনোভাকে এক যুবকের এলোপাতাড়ি গুলিতে ৮ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০ জন। চলন্ত গাড়ি থেকে বন্দুকধারী একটি স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে গুলি ছুড়েছে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (৫ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, বন্দুকধারী বেলগ্রেড থেকে ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণে একটি গ্রামে চলন্ত গাড়ি থেকে গুলি চালায়। বর্তমানে সে এখনও পলাতক।

শুক্রবার (৫ মে) সকালে সার্বিয়ান গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিশেষ পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে (ম্লাদেনোভাক এবং দুবোনা গ্রামে) পৌঁছেছে।

সকালে সার্বিয়ার গণমাধ্যমগুলো জানায়, বৃহস্পতিবার (৪ মে) সন্ধ্যায় ডুবোনার একটি পার্কে এক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে তর্ক-বিতর্কের পর ২০ বছর বয়সী এক যুবক রাইফেল নিয়ে ফিরে আসে। এরপর সেই অস্ত্র দিয়ে লোকজনকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করে। পরে তিনি গাড়ি থেকেও লোকজনকে গুলি করে হত্যা করে এবং আরও অনেককে আহত করে চলে যায়। বিশেষ পুলিশ বাহিনী ম্লাদেনোভাক ও ডুবোনা এলাকায় পৌঁছেছে।

ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা গেছে, বন্দুকধারীকে ধরতে পুলিশ কর্মকর্তারা চেকপয়েন্ট বসিয়ে গাড়ি তল্লাশি করছেন। একটি হেলিকপ্টার, ড্রোন এবং একাধিক পুলিশ টহলও দুবোনার আশপাশের এলাকায় সন্দেহভাজন ব্যক্তির সন্ধান করেছে।

দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড্যানিকা গ্রুজিচিচ এবং সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির প্রধান আলেকজান্ডার ভুলিন শুক্রবার ভোরে ওই এলাকা পরিদর্শন করেন।

স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুবোনার একটি পার্কে একজন পুলিশ কর্মকর্তার সাথে তর্ক করার পর ২০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করেন।

বন্দুকধারী একটি গাড়ি থেকে লোকেদের ওপর গুলি চালায়। এ ঘটনায় কমপক্ষে আটজন নিহত এবং আরও অনেকে আহত হয়েছেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড্যানিকা গ্রুজিসিচ ও নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান আলেকজেন্ডার ভুলিন শুক্রবার ভোরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

এর আগে গত বুধবার (৩ মে) বেলগ্রেডের একটি স্কুলে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরের গুলিতে ৯ জন নিহত ও ৭ জন আহত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে এ ঘটনা ঘটলো।

সন্দেহভাজন কিশোর সপ্তম গ্রেডের শিক্ষার্থী। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সার্বিয়ায় গণহত্যার ঘটনা তুলনামূলকভাবে বিরল। সেখানে খুব কঠোর বন্দুক আইন রয়েছে। তবে দেশটির সাধারণ মানুষের হাতে বন্দুকের মালিকানা ইউরোপের মধ্যে সর্বোচ্চ। ১৯৯০-এর দশকে যুদ্ধ এবং অস্থিরতার পর থেকেই অবৈধ অস্ত্রে ঠাসা পশ্চিম বলকান। ২০১৯ সালে অনুমান করা হয়েছিল, সার্বিয়ায় প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৩৯ জনেরও বেশি লোকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। এই হার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মন্টিনিগ্রোর পরে বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ। সূত্র: বিবিসি।