নিজস্ব প্রতিবেদক :
বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মৎস্য আহরণ বন্ধ রাখার বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মৎস্য আহরণ বন্ধ থাকবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব তথ্য জানান।
উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ভারতের সাথে সমন্বয় রেখেই সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। একইসাথে ৬৫ দিনের পরিবর্তে এবার ৫৮ দিন ব্যান পিরিয়ড করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মা মাছকে রক্ষা করার জন্যই এই ব্যান পিরিয়ড দেওয়া হয়। হাওরের মাছেও এমন নির্দেশনা দেওয়া হবে। এটা সব মাছের ক্ষেত্রেই হবে, দেশীয় ও ইলিশ মাছ রক্ষা করতে। প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন পর্যন্ত বাংলাদেশের নদী ও সাগরের সব জায়গায় ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে।
কিন্তু এই সময়কাল পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে সমন্বয় না থাকায় বাংলাদেশের মাছ আহরণে পার্শ্ববর্তী দেশের মৎস্যজীবীরা সুযোগ নিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাই মৎস্য আহরণকারী সংগঠন এবং মৎস্যজীবীদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে ব্যান পিরিয়ড সমন্বয় করার দাবি উত্থাপিত হয়ে আসছে।
উপদেষ্টা বলেন, তারই পরিপ্রেক্ষিতে মৎস্য অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ও অন্যান্য অংশীজন এবং মৎস্য বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়। কারিগরি কমিটি সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের স্থায়িত্বশীল আহরণ ও স্টেকহোল্ডারদের স্বার্থের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বঙ্গোপসাগরে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অধিকাংশ মাছের ব্রিডিং পিরিয়ড এপ্রিল থেকে জুন মাস হওয়ায় ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন বঙ্গোপসাগরে সব ধরনের মৎস্য আহরণ বন্ধ রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ এখন থেকে সামুদ্রিক জলসীমায় ইলিশ ও অন্যান্য মাছের আহরণের নিষিদ্ধকাল হচ্ছে ৫৮ দিন (১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন)।
একইসাথে রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকার চেষ্টা করছে বলেও জানান উপদেষ্টা। তিনি জানান, রমজান মাসে মাছ, মাংস, দুধ ও ডিমের সরবরাহ এবং মূল্য নিয়ন্ত্রণে পহেলা রমজান থেকে ২৮ রমজান পর্যন্ত রাজধানী ঢাকায় সাশ্রয়ী মূল্যে ব্রয়লার মুরগি, ডিম, পাস্তুরিত দুধ ও গরুর মাংস বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ড্রেসড ব্রয়লার মাংস প্রতি কেজি ২৫০ টাকা, পাস্তুরিত দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা, প্রতি ডজন ডিম ১১৪ টাকা এবং প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬৫০ টাকায় বিক্রি হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য উপদেষ্টা।
এছাড়া ঢাকার ২৫টি স্থানে গাড়িতে করে ন্যায্য দামে এসব পণ্য বিক্রয় করা হবে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা।