Dhaka বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সামনে স্বাধীনতা রক্ষা করার চ্যালেঞ্জ : শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) এ কে এম শামীম ওসমান বলেন, আজকে স্লোগান দেওয়ার সময় এসেছে যে বীর বাঙালি অস্ত্র ধর বাংলাদেশ রক্ষা কর। আজকে এমন একটি পরিস্থিতি এসেছে, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। আমার মনে হচ্ছে সামনে আমাদের সেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। সে ব্যাপারে আমি আপনাদের নির্দেশনা চাই।

রোববার (২০ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের ভুঁইগড়ের রূপায়ণ টাওয়ার এলাকায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন তিনি। এ সময় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

শামীম ওসমান বলেন, এ নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের সূতিকাগার। বঙ্গবন্ধু তার আত্মজীবনীতে বার বার নারায়ণগঞ্জের কথা বলেছেন। প্রতিটি আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জের মানুষ রক্ত দিয়েছে। পঁচাত্তরের পরেও নারায়ণগঞ্জের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য রক্ত দিয়েছেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে জানা গেছে, আমাদের দেশের স্বাধীনতার ওপর আবারও হস্তক্ষেপ চলছে। এই দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা মনে করি, বর্তমানে যেসব জীবিত মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন, তাঁদের নিয়ে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সম্মেলন হোক। এই সম্মেলনে তাঁরা এবং তাঁদের পরিবার যখন উপস্থিত হবে, তখন পরিবারের সদস্যরা বুঝতে পারবেন, তাঁদের বাবা কিংবা পূর্বপুরুষেরা এই দেশের জন্য কত আত্মত্যাগ করেছিলেন।

তিনি বলেন, আপনারা বীর মুক্তিযোদ্ধা, আমাদের আপনাদের যোগ্য হওয়ার সুযোগ নেই। আপনারা যেটা করেছেন, এ দেশ স্বাধীন করে দিয়েছেন। তার চেয়ে বড় কিছু তো আর করার থাকে না। তারপরেও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দেশ রক্ষার জন্য কথা বলতো হয় এটা দুর্ভাগ্যজনক। আমরা আপনাদের যোগ্য উত্তরসূরি হতে পারিনি সেজন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।

আলোচিত এই রাজনীতিক বলেন, একটা দেশ যুদ্ধ করে স্বাধীন করার পর আমরা রাজনীতিবিদেরা যত কিছুই করি না কেন, তাঁদের (মুক্তিযোদ্ধা) সমতুল্য হতে পারব না। সরকারের কাছে আমরা এই প্রস্তাব দিয়েছি এবং নারায়ণগঞ্জেও এমন একটি সম্মেলন করার চিন্তাভাবনা করছি। নারায়ণগঞ্জের যাঁরা মুক্তিযোদ্ধা আছেন, তাঁরা যেদিন বলবেন সেদিনই আমরা এই সম্মেলন করব। এমনিতে ইতিহাস পড়া আর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে ইতিহাস শোনা আরেক জিনিস।

নারায়ণগঞ্জের মাসদাইরে আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুরের বিষয়ে শামীম ওসমান বলেন, আমি এ ঘটনা বিভিন্ন পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি এবং পুলিশ সুপারকে জড়িতদের বিরুদ্ধে অতি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছি। আমার ছবি ভেঙেছে তাতে কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু আমাদের জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভেঙেছে। এই ছবিগুলো কারা ভেঙেছে কিংবা কারা এগুলোর উসকানি দিতে পারে তা সবাই জানে। জনগণ হচ্ছে রাষ্ট্রের মালিক। যদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো ব্যবস্থা নিতে না পারে, তাহলে জনগণকে নিয়ে এটি প্রতিরোধ করা আমাদের জন্য পাঁচ মিনিটের ব্যাপার।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

এইচএসসির স্থগিত পরীক্ষার নতুন সময়সূচি প্রকাশ

সামনে স্বাধীনতা রক্ষা করার চ্যালেঞ্জ : শামীম ওসমান

প্রকাশের সময় : ০৪:০৩:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩

নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : 

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) এ কে এম শামীম ওসমান বলেন, আজকে স্লোগান দেওয়ার সময় এসেছে যে বীর বাঙালি অস্ত্র ধর বাংলাদেশ রক্ষা কর। আজকে এমন একটি পরিস্থিতি এসেছে, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন। আমার মনে হচ্ছে সামনে আমাদের সেই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে। সে ব্যাপারে আমি আপনাদের নির্দেশনা চাই।

রোববার (২০ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের ভুঁইগড়ের রূপায়ণ টাওয়ার এলাকায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন তিনি। এ সময় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

শামীম ওসমান বলেন, এ নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের সূতিকাগার। বঙ্গবন্ধু তার আত্মজীবনীতে বার বার নারায়ণগঞ্জের কথা বলেছেন। প্রতিটি আন্দোলনে নারায়ণগঞ্জের মানুষ রক্ত দিয়েছে। পঁচাত্তরের পরেও নারায়ণগঞ্জের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য রক্ত দিয়েছেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যে জানা গেছে, আমাদের দেশের স্বাধীনতার ওপর আবারও হস্তক্ষেপ চলছে। এই দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা মনে করি, বর্তমানে যেসব জীবিত মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন, তাঁদের নিয়ে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সম্মেলন হোক। এই সম্মেলনে তাঁরা এবং তাঁদের পরিবার যখন উপস্থিত হবে, তখন পরিবারের সদস্যরা বুঝতে পারবেন, তাঁদের বাবা কিংবা পূর্বপুরুষেরা এই দেশের জন্য কত আত্মত্যাগ করেছিলেন।

তিনি বলেন, আপনারা বীর মুক্তিযোদ্ধা, আমাদের আপনাদের যোগ্য হওয়ার সুযোগ নেই। আপনারা যেটা করেছেন, এ দেশ স্বাধীন করে দিয়েছেন। তার চেয়ে বড় কিছু তো আর করার থাকে না। তারপরেও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দেশ রক্ষার জন্য কথা বলতো হয় এটা দুর্ভাগ্যজনক। আমরা আপনাদের যোগ্য উত্তরসূরি হতে পারিনি সেজন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।

আলোচিত এই রাজনীতিক বলেন, একটা দেশ যুদ্ধ করে স্বাধীন করার পর আমরা রাজনীতিবিদেরা যত কিছুই করি না কেন, তাঁদের (মুক্তিযোদ্ধা) সমতুল্য হতে পারব না। সরকারের কাছে আমরা এই প্রস্তাব দিয়েছি এবং নারায়ণগঞ্জেও এমন একটি সম্মেলন করার চিন্তাভাবনা করছি। নারায়ণগঞ্জের যাঁরা মুক্তিযোদ্ধা আছেন, তাঁরা যেদিন বলবেন সেদিনই আমরা এই সম্মেলন করব। এমনিতে ইতিহাস পড়া আর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে ইতিহাস শোনা আরেক জিনিস।

নারায়ণগঞ্জের মাসদাইরে আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুরের বিষয়ে শামীম ওসমান বলেন, আমি এ ঘটনা বিভিন্ন পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি এবং পুলিশ সুপারকে জড়িতদের বিরুদ্ধে অতি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছি। আমার ছবি ভেঙেছে তাতে কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু আমাদের জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভেঙেছে। এই ছবিগুলো কারা ভেঙেছে কিংবা কারা এগুলোর উসকানি দিতে পারে তা সবাই জানে। জনগণ হচ্ছে রাষ্ট্রের মালিক। যদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো ব্যবস্থা নিতে না পারে, তাহলে জনগণকে নিয়ে এটি প্রতিরোধ করা আমাদের জন্য পাঁচ মিনিটের ব্যাপার।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।