সাভার প্রতিনিধি :
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে এসে পৌঁছেছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে তার মরদেহ পৌঁছে। শুক্রবার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সূচনা ভবনের পাশে তাকে দাফন করা হবে।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ আগামী শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে সকাল ১০টা থেকে জনসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এরপর জুমার নামাজ শেষে পিএইচএ মাঠে আরেকটি জানাজা শেষে তাকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সূচনা ভবনের পাশে দাফন করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সিইও ডা. মঞ্জুর কাদির।
মরদেহ সাভারে পৌঁছালেও আজ রাতে আর কোনো আনুষ্ঠানিকতা নেই বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বিকাল ৪টায় ঢাকার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চতুর্থ জানাজা শেষে সাভারের উদ্দেশে রওনা দেয় জাফরুল্লাহ চৌধুরীর লাশবাহী গাড়ি।
দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত সমস্যার কারণে চিকিৎসাধীন ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। পরে মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাত ১০টা ৪০ মিনিটে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ৮১ বছর বয়সে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্ম ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর, চট্টগ্রামের রাউজানে। সে হিসেবে ৮১ বছর ৩ মাস ১৫ দিন বয়সে ইন্তেকাল করছেন দেশের খ্যাতনামা এই জনস্বাস্থ্যবিদ। মুক্তিযুদ্ধের সময় অক্সফোর্ড থেকে নিজের পড়াশোনা শেষ করে ভারতে এসে স্থাপন করেন বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল। স্বাধীনতার পর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে জনগণকে কম মূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার কাজ করেন।
১৯৮২ সালে জাতীয় ওষুধ নীতি প্রণয়নে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। বিগত কয়েক বছর ধরে সক্রিয় রয়েছেন রাজনৈতিকভাবেও। যদিও এ বছর রাজনৈতিকভাবে খানিকটা নিষ্ক্রিয় ছিলেন। মৃত্যুকালে জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্ত্রী শিরিন হক, কন্যা বৃষ্টি আন্না চৌধুরী, ছেলে বারিশ হাসান চৌধুরীসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য অনুরাগী ও ভক্ত রেখে গেছেন।