স্পোর্টস ডেস্ক :
বিপিএলে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রাম কিংসের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল ঢাকা ক্যাপিটালস। এবারের আসরে প্রথম চার ম্যাচে হারের পর পঞ্চম ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে বড় সংগ্রহই পেয়েছিল শাকিব খানের দল। সাব্বির রহমানের ৩৩ বলে ৮২ রানের ইনিংসের সুবাদেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল ঢাকা। তবে উসমান খানের ৩৩ বলে ৫৫ রানের পর শেষদিকে শামিম হোসেনের ১৪ বলে ৩০ রানের ক্যামিও ইনিংসের সুবাদে ৩ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেছে চট্টগ্রাম।
১৭৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে চিটাগংকে দারুণ শুরু এনে দেন দুই ওপেনার পারভেজ হোসের ইমন ও উসমান খান। পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে করেন ৫৫ রানের জুটি। তবে সপ্তম ওভারের প্রথম বলেই ব্যাক্তিগত ১৭ রান করে আউট হন ইমন । আরেক ওপেনার উসমান খান ফেরেন পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের বলে। সাজঘরে ফেরার আগে খেলেন ৩৩ বলে ৫৫ রানের দূর্দান্ত ইনিংস।
এরপর শেষে এসে শামীম হোসেন পাটোয়ারি ও মোহাম্মদ মিথুন দ্বায়িত্ব নিয়ে খেলেন। দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। শামীম ১৪ বলে ৩০ ও মিথুন ২২ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। দ্বিতীয় ওভারে আলিস আল ইসলামের বলে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন ওপেনার জেসন রয়। স্টিফেন এসকিনেজি (৫) ও শাহাদাৎ হোসেন দিপুও (৯) বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দুজনেই ফেরেন খালেদ আহমেদের শিকার হয়ে।
চাপের মুখে চতুর্থ উইকেটে তানজিদ হাসান ও সাব্বির মিলে গড়েন ৬৩ রানের জুটি। তানজিদ একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকলেও উইকেটে এসেই ছক্কাবৃষ্টি চলে সাব্বিরের। দুজনেই পান ফিফটির দেখা। তবে ৪৮ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৫৪ রান করা তানজিদকে তুলে নিয়ে এই জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ ওয়াসিম।
সাব্বির তার তাণ্ডব চালিয়ে যান ইনিংসের শেষ পর্যন্ত। ৩৩ বলে ৩ চার ও ৯ ছক্কায় ৮২ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। বিপিএলে এর আগেও এক ইনিংসে ৯ ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ৯ বছর আগের সেই ম্যাচে বরিশাল বুলসের বিপক্ষে রাজশাহী কিংসের হয়ে খেলেন ১২২ রানের ইনিংস। যা তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে একমাত্র সেঞ্চুরি।
এদিকে চিটাগাংয়ের হয়ে ৪ ওভারে কেবল ২১ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন খালেদ।