Dhaka মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাবেক সেনাপ্রধান বীর উত্তম কে এম সফিউল্লাহ মারা গেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) কে এম সফিউল্লাহ আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকাল পৌনে ৯টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। বিষয়টি তার ব্যক্তিগত সহকারী জিয়াউর রহমান মনি জানিয়েছেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিউল্লাহ দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। তিনি ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, থাইরয়েডে জটিলতা, ফ্যাটি লিভার, ডিমেনশিয়াসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন।

বাদ জোহর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সফিউল্লাহর প্রথম জানাজা এবং বাদ আসর সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

কে এম সফিউল্লাহ ১৯৩৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৭১ সালে তিনি ছিলেন জয়দেবপুরে দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের দ্বিতীয় প্রধান। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে সফিউল্লাহ ছিলেন ৩ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার। পরে তিনটি নিয়মিত আর্মি ব্রিগেড (ফোর্স নামে পরিচিত) গঠিত হলে ‘এস’ ফোর্সের নেতৃত্বে আসেন সফিউল্লাহ। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ‘বীর উত্তম’ খেতাব পান।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের ২৪ আগস্ট পর্যন্ত সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন সফিউল্লাহ।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে যখন একদল সেনাসদস্য হত্যা করে, তখন সেনাপ্রধানের দায়িত্বে ছিলেন সফিউল্লাহ।

পরে খন্দকার মোশতাক আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত সরকারের প্রতি আনুগত্যও প্রকাশ করেন তিনি। যদিও কয়েক দিন পরই তাকে সেনাপ্রধানের পদ হারাতে হয়।

সফিউল্লাহ অবশ্য পরে দাবি করেন, তিনিসহ ওই সময়কার বিমানবাহিনী প্রধান ও নৌবাহিনী প্রধানকে ‘বাধ্য হয়ে’ মোশতাক সরকারের প্রতি সমর্থন দিতে হয়েছিল।

১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ১৬ বছর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছেন সফিউল্লাহ।

তিনি ১৯৯৫ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে দলটির মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দে চলাচলে অনুপযোগী, দুর্ভোগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

সাবেক সেনাপ্রধান বীর উত্তম কে এম সফিউল্লাহ মারা গেছেন

প্রকাশের সময় : ১২:১৮:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) কে এম সফিউল্লাহ আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।

রোববার (২৬ জানুয়ারি) সকাল পৌনে ৯টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। বিষয়টি তার ব্যক্তিগত সহকারী জিয়াউর রহমান মনি জানিয়েছেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিউল্লাহ দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। তিনি ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, থাইরয়েডে জটিলতা, ফ্যাটি লিভার, ডিমেনশিয়াসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছিলেন।

বাদ জোহর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সফিউল্লাহর প্রথম জানাজা এবং বাদ আসর সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

কে এম সফিউল্লাহ ১৯৩৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৭১ সালে তিনি ছিলেন জয়দেবপুরে দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের দ্বিতীয় প্রধান। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে সফিউল্লাহ ছিলেন ৩ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার। পরে তিনটি নিয়মিত আর্মি ব্রিগেড (ফোর্স নামে পরিচিত) গঠিত হলে ‘এস’ ফোর্সের নেতৃত্বে আসেন সফিউল্লাহ। মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি ‘বীর উত্তম’ খেতাব পান।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের ২৪ আগস্ট পর্যন্ত সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন সফিউল্লাহ।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যকে যখন একদল সেনাসদস্য হত্যা করে, তখন সেনাপ্রধানের দায়িত্বে ছিলেন সফিউল্লাহ।

পরে খন্দকার মোশতাক আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত সরকারের প্রতি আনুগত্যও প্রকাশ করেন তিনি। যদিও কয়েক দিন পরই তাকে সেনাপ্রধানের পদ হারাতে হয়।

সফিউল্লাহ অবশ্য পরে দাবি করেন, তিনিসহ ওই সময়কার বিমানবাহিনী প্রধান ও নৌবাহিনী প্রধানকে ‘বাধ্য হয়ে’ মোশতাক সরকারের প্রতি সমর্থন দিতে হয়েছিল।

১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ১৬ বছর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত হিসেবে কাজ করেছেন সফিউল্লাহ।

তিনি ১৯৯৫ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে দলটির মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।