নিজস্ব প্রতিবেদক :
যাত্রাবাড়ী থানার এক মামলায় সাবেক রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. ছালেহ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় আসামি হিসেবে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
নূরুল ইসলাম সুজন ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথম অংশগ্রহণ করেন। তখন তিনি পরাজিত হন। সে সময় পঞ্চগড়-২ আসনে নির্বাচিত হন বিএনপির প্রার্থী মোজাহার হোসেন।
২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন নূরুল ইসলাম সুজন। এরপর ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাসদের প্রার্থী এমরান আল আমিনকে পরাজিত করে দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নতুন সরকারের রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।
নূরুল ইসলাম সুজনের জন্ম ১৯৫৬ সালে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ময়দানদিঘিতে। তিনি আইনের ছাত্র ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় ডাকসুর বিজ্ঞান মিলনায়তন বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন তিনি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ছিলেন।
এছাড়া তিনি সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলারও একজন আইনজীবী ছিলেন সাবেক এই মন্ত্রী।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। এই আন্দোলনে গুলি করে শত শত মানুষ হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করা হয় দলটির নেতা, সরকারের মন্ত্রী ও উপদেষ্টাদের। ইতোমধ্যে দলটির নেতাদের বিরুদ্ধে কয়েকশ মামলা হয়েছে, যার বেশির ভাগই হত্যা মামলা।
ক্ষমতা হারানোর পর শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে চলে যান। দলের নেতাদের কেউ কেউ বিদেশে পালিয়ে যান। আর যারা দেশে রয়েছেন তারাও গা ঢাকা দেন। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী মন্ত্রী-উপদেষ্টা ও বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের দফায় দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।