Dhaka শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাবেক এমপি শাহীন চাকলাদারের ৪ বছরের কারাদণ্ড

যশোর জেলা প্রতিনিধি : 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন যশোরের বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) স্পেশাল জেলা ও দায়রা জজ এসএম নুরুল ইসলামের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

একইসাথে শাহীন চাকলাদারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৩৮ লাখ তিন হাজার ৬৮৫ টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী আব্দুল কাদির।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩০ মার্চ শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ মামলা করেন। অভিযোগ ছিল যে তিনি ৩৮ লাখ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন। দুদকের তদন্তে প্রমাণিত হয় যে তার ট্যাক্স ফাইলে দেখানো সম্পদের পরিমাণ এবং দাখিল করা বিবরণীর মধ্যে অসামঞ্জস্য রয়েছে।

শাহীন চাকলাদার তার সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ করেছিলেন যে তার মোট সম্পদ এক কোটি ৯৬ লাখ ২১ হাজার ৪০০ টাকা, যার মধ্যে এক কোটি এক লাখ ৯১ হাজার ৫১৫ টাকা দেনা। কিন্তু দুদকের তদন্তে উঠে আসে, তার প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ ৫৬ লাখ ২৬ হাজার ২০০ টাকা। এর বাইরে ৩৮ লাখ তিন হাজার ৬৮৫ টাকার সম্পদ গোপন করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি তদন্ত শেষে দুদক তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। রায়ের দিন শাহীন চাকলাদার আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করে আদালত। তখন আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী আব্দুল কাদির।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

পাঁচ মামলায় চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর

সাবেক এমপি শাহীন চাকলাদারের ৪ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৪:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

যশোর জেলা প্রতিনিধি : 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন যশোরের বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) স্পেশাল জেলা ও দায়রা জজ এসএম নুরুল ইসলামের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

একইসাথে শাহীন চাকলাদারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৩৮ লাখ তিন হাজার ৬৮৫ টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী আব্দুল কাদির।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩০ মার্চ শাহীন চাকলাদারের বিরুদ্ধে দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ মামলা করেন। অভিযোগ ছিল যে তিনি ৩৮ লাখ টাকার সম্পদ গোপন করেছেন। দুদকের তদন্তে প্রমাণিত হয় যে তার ট্যাক্স ফাইলে দেখানো সম্পদের পরিমাণ এবং দাখিল করা বিবরণীর মধ্যে অসামঞ্জস্য রয়েছে।

শাহীন চাকলাদার তার সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ করেছিলেন যে তার মোট সম্পদ এক কোটি ৯৬ লাখ ২১ হাজার ৪০০ টাকা, যার মধ্যে এক কোটি এক লাখ ৯১ হাজার ৫১৫ টাকা দেনা। কিন্তু দুদকের তদন্তে উঠে আসে, তার প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ ৫৬ লাখ ২৬ হাজার ২০০ টাকা। এর বাইরে ৩৮ লাখ তিন হাজার ৬৮৫ টাকার সম্পদ গোপন করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।

২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি তদন্ত শেষে দুদক তার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। রায়ের দিন শাহীন চাকলাদার আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করে আদালত। তখন আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী আব্দুল কাদির।