Dhaka বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাবালেঙ্কার স্বপ্নভঙ্গ করে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের নতুন রানী ম্যাডিসন

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৮:০৩:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
  • ২১৮ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

দুই নম্বর বাছাই ইগা সিওটেককে হারিয়ে ফাইনালে উঠলেও আন্ডারডগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছিলেন আমেরিকান টেনিস তারকা ম্যাডিসন কিস। কারণ তার প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সর্বশেষ দুই আসরেরই চ্যাম্পিয়ন আরিয়ানা সাবালেঙ্কা। তবে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে তাকে হারিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যাম জিতেছেন কিস। চতুর্থ বয়োজ্যেষ্ঠ তারকা হিসেবে ২৯ বছর বয়সী কিস প্রথমবার টেনিসের মুকুট জিতলেন।

সাত বছরেরও বেশি সময়ের ব্যবধানে দুটি মেজর ফাইনাল খেললেন ম্যাডিসন। ফাইনালে এদিন ৬-৩, ২-৬, ৭-৫ গেমে হারিয়েছেন বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় সাবালেঙ্কাকে। ২৯ বছর বয়সে জেতা এটি ম্যাডিসনের প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যাম শিরোপা। বয়সের হিসেবে তিনি চতুর্থতম বয়স্ক মহিলা যিনি তার প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যাম জিতলেন।

মেলবোর্নে ১৯তম বাছাই ম্যাডিসন শিরোপা জিতে আবেগঘন হয়ে পড়েন, ‘আমি এতদিন ধরে এটা চেয়েছিলাম। কখনও জানতাম না যে আমি আবার এই অবস্থানে থাকব। এদিকে বেলারুশের ২৫ বছর বয়সি সাবালেঙ্কা মৌসুমের প্রথম আসরে টানা তৃতীয় শিরোপা জয়ের জন্য কোর্টে নেমেছিলেন। তবে তাকে শিরোপা জিততে দেননি আন্ডারডগ ম্যাডিসন।

ম্যাচ শেষে সাবালেঙ্কা দর্শকদের উদ্দেশে বলেন, আমার দলকে কি কিছু বলা উচিত? সবসময়ের মতো, এটা তোমাদের দোষ বন্ধুরা।’ সাবালেঙ্কার এই কথার পর দর্শকদের মধ্যে হাসির রোল পড়ে। একটু পরে ফের মজা করে বেলারুশ কন্যা বলেন, ‘আমি আগামী সপ্তাহে তোমাদের দেখতে চাই না। আমি সত্যিই তোমাদের ঘৃণা করি। না, যাই হোক, তোমরা আমার জন্য যা করছো তার জন্য তোমাদের অনেক ধন্যবাদ, ব্লা ব্লা ব্লা।

ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে সাবালেঙ্কার ভাষ্য, আমরা আমাদের সেরাটা দিয়েছি, তবে ম্যাডিসন অসাধারণ খেলছিল এবং আমি এই ম্যাচে কিছুই করতে পারিনি। পরেরবার যখন আমি ম্যাডিসনের বিপক্ষে খেলব তখন আমি আরও ভালো টেনিস নিয়ে আসব। অবশ্যই, আমার দলকে ভালোবাসা জানাচ্ছি। হেরে গেলেও আমি তোমাদের ভালোবাসি।

বেলারুশ কিংবদন্তি সাবালেঙ্কা ২৫ বছর বয়সে চতুর্থ গ্র্যান্ডস্ল্যাম জেতার কাছাকাছি ছিলেন। এবার জিতলে হ্যাটট্রিক করতে পারতেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে, আরেকটি একক টাইটেল জিতেছেন ইউএস ওপেনে। তার জন্য আজকের দিনটি আপসেটেরই ছিল। ম্যাচ হেরেই হতাশায় তোয়ালে দিয়ে মুখ ঢেকে লকার রুমে চলে যান নারী টেনিসের শীর্ষ এই তারকা। পরবর্তীতে সাবালেঙ্কা যখন আবার পুরস্কার বিতরণীতে অংশ নিতে রড লেভার অ্যারেনায় ঢুকেন ১৫ হাজার দর্শক তাকে দাঁড়িয়ে অভ্যর্থনা জানান।

অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের এই নারী এককের ফাইনাল হয়েছে ২ ঘণ্টা ২ মিনিটের। ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার গ্র্যান্ডস্ল্যাম আসরের ফাইনালে ওঠা বয়সী কিস প্রথম সেটটি জিতেন ৬-৩ গেমে। দ্বিতীয় সেটে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ান টানা দুবারের চ্যাম্পিয়ন সাবালেঙ্কা। কিসকে ৬-২ গেমে গুঁড়িয়ে দিয়ে হ্যাটট্রিকের স্বপ্নও হয়তো দেখতে শুরু করেছিলেন। তবে তৃতীয় সেটে ছিল রোমাঞ্চের অপেক্ষা। যেখানে শেষ হাসিটা কিসই হাসলেন। শেষ সেটটা তিনি জিতলেন ৭-৫ গেমে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যাম জিতে আমেরিকান তারকা আনন্দে মুখ ঢেকে বসে পড়েন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সাবালেঙ্কার স্বপ্নভঙ্গ করে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের নতুন রানী ম্যাডিসন

প্রকাশের সময় : ০৮:০৩:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

স্পোর্টস ডেস্ক : 

দুই নম্বর বাছাই ইগা সিওটেককে হারিয়ে ফাইনালে উঠলেও আন্ডারডগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছিলেন আমেরিকান টেনিস তারকা ম্যাডিসন কিস। কারণ তার প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সর্বশেষ দুই আসরেরই চ্যাম্পিয়ন আরিয়ানা সাবালেঙ্কা। তবে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে তাকে হারিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যাম জিতেছেন কিস। চতুর্থ বয়োজ্যেষ্ঠ তারকা হিসেবে ২৯ বছর বয়সী কিস প্রথমবার টেনিসের মুকুট জিতলেন।

সাত বছরেরও বেশি সময়ের ব্যবধানে দুটি মেজর ফাইনাল খেললেন ম্যাডিসন। ফাইনালে এদিন ৬-৩, ২-৬, ৭-৫ গেমে হারিয়েছেন বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় সাবালেঙ্কাকে। ২৯ বছর বয়সে জেতা এটি ম্যাডিসনের প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যাম শিরোপা। বয়সের হিসেবে তিনি চতুর্থতম বয়স্ক মহিলা যিনি তার প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যাম জিতলেন।

মেলবোর্নে ১৯তম বাছাই ম্যাডিসন শিরোপা জিতে আবেগঘন হয়ে পড়েন, ‘আমি এতদিন ধরে এটা চেয়েছিলাম। কখনও জানতাম না যে আমি আবার এই অবস্থানে থাকব। এদিকে বেলারুশের ২৫ বছর বয়সি সাবালেঙ্কা মৌসুমের প্রথম আসরে টানা তৃতীয় শিরোপা জয়ের জন্য কোর্টে নেমেছিলেন। তবে তাকে শিরোপা জিততে দেননি আন্ডারডগ ম্যাডিসন।

ম্যাচ শেষে সাবালেঙ্কা দর্শকদের উদ্দেশে বলেন, আমার দলকে কি কিছু বলা উচিত? সবসময়ের মতো, এটা তোমাদের দোষ বন্ধুরা।’ সাবালেঙ্কার এই কথার পর দর্শকদের মধ্যে হাসির রোল পড়ে। একটু পরে ফের মজা করে বেলারুশ কন্যা বলেন, ‘আমি আগামী সপ্তাহে তোমাদের দেখতে চাই না। আমি সত্যিই তোমাদের ঘৃণা করি। না, যাই হোক, তোমরা আমার জন্য যা করছো তার জন্য তোমাদের অনেক ধন্যবাদ, ব্লা ব্লা ব্লা।

ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে সাবালেঙ্কার ভাষ্য, আমরা আমাদের সেরাটা দিয়েছি, তবে ম্যাডিসন অসাধারণ খেলছিল এবং আমি এই ম্যাচে কিছুই করতে পারিনি। পরেরবার যখন আমি ম্যাডিসনের বিপক্ষে খেলব তখন আমি আরও ভালো টেনিস নিয়ে আসব। অবশ্যই, আমার দলকে ভালোবাসা জানাচ্ছি। হেরে গেলেও আমি তোমাদের ভালোবাসি।

বেলারুশ কিংবদন্তি সাবালেঙ্কা ২৫ বছর বয়সে চতুর্থ গ্র্যান্ডস্ল্যাম জেতার কাছাকাছি ছিলেন। এবার জিতলে হ্যাটট্রিক করতে পারতেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে, আরেকটি একক টাইটেল জিতেছেন ইউএস ওপেনে। তার জন্য আজকের দিনটি আপসেটেরই ছিল। ম্যাচ হেরেই হতাশায় তোয়ালে দিয়ে মুখ ঢেকে লকার রুমে চলে যান নারী টেনিসের শীর্ষ এই তারকা। পরবর্তীতে সাবালেঙ্কা যখন আবার পুরস্কার বিতরণীতে অংশ নিতে রড লেভার অ্যারেনায় ঢুকেন ১৫ হাজার দর্শক তাকে দাঁড়িয়ে অভ্যর্থনা জানান।

অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের এই নারী এককের ফাইনাল হয়েছে ২ ঘণ্টা ২ মিনিটের। ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বার গ্র্যান্ডস্ল্যাম আসরের ফাইনালে ওঠা বয়সী কিস প্রথম সেটটি জিতেন ৬-৩ গেমে। দ্বিতীয় সেটে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ান টানা দুবারের চ্যাম্পিয়ন সাবালেঙ্কা। কিসকে ৬-২ গেমে গুঁড়িয়ে দিয়ে হ্যাটট্রিকের স্বপ্নও হয়তো দেখতে শুরু করেছিলেন। তবে তৃতীয় সেটে ছিল রোমাঞ্চের অপেক্ষা। যেখানে শেষ হাসিটা কিসই হাসলেন। শেষ সেটটা তিনি জিতলেন ৭-৫ গেমে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যাম জিতে আমেরিকান তারকা আনন্দে মুখ ঢেকে বসে পড়েন।