Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বই মেলায় দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশের সময় : ০৭:১৬:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ১৮৮ জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেখতে দেখতে অর্ধেকটা পথ পেরিয়ে গেল বাঙালির প্রাণের বইমেলার। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি এই সময়ে পুরো মেলা যেন এখন মধ্যগগনে, জমে উঠেছে পুরোদমে। শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী পাঠক ও দর্শনার্থীর পদচারণায় বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এখন জমজমাট। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় মেলায় দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। কেউ বই কিনছেন, কেউ দেখছেন, কেউ ছবি তুলছেন। আবার কেউবা মেলায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ফাল্গুনের দিনে অমর একুশে বইমেলা প্রাঙ্গণ হয়ে ওঠে লোকে লোকারণ্য। সকালে শিশুদের, আর বাকি সময় অন্যদের। কোথাও যেন ছিল না তিল ধারণের ঠাঁই। এদিন বইমেলায় আসা তারুণ্যের উচ্ছ্বাসও ছিল বাঁধভাঙা।

শুধু সাপ্তাহিক ছুটির দিনই নয়, কর্মদিবস হিসেবে পরিচিত সপ্তাহের অন্য দিনগুলোতেও মেলায় মানুষের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি চোখে পড়ছে। বেড়েছে বইয়ের বিক্রিও। পাঠক পেয়ে হাসি ফুটেছে বইয়ের পসরা সাজিয়ে বসা প্রকাশকদের মুখেও। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী বইয়ের যোগান দিতে কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন স্টলগুলোতে কর্মরত বিক্রয় কর্মীরা।

শুক্রবার বেলা ১১টায় মেলার দুয়ার খোলার আগেই টিএসসি ও দোয়েল চত্বর মোড় থেকে জনস্রোত চলছিল গ্রন্থমেলা চত্বরে। সারি ধরতে হলো এদিন। তবে তাতে ভাটা পড়েনি উৎসাহে।

রাজশাহী থেকে মা কাজল দাস এসেছিলেন মেয়ে জয়ীকে নিয়ে। কথা প্রসঙ্গে মেয়ে জানালেন, মা খুব পড়ুয়া। অবসরের পুরোটাই তার কাটে নানা ধরনের বই পড়ে। মায়ের জন্য তাই হরিশংকর জলদাস, সেলিনা হোসেনের নতুন বইগুলো খুঁজে বেড়ালেন তিনি।

ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সানজিদা হোসেনরা এসেছিলেন দলবেঁধে। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণের রচনা সমগ্র কিনতে কিনতে সানজিদা বলেন, ‘ক্লাসের ফাঁকে মেলায় আসার ফুরসত পাই না। তারপর সেমিনার, অ্যাসাইনমেন্ট তো আছেই। আজ যা একটু বের হতে পেরেছি। আজ বন্ধুরা দলবেঁধে মেলায় চলে এলাম। ’

শুভ্র, অনিক ও বাঁধন এসেছেন গাজীপুর থেকে। নতুন আসা বইগুলোর দিকেই তাদের ঝোঁক। তরুণদের দলটি খুঁজছিলেন তরুণদের কথাসাহিত্য, কবিতা ও অনুবাদ।

আসিফুর রহমান ও প্রেমার বহুদিনের প্রেম গড়াতে চলেছে বিয়েতে। সাদ্দামের পছন্দ গোয়েন্দা-থ্রিলার আর অনুবাদের বই। অন্যদিকে প্রেমার ভালো লাগে হুমায়ূন আহমেদের গল্প-উপন্যাস। খিলগাঁও থেকে আসা অনিক-আয়েশা দম্পতি জানালেন, প্রতিবছর বইমেলায় আসেন তারা। এবার কবিতাসমগ্রের পাশাপাশি কিনেছেন প্রবন্ধের বইও।

অন্যপ্রকাশের স্বত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলাম বলেন, ছুটির দিন এলে মেলা পূর্ণাঙ্গ রূপ পায় যেন। দেখতে দেখতে মেলার অর্ধেকটা সময় কেটে গেল। এখন প্রকাশনীগুলো তাদের ভালো ভালো বইগুলো মেলায় নিয়ে আসবে।

বাংলাদেশের সম্প্রচারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমগুলো সবচেয়ে জনপ্রিয় সময় মিডিয়া লিমিটেড। বইমেলায়ও বসেছে সময়ের প্যাভিলিয়ন, যেখান থেকে প্রতিদিনই পরিচালিত হচ্ছে বইমেলা কেন্দ্রিক শো।

সময়ের প্যাভিলিয়নে এসে ছবি তোলা মাদরাসা শিক্ষার্থী আনোয়ার হোসেন বলেন, সময় টেলিভিশন দেখেন না এমন কোনো মানুষ বাংলাদেশে রয়েছে কিনা জানা নেই। বইমেলায় এসে যখন দেখি সময়ের প্যাভিলিয়ন তখন আর ছবি না তুলে পারলাম না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিবির ইসলাম বলেন, বইমেলায় সময়ের ভিন্ন ধর্মী কিছু আয়োজন রয়েছে যা দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করে। আমি নিজেও সময়ের কুইজ নামের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি। বইমেলায় সময়ের প্যাভিলিয়ন অন্য মিডিয়ার থেকে ভিন্ন, তাই এখানে এসে ছবি তুললাম।

বিকেলে মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবস্থিত আগামী প্রকাশনীর প্যাভিলিয়নে ক্যাশবাক্সের সামনে বসে ব্যস্ত সময় পার করছিলেন সংস্থার হিসাবরক্ষণ ব্যবস্থাপক মোল্লা মোস্তাফিজুর রহমান। জানালেন এবারের মেলায় তাদের শতাধিক বই প্রকাশিত হচ্ছে। বেশিরভাগ বই এরমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। বাকি বইও আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই মেলায় পাওয়া যাবে।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গল্প, উপন্যাস, অনুবাদ থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের এবং সব শ্রেণির পাঠকদের কথা মাথায় রেখেই এবারের মেলায় বই এনেছে তাদের প্রকাশনী। গত মেলা থেকে এ বছর এখন পর্যন্ত বেচাকেনা সন্তোষজনক। ১৫ দিন পর্যন্ত প্যাভিলিয়নে বই বিক্রির যে গতি, তা অব্যাহত থাকলে আগের বছরকে ছাড়িয়ে যাবে।

এবারের মেলায় বেচাকেনা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেন ঐতিহ্য’র প্যাভিলিয়নের ব্যবস্থাপক আমজাদ হোসেন কাজল। জানালেন, মেলা উপলক্ষে তাদের প্রকাশনী থেকে প্রকাশ হয়েছে ২৩০টির মতো বই। গল্প, উপন্যাস, কবিতা, শিশু সাহিত্য, অনুবাদ থেকে শুরু করে সব শ্রেণির বই তারা প্রকাশ করেছেন। পাঠকদের সাড়াও বেশ ভালোই পাচ্ছেন। বই বিক্রির পরিমাণও আগের বছর থেকে অনেকটাই বেশি।
২১ ফেব্রুয়ারির আগে পরে এবং মেলার শেষ সপ্তাহে বেচাকেনা আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন কাজল।

অনন্যা’র প্যাভিলিয়নে কথা হয় বিক্রয় কর্মী মিজানুর রহমানের সঙ্গে। জানালেন গত বছর থেকে এবারের মেলায় পাঠকদের আনাগোনা ও বিক্রির পরিমাণ বেশি। মেলায় তাদের প্রকাশনী ১২০টি নতুন বই প্রকাশ করেছে। বইগুলো ঘিরে পাঠকদের সাড়াও যথেষ্ট। এমন ধারা অব্যাহত থাকলে এ বছর বই বিক্রির পরিমাণ আগের বছরগুলোকে ছাড়িয়ে যাবে।

বাংলা একাডেমির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত বছর মেলায় বই বিক্রির পরিমাণ তার আগের বছরের থেকেও কম হয়েছিল। ২০২২ সালে যেখানে বই বিক্রি হয়েছিল ৫২ কোটি টাকার, সেখানে ২০২৩ সালে বিক্রি হয় ৪৭ কোটি টাকার। আর করোনার সময় ২০২১ সালে বিক্রি নেমে এসেছিল মাত্র ৩ কোটি ১১ লাখ টাকায়। তবে করোনার ঠিক আগের বছর ২০২০ সালে মেলায় বিক্রি হয়েছিল ৮২ কোটি টাকার বই।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সংযোগ সড়ক না থাকায় ব্রিজের সুফল পাচ্ছে না সাত গ্রামের মানুষ

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বই মেলায় দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়

প্রকাশের সময় : ০৭:১৬:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

দেখতে দেখতে অর্ধেকটা পথ পেরিয়ে গেল বাঙালির প্রাণের বইমেলার। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি এই সময়ে পুরো মেলা যেন এখন মধ্যগগনে, জমে উঠেছে পুরোদমে। শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী পাঠক ও দর্শনার্থীর পদচারণায় বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এখন জমজমাট। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় মেলায় দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। কেউ বই কিনছেন, কেউ দেখছেন, কেউ ছবি তুলছেন। আবার কেউবা মেলায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ফাল্গুনের দিনে অমর একুশে বইমেলা প্রাঙ্গণ হয়ে ওঠে লোকে লোকারণ্য। সকালে শিশুদের, আর বাকি সময় অন্যদের। কোথাও যেন ছিল না তিল ধারণের ঠাঁই। এদিন বইমেলায় আসা তারুণ্যের উচ্ছ্বাসও ছিল বাঁধভাঙা।

শুধু সাপ্তাহিক ছুটির দিনই নয়, কর্মদিবস হিসেবে পরিচিত সপ্তাহের অন্য দিনগুলোতেও মেলায় মানুষের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি চোখে পড়ছে। বেড়েছে বইয়ের বিক্রিও। পাঠক পেয়ে হাসি ফুটেছে বইয়ের পসরা সাজিয়ে বসা প্রকাশকদের মুখেও। ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী বইয়ের যোগান দিতে কর্মব্যস্ত সময় পার করছেন স্টলগুলোতে কর্মরত বিক্রয় কর্মীরা।

শুক্রবার বেলা ১১টায় মেলার দুয়ার খোলার আগেই টিএসসি ও দোয়েল চত্বর মোড় থেকে জনস্রোত চলছিল গ্রন্থমেলা চত্বরে। সারি ধরতে হলো এদিন। তবে তাতে ভাটা পড়েনি উৎসাহে।

রাজশাহী থেকে মা কাজল দাস এসেছিলেন মেয়ে জয়ীকে নিয়ে। কথা প্রসঙ্গে মেয়ে জানালেন, মা খুব পড়ুয়া। অবসরের পুরোটাই তার কাটে নানা ধরনের বই পড়ে। মায়ের জন্য তাই হরিশংকর জলদাস, সেলিনা হোসেনের নতুন বইগুলো খুঁজে বেড়ালেন তিনি।

ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সানজিদা হোসেনরা এসেছিলেন দলবেঁধে। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, বিভূতিভূষণের রচনা সমগ্র কিনতে কিনতে সানজিদা বলেন, ‘ক্লাসের ফাঁকে মেলায় আসার ফুরসত পাই না। তারপর সেমিনার, অ্যাসাইনমেন্ট তো আছেই। আজ যা একটু বের হতে পেরেছি। আজ বন্ধুরা দলবেঁধে মেলায় চলে এলাম। ’

শুভ্র, অনিক ও বাঁধন এসেছেন গাজীপুর থেকে। নতুন আসা বইগুলোর দিকেই তাদের ঝোঁক। তরুণদের দলটি খুঁজছিলেন তরুণদের কথাসাহিত্য, কবিতা ও অনুবাদ।

আসিফুর রহমান ও প্রেমার বহুদিনের প্রেম গড়াতে চলেছে বিয়েতে। সাদ্দামের পছন্দ গোয়েন্দা-থ্রিলার আর অনুবাদের বই। অন্যদিকে প্রেমার ভালো লাগে হুমায়ূন আহমেদের গল্প-উপন্যাস। খিলগাঁও থেকে আসা অনিক-আয়েশা দম্পতি জানালেন, প্রতিবছর বইমেলায় আসেন তারা। এবার কবিতাসমগ্রের পাশাপাশি কিনেছেন প্রবন্ধের বইও।

অন্যপ্রকাশের স্বত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলাম বলেন, ছুটির দিন এলে মেলা পূর্ণাঙ্গ রূপ পায় যেন। দেখতে দেখতে মেলার অর্ধেকটা সময় কেটে গেল। এখন প্রকাশনীগুলো তাদের ভালো ভালো বইগুলো মেলায় নিয়ে আসবে।

বাংলাদেশের সম্প্রচারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমগুলো সবচেয়ে জনপ্রিয় সময় মিডিয়া লিমিটেড। বইমেলায়ও বসেছে সময়ের প্যাভিলিয়ন, যেখান থেকে প্রতিদিনই পরিচালিত হচ্ছে বইমেলা কেন্দ্রিক শো।

সময়ের প্যাভিলিয়নে এসে ছবি তোলা মাদরাসা শিক্ষার্থী আনোয়ার হোসেন বলেন, সময় টেলিভিশন দেখেন না এমন কোনো মানুষ বাংলাদেশে রয়েছে কিনা জানা নেই। বইমেলায় এসে যখন দেখি সময়ের প্যাভিলিয়ন তখন আর ছবি না তুলে পারলাম না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিবির ইসলাম বলেন, বইমেলায় সময়ের ভিন্ন ধর্মী কিছু আয়োজন রয়েছে যা দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করে। আমি নিজেও সময়ের কুইজ নামের একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি। বইমেলায় সময়ের প্যাভিলিয়ন অন্য মিডিয়ার থেকে ভিন্ন, তাই এখানে এসে ছবি তুললাম।

বিকেলে মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবস্থিত আগামী প্রকাশনীর প্যাভিলিয়নে ক্যাশবাক্সের সামনে বসে ব্যস্ত সময় পার করছিলেন সংস্থার হিসাবরক্ষণ ব্যবস্থাপক মোল্লা মোস্তাফিজুর রহমান। জানালেন এবারের মেলায় তাদের শতাধিক বই প্রকাশিত হচ্ছে। বেশিরভাগ বই এরমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। বাকি বইও আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই মেলায় পাওয়া যাবে।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গল্প, উপন্যাস, অনুবাদ থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের এবং সব শ্রেণির পাঠকদের কথা মাথায় রেখেই এবারের মেলায় বই এনেছে তাদের প্রকাশনী। গত মেলা থেকে এ বছর এখন পর্যন্ত বেচাকেনা সন্তোষজনক। ১৫ দিন পর্যন্ত প্যাভিলিয়নে বই বিক্রির যে গতি, তা অব্যাহত থাকলে আগের বছরকে ছাড়িয়ে যাবে।

এবারের মেলায় বেচাকেনা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেন ঐতিহ্য’র প্যাভিলিয়নের ব্যবস্থাপক আমজাদ হোসেন কাজল। জানালেন, মেলা উপলক্ষে তাদের প্রকাশনী থেকে প্রকাশ হয়েছে ২৩০টির মতো বই। গল্প, উপন্যাস, কবিতা, শিশু সাহিত্য, অনুবাদ থেকে শুরু করে সব শ্রেণির বই তারা প্রকাশ করেছেন। পাঠকদের সাড়াও বেশ ভালোই পাচ্ছেন। বই বিক্রির পরিমাণও আগের বছর থেকে অনেকটাই বেশি।
২১ ফেব্রুয়ারির আগে পরে এবং মেলার শেষ সপ্তাহে বেচাকেনা আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন কাজল।

অনন্যা’র প্যাভিলিয়নে কথা হয় বিক্রয় কর্মী মিজানুর রহমানের সঙ্গে। জানালেন গত বছর থেকে এবারের মেলায় পাঠকদের আনাগোনা ও বিক্রির পরিমাণ বেশি। মেলায় তাদের প্রকাশনী ১২০টি নতুন বই প্রকাশ করেছে। বইগুলো ঘিরে পাঠকদের সাড়াও যথেষ্ট। এমন ধারা অব্যাহত থাকলে এ বছর বই বিক্রির পরিমাণ আগের বছরগুলোকে ছাড়িয়ে যাবে।

বাংলা একাডেমির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত বছর মেলায় বই বিক্রির পরিমাণ তার আগের বছরের থেকেও কম হয়েছিল। ২০২২ সালে যেখানে বই বিক্রি হয়েছিল ৫২ কোটি টাকার, সেখানে ২০২৩ সালে বিক্রি হয় ৪৭ কোটি টাকার। আর করোনার সময় ২০২১ সালে বিক্রি নেমে এসেছিল মাত্র ৩ কোটি ১১ লাখ টাকায়। তবে করোনার ঠিক আগের বছর ২০২০ সালে মেলায় বিক্রি হয়েছিল ৮২ কোটি টাকার বই।