Dhaka শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাত ওভারের ম্যাচে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিলো অস্ট্রেলিয়া

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ১০:৩৮:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪
  • ১৯৭ জন দেখেছেন

স্পোর্টস ডেস্ক : 

তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে বৃষ্টি হানা দেয়ায় ম্যাচ নেমে আসে ৭ ওভারে। সেই বৃষ্টি-বিঘ্নিত ম্যাচে পাকিস্তানকে ৭ ওভারে ৯৪ রানের বিশাল লক্ষ্য দেয় অস্ট্রেলিয়া, যা তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ তাসের ঘরের মতো ধসে পড়ে। ৭ ওভারের সংক্ষিপ্ত টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত ৬৪ রানেই থেমে যায়, ৯ উইকেট হারিয়ে। এতে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২৯ রানের জয়ে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ম্যাক্সওয়েলের ১৯ বলে ৩ ছক্কা ও ৫ চারে ৪৩ ও শেষ দিকে স্টয়নিসের ৭ বলে ২১ রানের কল্যাণে ৪ উইকেট হারিয়ে ৯৩ রান সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে পাকিস্তান ৭ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৬৪ রানে থামে। অজিরা জয় পায় ২৯ রানে।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে ম্যাথু শর্ট-জেক ফ্রেসার ম্যাকগার্ক প্রথম ওভারেই অস্ট্রেলিয়াকে এনে দেন ১৬ রান। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে ম্যাকগার্ক ফিরলে শুরু হয় গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ব্যাটিং তাণ্ডব। যেভাবে ব্যাট করছিলেন, একটা সময় দেখে মনে হচ্ছিল অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্রুততম টি-টোয়েন্টি ফিফটি বোধহয় করেই ফেলবেন তিনি। ৪৩ রান করেন মারমুখী ব্যাটিংয়ের জন্য সুপরিচিত ম্যাক্সওয়েল। স্রেফ ১৯ বল মোকাবিলায় পাঁচটি চারের সঙ্গে তিনটি ছক্কা হাঁকান তিনি। স্টয়নিস অপরাজিত থাকেন ৭ বলে ২১ রানে। তার ব্যাট থেকে আসে দুটি চার ও একটি ছক্কা। দুই পেসার এলিস ও বার্টলেট তিনটি করে উইকেট নেন যথাক্রমে ৯ ও ১৩ রান খরচায়।

শুরু থেকেই দ্রুত রান ওঠানোয় মনোযোগ ছিল অস্ট্রেলিয়ার। শাহিন শাহ আফ্রিদির করা ইনিংসের প্রথম ওভার থেকে আসে ১৬ রান। পরের ওভারে আক্রমণে গিয়ে প্রথম বলেই নাসিম শাহ ফেরান জেক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ককে। কিন্তু রানের চাকায় লাগাম পড়েনি। ওই ওভারে ওঠে ১৭ রান। ম্যাক্সওয়েল মারেন চারটি চার।

কিছুদিন আগে হওয়া দুই দলের ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তানের জয়ের নায়ক হারিস রউফ এসে স্বস্তি দেন পাকিস্তানকে। তার তৃতীয় ওভারে আসে ৩ রান। বিদায় নেন ম্যাথু শর্ট। কিন্তু ম্যাক্সওয়েলের তাণ্ডবে সেই স্বস্তি উবে যায়। রউফ আক্রমণে ফিরলে তার ওপর চড়াও হন তিনি। ম্যাক্সওয়েলের দুই ছক্কা ও এক চারে ১৯ রান আসে পঞ্চম ওভার থেকে।

শর্ট ডেলিভারিতে ক্যাচ বানিয়ে আব্বাস আফ্রিদি থামান ম্যাক্সওয়েলকে। টিম ডেভিডকেও টিকতে দেননি তিনি। তবে খরুচে নাসিমের করা ইনিংসের শেষ ওভারে স্টয়নিস আনেন ২০ রান। দুটি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা মারেন তিনি। স্বাগতিকদের সংগ্রহ ফুলেফেঁপে ওঠে।

রান তাড়ায় সফরকারীদের শুরুটা হয় জুতসই। ইনিংসের প্রথম দুটি বলেই চার মারেন সাহিবজাদা ফারহান। এরপর নামে ধস। স্পেন্সার জনসন চতুর্থ বলেই সাজঘরে পাঠান ফারহানকে। নতুন অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান ও উসমান খানকে পরের ওভারে আউট করেন বার্টলেট। তৃতীয় ওভারে বল হাতে পেয়ে এলিসও ধরেন জোড়া শিকার। এক বলের ব্যবধানে বাবর আজম ও ইরফান খানের উইকেট যায় তার ঝুলিতে।

অভিষেক টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা আগা সালমান হন বার্টলেটের তৃতীয় শিকার। এতে চতুর্থ ওভারে ২৪ রানে ৬ উইকেট পড়ে যায় পাকিস্তানের। তাদের প্রথম ছয় ব্যাটারের কেউই দুই অঙ্কে যেতে পারেননি। ফারহান ৮, রিজওয়ান ০, বাবর ৩, উসমান ৪, সালমান ৪ ও ইরফান ০ রানে মাঠ ছাড়েন।

ম্যাচের ভাগ্য তখনই নিশ্চিত হয়ে যায়। এরপর কমে কেবল হারের ব্যবধানই। আটে নামা আব্বাস সর্বোচ্চ ২০ রানে অপরাজিত থাকেন। ১০ বল খেলে দুটি চার ও একটি ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে। ইনিংসের শেষ দুই বলে শাহিন ও নাসিম পরপর কাটা পড়েন অ্যাডাম জ্যাম্পার ঘূর্ণিতে।

আগামী শনিবার সিডনিতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তান।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

অপতথ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান সিইসির

সাত ওভারের ম্যাচে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিলো অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশের সময় : ১০:৩৮:৪৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

স্পোর্টস ডেস্ক : 

তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে বৃষ্টি হানা দেয়ায় ম্যাচ নেমে আসে ৭ ওভারে। সেই বৃষ্টি-বিঘ্নিত ম্যাচে পাকিস্তানকে ৭ ওভারে ৯৪ রানের বিশাল লক্ষ্য দেয় অস্ট্রেলিয়া, যা তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ তাসের ঘরের মতো ধসে পড়ে। ৭ ওভারের সংক্ষিপ্ত টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত ৬৪ রানেই থেমে যায়, ৯ উইকেট হারিয়ে। এতে অস্ট্রেলিয়া সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২৯ রানের জয়ে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ম্যাক্সওয়েলের ১৯ বলে ৩ ছক্কা ও ৫ চারে ৪৩ ও শেষ দিকে স্টয়নিসের ৭ বলে ২১ রানের কল্যাণে ৪ উইকেট হারিয়ে ৯৩ রান সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে পাকিস্তান ৭ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৬৪ রানে থামে। অজিরা জয় পায় ২৯ রানে।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে ম্যাথু শর্ট-জেক ফ্রেসার ম্যাকগার্ক প্রথম ওভারেই অস্ট্রেলিয়াকে এনে দেন ১৬ রান। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে ম্যাকগার্ক ফিরলে শুরু হয় গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ব্যাটিং তাণ্ডব। যেভাবে ব্যাট করছিলেন, একটা সময় দেখে মনে হচ্ছিল অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্রুততম টি-টোয়েন্টি ফিফটি বোধহয় করেই ফেলবেন তিনি। ৪৩ রান করেন মারমুখী ব্যাটিংয়ের জন্য সুপরিচিত ম্যাক্সওয়েল। স্রেফ ১৯ বল মোকাবিলায় পাঁচটি চারের সঙ্গে তিনটি ছক্কা হাঁকান তিনি। স্টয়নিস অপরাজিত থাকেন ৭ বলে ২১ রানে। তার ব্যাট থেকে আসে দুটি চার ও একটি ছক্কা। দুই পেসার এলিস ও বার্টলেট তিনটি করে উইকেট নেন যথাক্রমে ৯ ও ১৩ রান খরচায়।

শুরু থেকেই দ্রুত রান ওঠানোয় মনোযোগ ছিল অস্ট্রেলিয়ার। শাহিন শাহ আফ্রিদির করা ইনিংসের প্রথম ওভার থেকে আসে ১৬ রান। পরের ওভারে আক্রমণে গিয়ে প্রথম বলেই নাসিম শাহ ফেরান জেক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ককে। কিন্তু রানের চাকায় লাগাম পড়েনি। ওই ওভারে ওঠে ১৭ রান। ম্যাক্সওয়েল মারেন চারটি চার।

কিছুদিন আগে হওয়া দুই দলের ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তানের জয়ের নায়ক হারিস রউফ এসে স্বস্তি দেন পাকিস্তানকে। তার তৃতীয় ওভারে আসে ৩ রান। বিদায় নেন ম্যাথু শর্ট। কিন্তু ম্যাক্সওয়েলের তাণ্ডবে সেই স্বস্তি উবে যায়। রউফ আক্রমণে ফিরলে তার ওপর চড়াও হন তিনি। ম্যাক্সওয়েলের দুই ছক্কা ও এক চারে ১৯ রান আসে পঞ্চম ওভার থেকে।

শর্ট ডেলিভারিতে ক্যাচ বানিয়ে আব্বাস আফ্রিদি থামান ম্যাক্সওয়েলকে। টিম ডেভিডকেও টিকতে দেননি তিনি। তবে খরুচে নাসিমের করা ইনিংসের শেষ ওভারে স্টয়নিস আনেন ২০ রান। দুটি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা মারেন তিনি। স্বাগতিকদের সংগ্রহ ফুলেফেঁপে ওঠে।

রান তাড়ায় সফরকারীদের শুরুটা হয় জুতসই। ইনিংসের প্রথম দুটি বলেই চার মারেন সাহিবজাদা ফারহান। এরপর নামে ধস। স্পেন্সার জনসন চতুর্থ বলেই সাজঘরে পাঠান ফারহানকে। নতুন অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান ও উসমান খানকে পরের ওভারে আউট করেন বার্টলেট। তৃতীয় ওভারে বল হাতে পেয়ে এলিসও ধরেন জোড়া শিকার। এক বলের ব্যবধানে বাবর আজম ও ইরফান খানের উইকেট যায় তার ঝুলিতে।

অভিষেক টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা আগা সালমান হন বার্টলেটের তৃতীয় শিকার। এতে চতুর্থ ওভারে ২৪ রানে ৬ উইকেট পড়ে যায় পাকিস্তানের। তাদের প্রথম ছয় ব্যাটারের কেউই দুই অঙ্কে যেতে পারেননি। ফারহান ৮, রিজওয়ান ০, বাবর ৩, উসমান ৪, সালমান ৪ ও ইরফান ০ রানে মাঠ ছাড়েন।

ম্যাচের ভাগ্য তখনই নিশ্চিত হয়ে যায়। এরপর কমে কেবল হারের ব্যবধানই। আটে নামা আব্বাস সর্বোচ্চ ২০ রানে অপরাজিত থাকেন। ১০ বল খেলে দুটি চার ও একটি ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে। ইনিংসের শেষ দুই বলে শাহিন ও নাসিম পরপর কাটা পড়েন অ্যাডাম জ্যাম্পার ঘূর্ণিতে।

আগামী শনিবার সিডনিতে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তান।