Dhaka মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সাজেকে তিন শতাধিক পর্যটক আটকা

রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি : 

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইহাট ও মাচালংয়ে পাহাড়ি ঢলে বন্যার পানিতে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় খাগড়াছড়ি-সাজেক যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে সাজেক ভ্যালিতে আটকা পড়েছেন প্রায় তিন শতাধিক পর্যটক।

শনিবার (৩ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাজেক রিসোর্ট কটেজ মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জন।

পাহাড়ি ঢলে মাইনি নদীতে পানি বাড়ায় সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলের কারণে সাজেক সড়কের খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার কবাখালী অংশ ডুবে গেছে। এতে রাঙ্গামাটির সাজেক পর্যটন কেন্দ্রের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে।

সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জন জানান, বর্তমানে সাজেকে ৩৮০ জন পর্যটক আছেন। সড়ক থেকে পানি নেমে গেলে পর্যটকরা ফিরতে পারবেন।

সাজেক-খাগড়াছড়ি কাউন্টারের লাইনম্যান সৈকত চাকমা বলেন, খাগড়াছড়ির বিভিন্নস্থান বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় খাগড়াছড়ি থেকে সাজেকের উদ্দেশ্যে কোনো গাড়ি ছেড়ে যায়নি, সাজেক থেকেও কোন গাড়ি ছেড়ে আসেনি। তবে আজ সকাল থেকে বৃষ্টিপাত বন্ধ রয়েছে। আশা করছি সড়ক থেকে পানি নেমে যাবে এবং বিকেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।

সাজেক হিলভিউ রিসোর্টের স্বত্তাধিকারী ইন্দ্রজিৎ চাকমা বলেন, পর্যটকরা বর্তমানে সাজেকে ঘুরেফিরে সময় কাটাচ্ছেন। কোনো অসুবিধা নেই। পানি কমলে হয়তো বিকেলে পর্যটকরা চলে যেতে পারবেন।

রাঙ্গামাটি বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার জানিয়েছেন, কেবল খাগড়াছড়ির কবাখালীতেই নয়; সাজেক সড়কের মাচালং ও বাঘাইহাট অংশের সড়কেও পানি উঠেছে। এ জন্য সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে আটকা রয়েছেন ৩৮০ জন পর্যটক। ফের প্রবল বৃষ্টি না হলে বিকেলের মধ্যেই তারা ফিরতে পারবেন।

তিনি জানান, এসব পর্যটকদের বেশিরভাগই শুক্রবার (০২ আগস্ট) সাজেকে এসেছিলেন।

এছাড়া দীঘিনালা-লংগদু সড়কের হেড কোয়ার্টার এলাকায় সড়ক নিমজ্জিত হওয়ায় রাঙামাটির লংগদুর সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

সাজেকে তিন শতাধিক পর্যটক আটকা

প্রকাশের সময় : ০১:১৮:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪

রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি : 

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বাঘাইহাট ও মাচালংয়ে পাহাড়ি ঢলে বন্যার পানিতে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় খাগড়াছড়ি-সাজেক যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে সাজেক ভ্যালিতে আটকা পড়েছেন প্রায় তিন শতাধিক পর্যটক।

শনিবার (৩ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাজেক রিসোর্ট কটেজ মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জন।

পাহাড়ি ঢলে মাইনি নদীতে পানি বাড়ায় সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলের কারণে সাজেক সড়কের খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার কবাখালী অংশ ডুবে গেছে। এতে রাঙ্গামাটির সাজেক পর্যটন কেন্দ্রের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে।

সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জন জানান, বর্তমানে সাজেকে ৩৮০ জন পর্যটক আছেন। সড়ক থেকে পানি নেমে গেলে পর্যটকরা ফিরতে পারবেন।

সাজেক-খাগড়াছড়ি কাউন্টারের লাইনম্যান সৈকত চাকমা বলেন, খাগড়াছড়ির বিভিন্নস্থান বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় খাগড়াছড়ি থেকে সাজেকের উদ্দেশ্যে কোনো গাড়ি ছেড়ে যায়নি, সাজেক থেকেও কোন গাড়ি ছেড়ে আসেনি। তবে আজ সকাল থেকে বৃষ্টিপাত বন্ধ রয়েছে। আশা করছি সড়ক থেকে পানি নেমে যাবে এবং বিকেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।

সাজেক হিলভিউ রিসোর্টের স্বত্তাধিকারী ইন্দ্রজিৎ চাকমা বলেন, পর্যটকরা বর্তমানে সাজেকে ঘুরেফিরে সময় কাটাচ্ছেন। কোনো অসুবিধা নেই। পানি কমলে হয়তো বিকেলে পর্যটকরা চলে যেতে পারবেন।

রাঙ্গামাটি বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার জানিয়েছেন, কেবল খাগড়াছড়ির কবাখালীতেই নয়; সাজেক সড়কের মাচালং ও বাঘাইহাট অংশের সড়কেও পানি উঠেছে। এ জন্য সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে আটকা রয়েছেন ৩৮০ জন পর্যটক। ফের প্রবল বৃষ্টি না হলে বিকেলের মধ্যেই তারা ফিরতে পারবেন।

তিনি জানান, এসব পর্যটকদের বেশিরভাগই শুক্রবার (০২ আগস্ট) সাজেকে এসেছিলেন।

এছাড়া দীঘিনালা-লংগদু সড়কের হেড কোয়ার্টার এলাকায় সড়ক নিমজ্জিত হওয়ায় রাঙামাটির লংগদুর সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।