আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে স্পেনের ভূখণ্ডে ঢুকতে গিয়ে অন্তত ৯৫১ জন অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। এ প্রাণহানি ঘটেছে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন)। নিহতদের মধ্যে ৪৯টি শিশুও রয়েছে। অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ক্যামিনান্দো ফ্রন্টেরাস সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) আল জাজিরায় প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছে, নিহতরা ১৪টি দেশের বাসিন্দা। এর মধ্যে ১৩টি আফ্রিকার দেশ। দেশগুলো হলো—আলজেরিয়া, ক্যামেরুন, কমোরোস, কঙ্গো, ইথিওপিয়া, গিনি, আইভরি কোস্ট, মালি, মরক্কো, গাম্বিয়া, সেনেগাল, শ্রীলঙ্কা, সুদান ও সিরিয়া। এশিয়ার একমাত্র দেশ শ্রীলঙ্কা।
চারটি রুট বা পথ ব্যবহার করে অভিবাসন প্রত্যাশীরা স্পেনে প্রবেশ করা চেষ্টা করেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এগুলো হলো— ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ রুট, আলবোরান সাগর রুট, আলজেরিয়ান রুট এবং জিব্রাল্টার প্রণালি রুট। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে এই চার রুটে প্রতিদিন গড়ে পাঁচজন অভিবাসন প্রত্যাশী প্রাণ হারিয়েছেন।
চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে স্পেনের উপকূলে আসার সময় অভিবাসন প্রত্যাশীদের বহনকারী ১৯টি নৌকা নিখোঁজ হয়েছে, এমনটাই জানানো হয়েছে প্রতিবেদনে। সরকারি তথ্য, শরণার্থীবিষয়ক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য, উদ্ধারকারীদের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, গত ছয় মাসের মধ্যে ফেব্রুয়ারি ও জুনে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে সাগর পেরিয়ে স্পেনে প্রবেশ করতে গিয়েছে মারা গেছেন ২৩৭ জন অভিবাসন প্রত্যাশী। আর জুনে এই সংখ্যা ছিল ৩৩২।
কামিনান্দো ফ্রন্টেরাস বলছে, ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ হয়ে স্পেনে প্রবেশের পথটিতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এই রুটে ২৮টি ঘটনায় অন্তত ৭৭৮ জন প্রাণ হারিয়েছে। আর আলবোরান রুটে ২টি দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ২১ জন।
এ ছাড়া আলজেরিয়ান রুটে ৮টি দুর্ঘটনায় ১০২ জন নিহত হয়েছে। আর জিব্রাল্টার প্রণালিতে ১১টি ঘটনায় ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সূত্র: আল জাজিরা।