স্পোর্টস ডেস্ক :
আসরের শুরু থেকেই রান খরায় ভুগছিলেন সাকিব আল হাসান। অবশেষে তার ব্যাটে রান এসেছে। হেসেছে রংপুর রাইডার্সও। ব্যাটিংয়ে ২০ বলে ৩৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলার পর বল হাতে ১৬ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছেন সাকিব। তার অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে ৬০ রানের বড় জয় পেয়েছে রংপুর।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরের শের-ই-বাংলায় আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান সংগ্রহ করে রংপুর। জবাবে খেলতে নেমে ১৮ ওভারে ১১৫ রানে থেমেছে ঢাকা।
রংপুরের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারে কেবল দুই রান পায় ঢাকা। পরের ওভারেই তারা হারিয়ে ফেলে অভিষিক্ত ওপেনার সাব্বির হোসেনের উইকেট। ৫ বলে ১ রান করা এই ব্যাটারের দুর্দান্ত ক্যাচ নেন শামীম হোসেন। মাহেদী হাসানের বলে স্লগ সুইপ করলে বাউন্ডারির কাছে ক্যাচ নেন শামীম। পরে তিনি বাউন্ডারির বাইরে গেলেও বল ভেতরে রাখেন।
উইকেট হারানোর ওই শুরুর পর কখনোই ম্যাচে ফিরতে পারেনি ঢাকা। হাসান মাহমুদ, সালমান ইরশাদ, মাহেদী হাসানের তোপের মুখে নাঈম শেখ ছাড়া আর কোনো টপ-অর্ডার ব্যাটারই প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। ৩ চার ও সমান ছক্কায় ৩১ বলে ৪৪ রান করে আউট হন নাঈম।
এরপর অষ্টম উইকেটে গিয়ে ছোট একটা জুটি গড়েছিলেন তাসকিন আহমেদ ও ইরফান শুক্কুর। ১৩ বলে ২৭ রানের ওই জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। তার বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ২ ছক্কায় ৮ বলে ১৫ রান করা তাসকিন। শেষ পর্যন্ত লড়ে যাওয়া ইরফান ২৫ বলে ২১ রান করে রানআউট হন।
রংপুরের হয়ে দারুণ বল করেন সাকিব আল হাসান। ৪ ওভারে স্রেফ ১৬ রান খরচায় তিনি নেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট শিকার করেন মাহেদি হাসান, সালমান ইরশাদ ও হাসান মাহমুদ।
এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে রংপুরের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন বাবর আজম ও রনি তালুকদার। ইনিংসের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করছে তারা দুজন। উদ্বোধনী জুটিতে তাদের ব্যাট থেকে আসে ৬৭ রান।
আগ্রাসী ব্যাট করতে থাকা রবি ২৪ বলে ৩৯ রান করে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে এই জুটি। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন সাকিব আল হাসান। টাইগার অলরাউন্ডারকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন বাবর। এদিকে উইকেটে এসেই ঝোড়ো গতিতে রান তুলতে থাকেন সাকিবও। এ সময় তাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন বাবর। তবে ফিফটির পথে থাকা বাবর দলীয় ১১৯ রানে আউট হলে ভাঙে এই জুটি।
সঙ্গী আউট হলে উইকেটে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সাকিবও। দলীয় ১২৬ রানে ২০ বলে ৩৪ রান করে আউট হন সাকিব। এরপর বাইশ গজে আসেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তবে উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। ৭ বলে মাত্র ৩ রান করে ফিরে যান ওমরজাই।
এরপর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ও মোহাম্মদ নবি মিলে রংপুরের রানের চাকা সচল রাখেন। এই দুই ব্যাটারের ২৩ বলে ৪৪ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান সংগ্রহ পায় রংপুর। ঢাকার হয়ে বল হাতে মোসাদ্দেক নেন সর্বোচ্চ দুই উইকেট।