নিজস্ব প্রতিবেদক :
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মরদেহ পিরোজপুরে নেওয়ার সময় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং শাহবাগ মোড়ে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় সাঈদীর ছেলেসহ জামায়াত-শিবিরের ৫ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এরমধ্যে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদীকে। মামলার বাকি তিন আসামি হলেন হামিদুর রহমান আজাদ, ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি ড. শফিকুল ইসলাম এবং জামায়াত নেতা মো. সাইফুল ইসলাম।
এর আগে বুধবার (১৬ আগস্ট) রাতে শাহবাগ থানায় দায়ের করা এ মামলায় সরকারি কাজে বাধা, মারধর, গাড়িতে আগুন দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন।
শাহবাগ থানা সূত্রে জানা গেছে, বিএসএমএমইউ’র ভেতরে এবং শাহবাগে ১৪ আগস্ট রাত থেকে শুরু করে ১৫ আগস্ট ভোর পর্যন্ত চলা জামায়াত শিবিরের বিক্ষোভ, সংঘর্ষ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা হয়েছে। শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক মো. জব্বার বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বেআইনিভাবে যোগসাজশে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে লাঠিসোটা, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা প্রদানের পর আক্রমণ করে সাধারণ ও গুরুতর জখম এবং অগ্নিসংযোগ করার অপরাধ করা হয়েছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৪-১৫ লাখ টাকা।
বায়তুল মোকাররমে গায়েবানা জানাজা কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় দেড় শতাধিক আসামি করে পল্টন থানায় মামলা হয়েছে।
পল্টন থানার মামলাটির বাদী হয়েছেন একই থানার উপ-পরিদর্শক সালাহ উদ্দিন কাদের। ১৫ আগস্ট দুপুরে বায়তুল মোকাররম মসজিদের ভেতরে ও বাইরে সংঘর্ষের ঘটনায় নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে ১৬ জনকে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও একশ’ থেকে দেড়শ’ জন জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।