ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি :
আমলযোগ্য অপরাধ ছাড়া সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে আমলযোগ্য অপরাধের মাত্র চারটি ধারা রয়েছে। আমলযোগ্য অপরাধ ছাড়া সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতার করার সুযোগ নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও নেই। এ নিয়ে যেসব প্রশ্ন উত্থাপন করা হচ্ছে, এগুলো সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের অপব্যাখ্যা।
আইনমন্ত্রী বলেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে টেকনিক্যাল অপরাধ হ্যাকিং এবং কম্পিউটারের ভেতরে ঢুকে যদি কেউ কোনো কিছু নষ্ট করে সেজন্য ১৪ বছরের সাজার বিধান রয়েছে। কিন্তু ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে যেসব ধারা নিয়ে সাংবাদিক মহলের আপত্তি ছিল; সেগুলোর আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত আবারও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা কখনো সামনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসে নাই। সব সময় পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। মানুষকে ভোট দিতে দেয় নাই। ক্ষমতায় বসে তারা দল সৃষ্টি করছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে হয় নেই।
আওয়ামী লীগ দল গঠনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জনগণের সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগ দলটি হয়েছে। সেসময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী, শেখ ফজলুল হক জনগণকে নিয়ে তারা ১৯৪৯ সালে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আমাদের সংগঠন জনগণের সংগঠন। আমাদের সংগঠনের শেকড় মাটির ভেতর। আজকেও জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা আছে।
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন ডিসেম্বর অথবা আগামী বছরের প্রথম সপ্তাহে। নির্বাচনে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ধরে রাখার জন্য আবারও নৌকার পক্ষে ভোট চান তিনি।
হীরাপুর শহীদ নোয়াব মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত সভায় দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মজনু মিয়ার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সাধারণ সম্পদক তাকজিল খলিফা কাজলসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবন্দরা উপস্থিত ছিলেন।