নিজস্ব প্রতিবেদক :
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে করা মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমান ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের কারা-২ শাখা এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে সই করেন উপ-সচিব মোহাম্মদ আবু সাঈদ মোল্লা।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, শফিক রেহমান এবং মো. মিজানুর রহমান ভূইয়া ওরফে এম আর ভূইয়া ওরফে মিল্টন ভূইয়ার সাজা স্থগিতের বিষয়ে দাখিল করা আবেদন এবং আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতামতের আলোকে দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর এর ধারা ৪০১(১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নং-২, ঢাকা এর পল্টন মডেল থানার মামলা নং-১ (৮) ২০১৫, জিআর মামলা নং-২৯৪/১৫-এ তাদের বিরুদ্ধে প্রদত্ত দণ্ডাদেশ বিজ্ঞ আদালতে আত্মসমর্পণপূর্বক আপিল দায়েরের শর্তে এক বছরের জন্য নির্দেশক্রমে স্থগিত করা হলো।
এ বিষয়ে রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) শফিক রেহমানের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, গত ২২ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক শফিক রেহমান ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রণালয়। এজন্য তাকে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে। আদালতে আত্মসমর্পণ করে আপিল দায়েরের শর্তে এ সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে শফিক রেহমান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন। যেহেতু শর্ত অনুযায়ী তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন সেক্ষেত্রে তাকে মাহমুদুর রহমানের মতো কারাগারে যেতে হবে না।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৭ আগস্ট পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে, সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে ‘অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের’ মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমান ও দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচ জনের ৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছিলেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর। একইসঙ্গে তাদের ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। মামলাটিতে ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর সজীব ওয়াজেদ জয় আদালতে সাক্ষ্য দেন। এর আগে, ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট পল্টন থানায় মামলাটি দায়ের করেন পুলিশের এক কর্মকর্তা। এই মামলায় ২০১৬ সালের ১৬ এপ্রিল গ্রেফতার হয়েছিলেন শফিক রেহমান। পরে তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হয়।