গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি :
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের মামলায় দণ্ডিত আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। জামিনের কাগজপত্র কারাগারে পৌঁছানোর পরপরই কাশিমপুর কারাগার থেকে তাকে মুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে কাশিমপুর কারাগার থেকে বের হন মাহমুদুর রহমান।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর সিনিয়র সুপার আমিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আদালত থেকে তার জামিনের কাগজপত্র কারাগারে এসে পৌঁছায়। পরে তা যাচাই-বাছাই করে মাহমুদুর রহমানকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
ঢাকা বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর কবিরও একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মাহমুদুর রহমান কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে কারাগার ত্যাগ করেছেন।
এর আগে এদিন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। গত ২৯ সেপ্টেম্বর মাহমুদুর রহমানকে কারাগারে পাঠান আদালত। ওই দিন সকাল সাড়ে ১০টার পর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে ওই মামলায় আত্মসমর্পণ করেন তিনি। সেইসঙ্গে আপিল শর্তে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মাহমুদুর রহমান ২০১৩ সালের ১১ এপ্রিল ঢাকার কারওয়ান বাজারে আমার দেশ কার্যালয় থেকে গ্রেপ্তার হন। ২০১৬ সালের নভেম্বরে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি লন্ডনে চলে যান। প্রায় সাড়ে ৫ বছর নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর গত শুক্রবার তিনি দেশে ফেরেন।
এর আগে এ মামলায় ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সাংবাদিক শফিক রেহমান ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনের সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।
রায়ে আদালত অপহরণ চেষ্টার দায়ে আসামিদের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও একমাসের কারাদণ্ড দেন।
পাশাপাশি হত্যার ষড়যন্ত্র করায় আসামিদের দুই বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও একমাসের কারাদণ্ড দেন। আসামিদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করেছিলেন বিচারক।