জামালপুর জেলা প্রতিনিধি :
সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যায় জড়িত ৯ আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর মধ্যে পাঁচজনকে তিনদিন করে আর চারজনকে চারদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
রোববার (১৮ জুন) জামালপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর আহমেদের আদালতে এ আদেশ দেওয়া হয়। এর আগে, শনিবার (১৭ জুন) তাদের আদালতে তোলা হলে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলো- বকশীগঞ্জ উত্তর বাজার এলাকার গোলাম কিবরিয়া সুমন (৪৩), মালিরচর নয়াপাড়া এলাকার মিলন (২৫), নামাপাড়া এলাকার তোফাজ্জল (৪০), একই এলাকার আইনাল হক (৫৫), কফিল উদ্দিন (৫৫), দক্ষিণ কুতুবেরচর এলাকার ফজলু মিয়া (৩৫) ও তার ভাই শহিদ (৪০), মোল্লাপাড়া এলাকার মকবুল (৩৫) এবং সর্দারপাড়া মেরুরচর এলাকার ওহিদুজ্জামান (৩০)।
এর আগে, শনিবার (১৭ জুন) তাদের আদালতে তোলা হলে সেখান থেকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
বাদি পক্ষের আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী বলেন, আলোচিত সাংবাদিক নাদিম হত্যায় রাষ্ট্রপক্ষ নয়জন আসামির প্রত্যেকের পাঁচদিন করে রিমান্ড চেয়েছিলেন। এ ঘটনায় দীর্ঘ শুনানি হয়। এসময় তারা বলেন রাতের আঁধারে হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত ছিল এবং কিভাবে আঘাত করেছে এই তথ্যগুলো উৎঘাটনের জন্য আসামিদের পুলিশের রিমান্ড প্রয়োজন। এসব কথা শুনে অবশেষে আদেশ দিয়েছেন। নয়জনের মধ্যে চারজনকে চারদিন করে ও পাঁচজনকে তিনদিন করে আজ বিকেল ৪টা থেকে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। আসামি পক্ষের চার-পাঁচজন আইনজীবী ছিলেন তারা তাদের পক্ষে বক্তব্য দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জুন রাতে বাড়ি ফেরার পথে বকশীগঞ্জের পাথাটিয়ায় পৌঁছালে অস্ত্রধারী ১০ থেকে ১২ জন দুর্বৃত্ত সাংবাদিক নাদিমকে পিটিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। এরপর রাত ১২টায় সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন বিকেল পৌনে ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২৫ জনকে আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।