Dhaka শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সসম্মানে গণভবন ত্যাগ করুন : শেখ হাসিনাকে আমীর খসরু

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সময় এসেছে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনার গণভবন ছাড়ার। কারণ তার গণভবন ত্যাগ ছাড়া বিকল্প নেই। তার সঙ্গে দেশের মানুষও নেই গণতন্ত্রকামী বহির্বিশ্বের কোনো দেশও তার পাশে নেই। তাই সসম্মানে গণভবন ত্যাগ করুন। এই সমাবেশের পর তার থাকার সুযোগ আছে? যত দ্রুত সম্ভব সব গুছিয়ে গণভবন ত্যাগ করার জন্য প্রস্তুত হোন। কারো দয়ায় নয় খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনবো।

শুক্রবার (২৮ জুলাই) দুপুর দুইটায় নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আজকে মনে হচ্ছে বাংলাদেশের সমস্ত পথ পল্টনে এসে শেষ হয়েছে। এতবড় সমাবেশ আমি দেখিনি। এখানে মানুষ পরিষ্কার বার্তা দেওয়ার জন্য এসেছে। অবৈধ, দখলদার, ভোট চোর সরকারকে বার্তা দেওয়ার জন্য এসেছে।

তিনি বলেন, বিএনপির প্রত্যেকটি সভায় ইন্টারনেট থাকে না। ইন্টারনেট না থাকার পেছনে যারা কাজ করছেন তারা হচ্ছেন ভোট চোরদের দালাল। সুতরাং সাবধান। যারা এই কাজের পেছনে আছেন তারা চিহ্নিত হয়ে আছেন। তারা আগামী নির্বাচনকে ব্যাহত করতে ভোট চুরির প্রকল্প বাস্তবায়কে কাজ করছেন।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, সমাবেশ ডাকার পর থেকে প্রচুর বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা এই কাজটি করছে তারা ভোট চুরির প্রকল্পের অংশ হিসেবে এই কাজ করছে। এই ভোট চুরির প্রকল্পে যারা জড়িত তারা সবাই চিহ্নিত হচ্ছে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, একটা সুখবর দেই। দেশের ভেতরে বাংলাদেশের মানুষ পরিষ্কার বার্তা দিয়েছে গণভবন ত্যাগ করুন। গণভবন ত্যাগ করুন। বিশ্ব বিবেক, গণতান্ত্রিক দেশ, গণতান্ত্রিক সংস্থাগুলো কী বলছে দেখুন। কংগ্রেসম্যানরা বলছে শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। ১৩ জন বলেছে। এরআগে আরও ছয়জন বলেছে। ইতোমধ্যে ইইউর সংসদ সদস্যরাও চিঠি দিয়ে তাদের নেতাদের জানিয়েছে শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। এর আগে ভোট চুরির প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত থাকায় র‌্যাবের কিছু লোকজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। গতকাল যারা চিঠি দিয়েছে তারা বলেছে জাতিসংঘ ও নিরপেক্ষ দেশগুলো মিলে বাংলাদেশে আর কিছু বাকি আছে?

সরকারের উদ্দেশে আমীর খসরু বলেন, দেশেও নেই নাই, বিদেশেও নাই। কার ওপর ভর করে ভোট চুরির প্রকল্প বাস্তবায়নের দিকে যাচ্ছেন। কেউ নাই। আগেও নাই, পিছেও নাই। সামনেও নাই, পেছনেও নাই।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যতক্ষণ না পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে ততক্ষণ কেউ বাড়ি ফিরে যাবেন না। আগামী দিনে নিজেদের যেকোনো অনুষ্ঠান থাকুক সব বাদ দিয়ে দৃঢ়তার সঙ্গে কর্মসূচিতে আসবেন।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আামানউল্লাহ আমান ও দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় কেন্দ্রীয় বিএনপির আয়োজনে মহাসমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, শাজাহান ওমর, উপদেষ্টা পরিষদের মিজানুর রহমান মিনু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, আব্দুস সালাম আজাদ , প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব রবিন, উত্তরের সদস্যসচিব আমিনুল হক প্রমুখ বক্তব্য দেন।

জনপ্রিয় খবর

আবহাওয়া

মহিপুরে পাঁচ কিমি কাঁচা সড়কে হাঁটুজল, দুর্ভোগে পথচারী

সসম্মানে গণভবন ত্যাগ করুন : শেখ হাসিনাকে আমীর খসরু

প্রকাশের সময় : ০৬:৩৩:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ জুলাই ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক : 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সময় এসেছে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনার গণভবন ছাড়ার। কারণ তার গণভবন ত্যাগ ছাড়া বিকল্প নেই। তার সঙ্গে দেশের মানুষও নেই গণতন্ত্রকামী বহির্বিশ্বের কোনো দেশও তার পাশে নেই। তাই সসম্মানে গণভবন ত্যাগ করুন। এই সমাবেশের পর তার থাকার সুযোগ আছে? যত দ্রুত সম্ভব সব গুছিয়ে গণভবন ত্যাগ করার জন্য প্রস্তুত হোন। কারো দয়ায় নয় খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনবো।

শুক্রবার (২৮ জুলাই) দুপুর দুইটায় নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আজকে মনে হচ্ছে বাংলাদেশের সমস্ত পথ পল্টনে এসে শেষ হয়েছে। এতবড় সমাবেশ আমি দেখিনি। এখানে মানুষ পরিষ্কার বার্তা দেওয়ার জন্য এসেছে। অবৈধ, দখলদার, ভোট চোর সরকারকে বার্তা দেওয়ার জন্য এসেছে।

তিনি বলেন, বিএনপির প্রত্যেকটি সভায় ইন্টারনেট থাকে না। ইন্টারনেট না থাকার পেছনে যারা কাজ করছেন তারা হচ্ছেন ভোট চোরদের দালাল। সুতরাং সাবধান। যারা এই কাজের পেছনে আছেন তারা চিহ্নিত হয়ে আছেন। তারা আগামী নির্বাচনকে ব্যাহত করতে ভোট চুরির প্রকল্প বাস্তবায়কে কাজ করছেন।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, সমাবেশ ডাকার পর থেকে প্রচুর বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা এই কাজটি করছে তারা ভোট চুরির প্রকল্পের অংশ হিসেবে এই কাজ করছে। এই ভোট চুরির প্রকল্পে যারা জড়িত তারা সবাই চিহ্নিত হচ্ছে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, একটা সুখবর দেই। দেশের ভেতরে বাংলাদেশের মানুষ পরিষ্কার বার্তা দিয়েছে গণভবন ত্যাগ করুন। গণভবন ত্যাগ করুন। বিশ্ব বিবেক, গণতান্ত্রিক দেশ, গণতান্ত্রিক সংস্থাগুলো কী বলছে দেখুন। কংগ্রেসম্যানরা বলছে শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। ১৩ জন বলেছে। এরআগে আরও ছয়জন বলেছে। ইতোমধ্যে ইইউর সংসদ সদস্যরাও চিঠি দিয়ে তাদের নেতাদের জানিয়েছে শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। এর আগে ভোট চুরির প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত থাকায় র‌্যাবের কিছু লোকজনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। গতকাল যারা চিঠি দিয়েছে তারা বলেছে জাতিসংঘ ও নিরপেক্ষ দেশগুলো মিলে বাংলাদেশে আর কিছু বাকি আছে?

সরকারের উদ্দেশে আমীর খসরু বলেন, দেশেও নেই নাই, বিদেশেও নাই। কার ওপর ভর করে ভোট চুরির প্রকল্প বাস্তবায়নের দিকে যাচ্ছেন। কেউ নাই। আগেও নাই, পিছেও নাই। সামনেও নাই, পেছনেও নাই।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যতক্ষণ না পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে ততক্ষণ কেউ বাড়ি ফিরে যাবেন না। আগামী দিনে নিজেদের যেকোনো অনুষ্ঠান থাকুক সব বাদ দিয়ে দৃঢ়তার সঙ্গে কর্মসূচিতে আসবেন।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আামানউল্লাহ আমান ও দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সঞ্চালনায় কেন্দ্রীয় বিএনপির আয়োজনে মহাসমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, শাজাহান ওমর, উপদেষ্টা পরিষদের মিজানুর রহমান মিনু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, আব্দুস সালাম আজাদ , প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব রবিন, উত্তরের সদস্যসচিব আমিনুল হক প্রমুখ বক্তব্য দেন।